ভারতে বিরোধী দলগুলোর তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও সংসদে ওয়াক্‌ফ (সংশোধনী) বিল উত্থাপন করেছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির দল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) এই বিলটিকে ‘মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র’ আখ্যায়িত করেছে।

মেহবুবা মুফতি সতর্ক করে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত ভারতকে মিয়ানমারের পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। বিলটি ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ মুসলমানদের নিশানা করে করা হচ্ছে। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়কে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘এটা (ভারত) গান্ধীজির দেশ। বিজেপির এজেন্ডা নয়, সংবিধান অনুযায়ী দেশ চালানো উচিত। দেশের মানুষ যদি ভারতকে আরেকটি মিয়ানমার হিসেবে দেখতে না চায়, কাশ্মীরের পণ্ডিতদের সঙ্গে যা ঘটেছিল তা দেখতে না চায় (যে ঘটনার জন্য আমরা আজও দুঃখ প্রকাশ করি), যার জন্য দেশের মানুষ এখনো আমাদের ঠাট্টা করে, তাহলে তাদের এই সিদ্ধান্তের (ওয়াক্‌ফ বিলের) বিরোধিতা করা উচিত। যদি তারা নীরব থাকে, তাহলে এই দেশকে ভাঙনের হাত থেকে কেউ ঠেকাতে পারবে না।’

ওয়াক্‌ফ বিলের প্রস্তাবিত সংশোধনীকে মুসলমানদের ক্ষমতা হ্রাস করার ষড়যন্ত্র হিসেবে বর্ণনা করেছেন মেহ্বুবা। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, দেশের মানুষ সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করবে।

আরও পড়ুনমুসলিম ও বিরোধীদের আপত্তির মুখে সংসদে ওয়াক্‌ফ বিল পেশ করল বিজেপি সরকার৪ ঘণ্টা আগে

মেহবুবা মুফতি আরও বলেন, ‘বিজেপির কাছ থেকে আমি কোনো কিছু আশা করি না। ১০-১২ বছর ধরে আমরা দেখছি কীভাবে মুসলমানদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, বুলডোজার দিয়ে তাদের মসজিদ গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং কবরস্থানের জায়গাগুলো দখল করা হচ্ছে। দেশের হিন্দুদের এসব ঘটনার প্রতিবাদ করা উচিত।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম হব ব

এছাড়াও পড়ুন:

শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

শাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর সেমিনার

শাকসুর নির্বাচন কমিশন ঘোষণা

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভর্তি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সাজেদুল করিম বলেন, “গুচ্ছ প্রক্রিয়া না থেকে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমাদের শিক্ষকরা আজ উপাচার্যের কাছে একটা স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। শিক্ষকরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকতে চায় না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এককভাবে ভর্তি পরীক্ষার নেওয়ার জন্য সামনের দিকে কাজ এগোচ্ছি। অতিদ্রুত ভর্তি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি নির্ধারণ করে প্রকাশ করা হবে।”

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শাবিপ্রবি গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে। এবারো একইভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে, গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে চিঠি পেলেও শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়।

ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ