হঠাৎ করে পুরোনো জীবনের ছকে ফেরাটা নিঃসন্দেহে কঠিন। তাই চেষ্টা করুন একটু একটু করে পুরোনো ধারায় ফিরতে। ভালো না লাগার একটা অনুভূতিতে মন আচ্ছন্ন থাকতেই পারে। একে বলা হয় পোস্ট-ফেস্টিভ্যাল ব্লুজ বা পোস্ট-হলিডে ব্লুজ। তবে মনের অবস্থা যেমনই হোক, ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করুন। সুন্দর সময়টা বরং আগামী দিনের পাথেয় হয়ে উঠুক। এ সম্পর্কে বলেন রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেডের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী শারমিন হক

ব্যস্ত থাকুন

ঈদের ঠিক পরপরই কাজের চাপ একটু কম থাকতে পারে। এ সময় নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন।

এমন কিছু করুন, যা আপনার ভালো লাগে। ধরা যাক, আপনি বই পড়তে ভালোবাসেন। তবে এই মুহূর্তে আপনার বই পড়তেও ইচ্ছা না–ও করতে পারে। তবু হালকা ধাঁচের একটা বই হাতে নিন। একটু হলেও পড়ুন। মন খারাপের অনুভূতিটা একটু কমবে।

সময় পেলে বাইরে থেকে একটু হেঁটে আসুন।

কাছেপিঠে কোথাও প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পেলে সেখানে যান। রোদে সময় কাটান।

বিভিন্ন ধরনের শরীরচর্চা করতে পারেন ঘরে এবং ঘরের বাইরে।

শিথিলায়ন ব্যায়াম করুন।

অন্যের জন্য কিছু করলে আনন্দ পাবেন। অসহায় মানুষ ও প্রাণীদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন।

নতুন কিছু শিখতে পারেন। অনলাইনেও কিছু প্রশিক্ষণ নেওয়া সম্ভব।

আরও পড়ুননিজে নিজে যেভাবে বিষণ্নতা কাটিয়ে উঠলাম১০ মে ২০২৩পরিকল্পনা করুন

প্রায়ই ছুটি না মিললেও কিন্তু আপনি পরের ছুটির পরিকল্পনা করতে পারেন একটু একটু করে। এক ছুটির আনন্দকেই নাহয় টেনে নিন পরের ছুটি পর্যন্ত। ভেবে দেখুন, আবার একটা বড় ছুটি কখন পাবেন। তখন কী কী করা যেতে পারে, তা নিয়ে ভাবলে আপনার ভালো লাগবে। বড় ছুটির আগে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় কী করবেন, সেটাও ঠিক করুন। ছোট ছোট ছুটি কাজে লাগান ইতিবাচকভাবে।

আরও পড়ুনগরমেও কি বিষণ্নতা বাড়ে২৫ এপ্রিল ২০২৪থাকুক যোগাযোগ

আপনজনদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। মুঠোফোনে কথা হোক। ভিডিও কলে দেখাও হোক।

যাঁদের সঙ্গে ঈদে দেখা হয়নি, তাঁদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখুন। বহু দিন আগে কথা হয়েছে, এমন বন্ধু-স্বজনদের খোঁজ নিন।

কাছেপিঠে পরিচিত যাঁরা আছেন, তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। পিকনিকের মতো আয়োজন হতে পারে। কিংবা একজনের বাসায় কয়েকজন একটি করে পদ রান্না করে নিয়ে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করতে পারেন কোনো কোনো দিন।

সদ্য কাটিয়ে আসা সুন্দর দিনগুলোর কথা ইতিবাচকভাবে ভেবেও আনন্দ পেতে পারেন।

আরও পড়ুনমা–বাবার বিষণ্নতা যেভাবে সন্তানের জন্য ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনতে পারে২৭ নভেম্বর ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।

কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।

এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।

অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।

একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।

যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুন্দরবনে দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু আজ, এবারও নেই মেলার আয়োজন
  • শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
  • ‘মবের’ পিটুনিতে নিহত রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ডাইনির সাজে শাবনূর!
  • প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব 
  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব
  • উদ্ভাবন–আনন্দে বিজ্ঞান উৎসব
  • নবীনদের নতুন চিন্তার ঝলক