মাইক্রোপ্লাস্টিক শরীরে প্রবেশ করলে যেসব সমস্যা হতে পারে
Published: 4th, April 2025 GMT
ভয়ানকভাবে প্লাস্টিক দূষণের মুখে পড়ছে পৃথিবী। মানুষের মস্তিষ্ক, রক্ত, বুকের দুধের পাশাপাশি নাড়ি ও ধমনিতেও প্রবেশ করছে ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা বা মাইক্রোপ্লাস্টিক। মাইক্রোপ্লাস্টিকের কারণে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে মানুষের শরীরে। সম্প্রতি এক গবেষণায় মাইক্রোপ্লাস্টিক স্বাস্থ্যের ওপর কতটা প্রভাব ফেলছে, তা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
যুক্তরাজ্যের বিজনেস ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের প্লাস্টিক বর্জ্যবিশেষজ্ঞ মার্ক হল জানিয়েছেন, মানুষের ওপর মাইক্রোপ্লাস্টিকের প্রভাব নিয়ে এখন প্রাথমিক পর্যায়ের গবেষণা চলছে। এরই মধ্যে প্লাস্টিক দূষণের কারণে নানা ধরনের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। আমরা যে নমুনাচিত্র তৈরি করেছি, তা গবেষণার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত মাইক্রোপ্লাস্টিক আমাদের চারপাশের পরিবেশে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। বাতাস থেকে শুরু করে খাবার, সবকিছুকে দূষিত করে ফেলছে মাইক্রোপ্লাস্টিক। কিছু পণ্যের ব্যবহার কমাতে পারলে এ ক্ষতি কমানো যেতে পারে। যদিও প্লাস্টিক বর্জ্য বড় একটি সমস্যা। এই সমস্যা মোকাবিলা করতে না পারলে পুরোপুরি সমস্যার সমাধান হবে না।
আরও পড়ুনমানুষের নাড়ি ও ধমনিতে প্লাস্টিক কণার খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা০১ মার্চ ২০২৪গবেষণার তথ্য মতে, মাইক্রোপ্লাস্টিকের বেশির ভাগ লক্ষণ শরীরের অভ্যন্তরে দেখা যায়। এসব পরিবর্তনের মধ্যে ত্বকে শুষ্কতা, লালচে ভাব ও জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা হয়ে থাকে। ত্বকের এন্ডোক্রাইনের সঙ্গে মাইক্রোপ্লাস্টিকের মিথস্ক্রিয়ার কারণে এসব ঘটছে। পেটের ফোলা ভাব, অস্বস্তি ও হজমের সমস্যার পাশাপাশি ক্লান্তিসহ নানা শারীরিক জটিলতা হয়ে থাকে। বাতাসে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতির কারণে কাশি ও শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যার পাশাপাশি শরীরের হরমোনের স্বাভাবিক কার্যক্রমও ব্যাহত হতে পারে। এর ফলে ওজন কমে যাওয়া, স্মৃতি বিভ্রাটসহ হাতের কাঁপুনিও হতে পারে।
আরও পড়ুনমানুষের মস্তিষ্কে প্লাস্টিক কণার উপস্থিতি দ্রুত বাড়ছে, উদ্বেগে বিজ্ঞানীরা০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫মাইক্রোপ্লাস্টিক থেকে রক্ষা পেতে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন কাজাখস্তানের নাজারবায়েভ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোপ্লাস্টিক গবেষক ডানা ঝাক্সিলিকোভা। তিনি জানান, মাইক্রোপ্লাস্টিক সর্বত্র রয়েছে। এরই মধ্যে মানুষের প্রায় সব অঙ্গেই মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। প্লাস্টিকের পানির বোতল বা কাগজের মতো যে কাপ আমরা ব্যবহার করি, সেখানেও প্লাস্টিক কণা আছে। সমস্যা সমাধানে কাচ বা ধাতুর তৈরি পানির বোতল ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া প্লাস্টিকের পাত্রের মাধ্যমে মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম না করার পাশাপাশি প্লাস্টিকের পাত্র, টি-ব্যাগ, কাগজের কাপ ও প্লেট এড়িয়ে চলতে হবে।
সূত্র: ডেইলি মেইল
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি