বিশ্বজুড়ে আইপিএলের কদর যে কতটা, তা আবারও প্রমাণ করলেন শ্রীলঙ্কার তরুণ অলরাউন্ডার কামিন্দু মেন্ডিস। সদ্য বিবাহিত এই ক্রিকেটার হানিমুন বাতিল করে আইপিএল খেলতে গেছেন ভারতে! শুধু তাই নয়, এক ম্যাচে দুই হাতেই বল করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সবাইকে।

আইপিএলের এবারের আসরে ৭৫ লাখ রুপিতে কামিন্দুকে দলে ভিড়িয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। গতকাল কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে বল হাতে মাঠে নেমে এক ওভার বোলিং করে মাত্র ৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। যদিও তার দল ৮০ রানে ম্যাচ হেরে গেছে, তবে নজর কাড়েন কামিন্দু তার অনন্য বোলিং দক্ষতায়। ইনিংসের ১৩তম ওভারে প্রথম, তৃতীয় ও চতুর্থ বল করেন বাঁ হাতে; আর দ্বিতীয়, পঞ্চম ও ষষ্ঠ বল করেন ডান হাতে। স্বীকৃত ক্রিকেটে এমন দক্ষতা খুবই বিরল। এর আগে কেবল হাশান তিলকরত্নে ও হানিফ মোহাম্মদের নাম পাওয়া যায় এই তালিকায়।

চলতি আইপিএলে যোগ দিতে আসার আগে দীর্ঘদিনের প্রেমিকা নিশনিকে বিয়ে করেন কামিন্দু। বিয়ের পর পরিকল্পনা ছিল দেশের বাইরে গিয়ে মধুচন্দ্রিমা কাটানোর। কিন্তু আইপিএলের ব্যস্ত সূচির কারণে সেই পরিকল্পনায় ছেদ পড়ে। শেষমেশ শ্রীলঙ্কার পাহাড়ঘেরা শহর হাপুতালেতেই সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য হানিমুন সেরে নেন তারা।

বিয়ের পরিকল্পনাকারী পাতুম গুনাবর্ধনা জানান, ‘হাপুতালেতে খুব অল্প সময়ের জন্য তারা মধুচন্দ্রিমায় ছিলেন। এরপরই কামিন্দুকে আইপিএলে যোগ দিতে হয়েছে, ফলে দেশের বাইরে যাওয়া আর হয়নি।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চিকিৎসার অভাবে শ্রমিক মৃত্যুর অভিযোগ, বন্দরে মহাসড়ক অবরোধ

অসুস্থ শ্রমিককে ছুটি না দেওয়া, চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবরোধ করেন শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাসড়কের মদনপুর অংশে তারা এ অবরোধ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিচারের আশ্বাসে এগারোটায় মহাসড়ক থেকে সরে যায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। 

শ্রমিকরা জানান, 'লারিস ফ্যাশন' নামে একটি রপ্তানিমুখি গার্মেন্টসের নারী শ্রমিক রিনা (৩০) অসুস্থ অবস্থায় ডিউটি করে যাচ্ছিলেন। গতকাল তিনি অসুস্থতা বোধ করলে কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেন। তবে কর্তৃপক্ষ তার আবেদনে কোনো সাড়া না দিয়ে কাজ করে যেতে বাধ্য করেন। পরে অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে সহকর্মীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শ্রমিক রিনা কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার দুলালের মেয়ে। অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ এ মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। 

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত আলী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সড়িয়ে দেন। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ও পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ