আমি নমিনেশন পাওয়ার ক্ষমতা রাখি, আমি নির্বাচন করব : শাহ আলম
Published: 4th, April 2025 GMT
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ্ আলম বলেছেন, আল্লাহর রহমতে আপনেরা চিন্তা করবেন না। আমি শাহ আলম নিবার্চন করলে নমিনেশন পাওয়ার ক্ষমতা রাখি। ইনশাল্লাহ আমি নির্বাচন করব। কারন আমি দেখতাছি শুনছি কি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) ফতুল্লা থানা বিএনপি অঙ্গ সংগঠন নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে এক বৈঠকে বসে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আমি যদি উসকাই দেই নেতাকর্মীদের মিছিলে তোমরা ভাংচুর চালাও। আমিতো জানি কি হবে। আমি যদি উসকাইয়া দেই তাহলে সব নেতাকর্মী নাইম্মা একটা ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হবে।
এতে করে কিন্তু আমার কোন ক্ষতি হবে না ক্ষতি হবে নেতাকর্মীদের। কিন্তু কেন বলি না তা তো আমি জানি। কারণ আমি এগুলা চাই না। আমার কাছে আপনারা সবাই নিরাপদ। কারণ আমি আমার প্রয়োজনে কোনদিন কাউকে ব্যবহার করি নাই করবো না।
শাহ আলম বলেন, গত পাঁচ এ আগস্ট এর পর থেকে অনেকে আমার কাছে এসে ভাই আসেন আমরা দ্বিধা দ্বন্দ্ব ভুলে একসাথে রাজনীতি করি। আমি কোনদিন চাইনি যে আমার পিছনে দাঁড়িয়ে কোন সন্ত্রাসীরা ছবি তুলুক।
তাহলে মানুষে বলবে এতদিন গডফাদার ছিল শামীম ওসমান এখন হল শাহ্ আলম। রাজনীতি করতে এসেছি দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করতে এবং সুনামের জন্য।
তিনি আরও বলেন, আমরা কয়েক দিনের মধ্যে সেন্ট্রাল কমিটি করব। এ কমিটি তাদেরকে নিয়ে করব যারা বিএনপিকে ভালোবাসে অথচ রাজনীতি করে না কিন্তু সমাজে তাদের ভালো অবস্থান রয়েছে তাদেরকে নিয়ে সেন্ট্রাল কমিটি করব।
যাদেরকে নিয়ে হাঁটলে ভোট পাওয়া যাবে তাদেরকে নিয়ে হাঁটতে হবে। যাদেরকে নিয়ে হাঁটলে দলের ভোট কমবে তাদেরকে নিয়ে হাঁটা যাবে না। আর তোমরা এমন কোন কাজ করবে না জানি দলের দুর্নাম হয় দলের সুনাম হয় এমন কাজ করতে হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ত র ক রহম ন ন ত কর ম
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়।
গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।
টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন।
এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’
সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।