আইপিএলের চলতি মৌসুমেও ভালো শুরু পায়নি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। চার ম্যাচে মাত্র এক জয় পেয়েছে তারা। শুক্রবার রাতের ম্যাচে লক্ষ্নৌ সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে জয়ের পথে ছিল হার্ডিক পান্ডিয়ার দল। কিন্তু তিলক ভার্মা স্লগে রান করতে না পারায় ১২ রানে হেরেছে মুম্বাই।
ভারতীয় জাতীয় দলের তরুণ মারকুটে ব্যাটার তিলকের যেন ‘ডে অফ’ চলছিল। ২৩ বলে মাত্র ২৫ রান করতে পারেন তিনি। ব্যাট থেকে রান না আসায় ৭ বল থাকতে রিটায়ার্ড আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন বাঁ-হাতি এই ব্যাটার। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২২ রান থাকলে তা করতে পারেনি মুম্বাই।
আইপিএলে এটি চতুর্থ রিটায়ার্ড আউটের ঘটনা। যার যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০২২ সালে রবিশচন্দন অশ্বিনের দ্বারা। পরের বছর অর্থব তাইদে ও সাই সুদর্শন রিটায়ার্ড আউটের পথ বেছে নেন।
ম্যাচে লক্ষ্নৌ শুরুতে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২০৩ রান করে। দলটির দুই ওপেনার ফিফটি করেন। মিশেল মার্শ ৩১ বলে ৯টি চার ও ২ ছক্কায় ৬০ রান করেন। এইডেন মার্করাম ৩৮ বলে ৫৩ রান যোগ করেন। আয়ূশ বাদানি ১৯ বলে ৩০ ও ডেভিড মিলার ১৪ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলেন। চলতি আইপিএলের সবচেয়ে দামী ঋষভ পান্ত এ ম্যাচেই ব্যর্থ ছিলেন। মাত্র ২ রান করতে পারেন তিনি।
জবাবে মুম্বাই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ১৭ রানে দুই ওপেনার উইল জ্যাক ও রায়ান রিকেলটনকে হারায়। তিনে নামা নামান ধর ও চারে ব্যাট করা সূর্যকুমার যাদব দলকে ম্যাচে ফেরান। নামান ২৪ বলে তিন ছক্কা ও চারটি চারের শটে ৪৬ রান করেন। সূর্যকুমার ৪৩ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন। নয় চারের সঙ্গে একটি ছক্কা মারেন তিনি। অধিনায়ক হার্ডিক পান্ডিয়া ১৬ বলে ২৮ রান যোগ করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত লক ভ র ম র ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।