দেশে ৪৭ দিনের মাথায় ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার একটি হাসপাতালে ডেঙ্গুতে মধ্যবয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ গত ১৭ ফেব্রুয়ারি একই এলাকার হাসপাতালে মধ্যবয়সী আরেক নারীর মৃত্যু হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে। এ নিয়ে চলতি বছর এ পর্যন্ত ১৪ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হলো। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন ও জানুয়ারিতে ১০ জন মারা যান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানের হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে ১০ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ জন রয়েছেন বরিশাল বিভাগে। অন্য চারজনের মধ্যে তিনজন ঢাকা উত্তর সিটির করপোরেশন এলাকায় এবং একজন করে রয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও খুলনা বিভাগে।
চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মানুষের সংখ্যা ১ হাজার ৯০২। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ জনসহ হাসপাতাল থেকে ছাড় পেয়েছেন ১ হাজার ৮২৬ জন।
দেশে ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড হয়। ওই বছর ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মৃত্যু হয় ১ হাজার ৭০৫ জনের। আর গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৫৭৫ জনের মৃত্যু হয়, হাসপাতালে ভর্তি হন ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নায়িকা হতে আসিনি, তবে...
গুটি, সুড়ঙ্গ, মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন থেকে ওমর—সব সিনেমা-সিরিজেই প্রশংসিত হয়েছে আইমন শিমলার অভিনয়। অল্প সময়ের উপস্থিতিতেও নিজের ছাপ রাখতে পেরেছেন এই তরুণ অভিনেত্রী। ধূসর চরিত্রেও তিনি সাবলীল, অন্য তরুণ অভিনেত্রীদের থেকে এখানেই আলাদা শিমলা। তবে একটা কিন্তু আছে। এখন পর্যন্ত তাঁর অভিনীত আলোচিত চরিত্রগুলোর সবই চাটগাঁইয়া। শিমলা নিজে চট্টগ্রামের মেয়ে, একটা সময় পর্যন্ত বন্দরনগরীর বাইরে চেনাজানা ছিল সীমিত। এক সিরিজে তাঁর চাটগাঁইয়া ভাষা আলোচিত হওয়ায় পরপর আরও কাজে তাঁকে চাটগাঁইয়া চরিত্রের জন্য ভেবেছেন নির্মাতা।
এ প্রসঙ্গ দিয়েই অভিনেত্রীর সঙ্গে আলাপের শুরু করা গেল। শিমলা জানালেন, এ নিয়ে তাঁর নিজেরও অস্বস্তি আছে। চেষ্টা করছেন ‘চাটগাঁইয়া দুনিয়া’র বাইরে যেতে। সঙ্গে এ–ও জানিয়ে রাখলেন, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তাঁর নিজের চরিত্র পছন্দ করে নেওয়ার সুযোগ কমই ছিল।
‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শুটিংয়ের ঠিক আগে জেনেছি চরিত্রটি সম্পর্কে। তখন তো কিছু করার থাকে না। তবে যেসব কাজ করেছি, সবই আলোচিত পরিচালক আর অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে; এ অভিজ্ঞতার মূল্যও কম নয়। শিহাব (শিহাব শাহীন) ভাইয়ের সঙ্গে মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, কাছের মানুষ দূরে থুইয়া, রবিউল আলম রবি ভাইয়ের সঙ্গে ফরগেট মি নট আমাকে সমৃদ্ধ করেছে। এ ছাড়া (শহীদুজ্জামান) সেলিম ভাইয়ের কথা বিশেষভাবে বলব। সুড়ঙ্গ ও ওমর—দুই সিনেমায় তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন,’ বলছিলেন তিনি।
ঈদে মুক্তি পাওয়া এম রাহিমের সিনেমা জংলিতেও আছেন শিমলা। এ ছবিতে অবশ্য তাঁর চরিত্রটি চাটগাঁইয়া ভাষায় কথা বলে না। সে জন্য সিনেমাটি নিয়ে তিনি বেশি উচ্ছ্বসিত। ‘মুক্তির পর থেকে সিনেমা তো বটেই, আমার অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে প্রশংসা পাচ্ছি কিন্তু দুঃখের কথা, আমি নিজেই এখনো দেখতে পারিনি। ব্যক্তিগত ঝামেলা, শুটিংয়ে ব্যস্ততার কারণে সম্ভব হয়নি। শিগগিরই আমার টিমের সঙ্গে দেখতে চাই,’ বলছিলেন তিনি।
আইমন শিমলা