দুই ব্রিটিশ আইনপ্রণেতাকে আটক করেছে ইসরায়েল
Published: 6th, April 2025 GMT
যুক্তরাজ্যের আইনসভার দুই সদস্যকে আটক করেছে ইসরায়েল। ব্রিটিশ আইনসভার একটি প্রতিনিধিদলের অংশ হিসেবে তাঁরা ইসরায়েল সফরে গিয়েছেন। তবে তাঁদের কোনো কার্যালয়ে ঢুকতে দেয়নি ইসরায়েল।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
ইসরায়েলের অভিবাসন মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাতে স্কাই নিউজ বলেছে, আটক দুই আইনপ্রণেতা হলেন ব্রিটিশ লেবার পার্টির ইউয়ান ইয়াং ও আবতিসাম মোহামেদ। দেশটির সন্দেহ, ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যকলাপ নথিভুক্ত করা ও ইসরায়েলবিরোধী ঘৃণা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। তাই তাঁদের আটক করা হয়েছে।
ইয়াং নির্বাচনী এলাকা আর্লি ও উডলির প্রতিনিধি এবং মোহামেদ শেফিল্ড সেন্ট্রালের প্রতিনিধি। উভয়ই গতকাল লুটন থেকে ইসরায়েলে যান।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যামি বলেছেন, ‘ইসরায়েল সরকারে আমার প্রতিপক্ষ বন্ধুকে আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যদের সঙ্গে এমন আচরণ করা উচিত না। আমরা আজ রাতে (গতকাল শনিবার রাতে) পার্লামেন্টের ওই দুই সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং তাঁদের সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যামি আরও বলেন, যুক্তরাজ্য সরকারের লক্ষ্য গাজায় রক্তপাত বন্ধ করা, জিম্মিদের মুক্ত করা এবং যুদ্ধ বন্ধে একটি যুদ্ধবিরতি ও আলোচনায় ফিরে আসা নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুনপ্রথমবারের মতো গাজায় আকাশপথে ত্রাণ পাঠিয়েছে যুক্তরাজ্য২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েল যেসব শর্ত না মানলে সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য
ইসরায়েল কিছু শর্ত না মানলে আগামী সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার নিজ মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় এ কথা বলেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। শর্তগুলোর একটি হলো—গাজায় ‘ভয়াবহ পরিস্থিতির’ অবসানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে ইসরায়েল সরকারকে। যুক্তরাজ্য সরকারের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেছেন স্টারমার। ইসরায়েল গাজায় ভয়াবহ পরিস্থিতির অবসানে পদক্ষেপ না নিলে, যুদ্ধবিরতিতে না গেলে, পশ্চিম তীরে দখলদারি থামানোর বিষয়ে প্রতিশ্রুতি না দিলে এবং দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের জন্য দীর্ঘমেয়াদি শান্তিপ্রক্রিয়ার প্রতিশ্রুতি না দিলে এ স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘তিনি (স্টারমার) আবারও জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে কোনো তুলনা চলে না। হামাসের প্রতি আমাদের দাবিগুলোয় কোনো পরিবর্তন আসেনি। হামাসকে অবশ্যই সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে হবে, এটা মেনে নিতে হবে যে গাজার প্রশাসনে তাদের কোনো ভূমিকা থাকবে না এবং অস্ত্র পরিত্যাগ করতে হবে।’
গ্রীষ্মকালীন ছুটির মধ্যেই মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্টারমার। এই বৈঠকেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বৈঠকে তিনি ইউরোপের অন্য নেতাদের সঙ্গে নিয়ে প্রস্তাবিত নতুন একটি শান্তি পরিকল্পনা এবং গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে স্টারমারের ওপর চাপ ক্রমেই বাড়ছিল। দিন কয়েক আগে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে তাঁর উদ্দেশে চিঠি লেখেন যুক্তরাজ্যের ২২১ জন আইনপ্রণেতা। তাঁদের মধ্যে স্টারমারের দল লেবার পার্টির আইনপ্রণেতারাও ছিলেন।
সম্প্রতি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবেন তিনি। এখন পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় ১৩৯টি দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
আরও পড়ুনফ্রান্স কেন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে, আসল কারণ কী১৬ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীকে ২২১ আইনপ্রণেতার চিঠি২৬ জুলাই ২০২৫