পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় সোনাতলা নদীতে জেলের জালে ১২ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ ধরা পড়েছে। শনিবার (৫ এপ্রিল) রাতে স্থানীয় জেলে মো. নূরুল ইসলামের জালে মাছটি ধরা পড়ে। পরে মাছটি স্থানীয় বাজারে ৯২৯ টাকা কেজি দরে ১১ হাজার ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়।

জেলে নূরুল ইসলাম জানান, তিনি প্রতিদিনের মতো সোনাতলা নদীতে জাল ফেলেছিলেন। জাল টানতে গিয়ে দেখেন, ভারি কিছু আটকে আছে। পরে দেখেন, একটি বড় কোরাল মাছ। সময়মতো উপযুক্ত ক্রেতা না পাওয়ায় কম দামে মাছটি বিক্রি করতে হয়েছে বলে জানান তিনি। 

স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, ঢাকাসহ বড় শহরে এই ধরনের মাছের কেজি দেড় হাজার থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। সেই হিসেবে মাছটির দাম প্রায় দ্বিগুণ হওয়া উচিত ছিল।

আরো পড়ুন:

জেলের জালে ৩৪ কেজির ভোল মাছ, সাড়ে তিন লাখে বিক্রি 

২৮ কেজির কাতল ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি

কলাপাড়া সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, কোরাল উচ্চমূল্যের সামুদ্রিক মাছ, যা সাধারণত গভীর সমুদ্রে পাওয়া যায়। তবে নদীতে এত বড় কোরাল মাছ ধরা পড়া ভাগ্যের বিষয়।

ঢাকা/ইমরান/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের হাই অ্যালার্ট

পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের সাথে চলমান উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে, “ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের কর্মকাণ্ড এবং সেখানে পাকিস্তানের আইএসআই ও পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তাদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সীমান্তে সংস্থাগুলোকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাকিস্তান তার বাংলাদেশি প্রতিপক্ষদের সাথে সাথে সেখানকার উগ্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলির সাথে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করছে। দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা শুরু হলে ভারতের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পাকিস্তান সম্ভবত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় এলাকায় সমর্থনকারী এই উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করতে পারে।”

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের প্রতি বৈরী মনোভাব প্রকাশ করছে ভারত। দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো বাংলাদেশ নিয়ে নিয়মিতভাবে ভুয়া নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করছে। এর পাশাপাশি ভারতে ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির নেতারা বাংলাদেশের ব্যাপারে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে দাঙ্গার পর ভারতীয় সংস্থাগুলো বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদ জেলায় সহিংসতায় তিনজন নিহত এবং শত শত আহত হয়। 

প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় ২২ জন নিহত হন। এ ঘটনার জন্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে ভারত। গত কয়েক দিন ধরেই দুই দেশের সীমান্তে গুলি বিনিময় হচ্ছে। বুধবার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, ভারত আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে আক্রমণ করতে পারে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ