এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানা পুলিশ। খবর পেয়ে স্থানীয় যুবদলের দুই নেতা মদ্যপ অবস্থায় থানায় ওই আসামিকে ছাড়াতে যান। তারা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণ ও গালিগালাজ করেন। পরে পুলিশ ওই দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনায় যুবদলের ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এবং পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

বরিবার (৬ এপ্রিল) গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিঙ্গাইর থানার ওসি জে ও এম তৌফিক আজম বলেন, “দুই আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।”

আরো পড়ুন:

জলাশয় ইজারার বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত

বেঁদেপল্লীতে যুবককে হত্যা: ওসির অপসারণ দাবি

গ্রেপ্তার দুইজন হলেন- সিঙ্গাইর পৌর যুবদলের সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম ওরফে জীবন (৪৫) ও পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য শফিকুল ইসলাম (২৬)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করে সিঙ্গাইর থানা পুলিশ। রাত ৯টার দিকে যুবদলের স্থানীয় দুই নেতা থানায় গিয়ে পুলিশ সদস্যদের আসামি ছাড়তে বলেন। তারা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণ ও গালিগালাজ করতে থাকেন।পুলিশ মদ্যপ অবস্থায় তাদের আটক করে। পরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

সিঙ্গাইর থানার ওসি জে ও এম তৌফিক আজম বলেন, “মদ্যপ অবস্থায় ওই দুই ব্যক্তি থানায় আসেন। এরপর তারা এজাহারভুক্ত গ্রেপ্তার এক আসামিকে ছাড়তে বলেন। পুলিশ সদস্যদের গালিগালাজ করেন তারা। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এবং পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। রবিবার দুপুরে গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়।”

মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন জানান, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। দলের পক্ষ থেকে ঘটনাটি তদন্ত করা হবে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে যুবদলের ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংগঠনবিরোধী ও দেশের প্রচলিত আইনবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে সংগঠনের কেউ জড়িত থাকলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

ঢাকা/চন্দন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অসদ চরণ য বদল র ওই দ ই

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ