মার্চ মাসে সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড করেছে নগদ
Published: 7th, April 2025 GMT
সদ্য সমাপ্ত মার্চ মাসে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন সেবা নগদ একমাসে সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড করেছে। শেষ হওয়া এই মাসে প্রতিষ্ঠানটি ৩৪ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন করেছে। এই অসামান্য অর্জন উপলক্ষ্যে কয়েক কোটি নিবন্ধিত গ্রাহকের বিশাল পরিবারের সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে নগদ কর্তৃপক্ষ।
যাত্রা শুরুর ছয় বছরের মধ্যে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ মোবাইল আর্থিক সেবা হিসেবে বাজারে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে নগদ। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক সংখ্যা ও লেনদেন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ মাসে প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ লেনদেনের অঙ্ক পার করল। এর আগে ২০২৪ সালের জুন মাসে প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকার লেনদেন করে প্রতিষ্ঠানটি।
রেকর্ড গড়া এই লেনদেনের অধিকাংশই ছিল ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, সেন্ড মানি, পেমেন্ট এবং মোবাইল রিচার্জ। মার্চ মাস জুড়ে নগদ পেমেন্টে চলা ‘উৎসবের খুশি নগদে বেশি’ ক্যাম্পেইনে প্রতিঘণ্টায় উপহার জেতার সুযোগ দিয়েছিল নগদ। এই ক্যাম্পেইনও বাজারে বেশ সাড়া ফেলে। আর এসব লেনদেনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লেনদেনের নতুন রেকর্ড গড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
নতুন এই মাইলফলক অর্জন উপলক্ষ্যে সব গ্রাহক, কর্মী, উদ্যোক্তাসহ সম্পৃক্ত সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নগদের প্রশাসক মো.
মো. মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন প্রতিষ্ঠান হিসেবে বর্তমানে নগদ আরও উন্নত সেবার মাধ্যমে গ্রাহকের অর্থের অধিকতর নিশ্চয়তা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে নতুন নতুন গ্রাহক নগদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন এবং তারাও স্বাচ্ছন্দ্যে আগের চেয়ে বেশি লেনদেন করছেন।
সর্বোচ্চ লেনদেনের এই মাসে একদিনে সর্বোচ্চ লেনদেন হয় ২০ মার্চ। এদিন নগদের গ্রাহকেরা দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন করেন। এর আগে চলতি বছরটিও চমক দিয়ে শুরু করেছিল নগদ। গত ৯ জানুয়ারি একদিনে সর্বোচ্চ দুই হাজার কোটি টাকা লেনদেনের ল্যান্ডমার্ক অতিক্রম করে প্রতিষ্ঠানটি। ওইদিন নগদে লেনদেন হয়েছিল প্রায় ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশের সামগ্রিক ডিজিটাল লেনদেন নতুন উচ্চতায় উঠে যাওয়ায় অনন্য ভূমিকা রাখছে নগদ।
বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল সেবা হিসেবে যাত্রা শুরু করার পর থেকে একের পর এক উদ্ভাবন ও গ্রাহকবান্ধব সেবার কারণে নগদের গ্রাহক সংখ্যা দ্রুততার সঙ্গে বাড়তে থাকে। এখনও নগদের অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিদিন এই সেবাটিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্রাহক যুক্ত হচ্ছেন।
ঢাকা/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ চ ল নদ ন র গ র হক র কর ড নগদ র
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হিন্দু নেতাদের সাক্ষাৎ
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিভিন্ন পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতারা সাক্ষাৎ করেছেন। তাঁরা এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান।
আজ সোমবার বিকেলে হিন্দু নেতারা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যান। এ সময় তাঁদের কাছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি ও সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি তাঁদের বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে সব সময় দেখা করার ইচ্ছা থাকলেও সুযোগ হয় না। পূজা উপলক্ষে বছরে একবার সামনাসামনি দেখা হয়, কথা বলার সুযোগ হয়।’
হিন্দুধর্মীয় নেতারা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর এক হাজারের বেশি পূজামণ্ডপ বেড়েছে। সারা দেশে পূজামণ্ডপ তৈরির কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে।
নেতারা বলেন, ধর্ম উপদেষ্টা নিয়মিতভাবে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, মন্দির পরিদর্শন করেন। দুর্গাপূজা উৎসবমুখর করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হচ্ছে। গতবারের মতো এবারও নির্বিঘ্নে পূজা উদ্যাপন হবে বলে তাঁরা আশা করছি।
এ সময় স্থায়ী দুর্গামন্দিরের জন্য রেল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জায়গা বরাদ্দ দেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান মহানগর পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব। তিনি বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এ জন্য আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ। আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নিয়মিত আমাদের খোঁজখবর রেখেছেন। গত বছরের মতো এ বছরও পূজায় আমরা দুই দিন ছুটি পেয়েছি। এ জন্যও আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ। গত বছর ৮ আগস্ট দেশে ফেরার পরপরই আপনি ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করে বলেছিলেন, আমরা সবাই এক পরিবার। আপনার বক্তব্য আমাদের মনে গভীরভাবে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর বলেন, ‘গত বছর দুর্গাপূজায় ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে আপনি বলেছিলেন, নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে কড়া পাহারা বসিয়ে পূজা হবে এমন দেশ আমরা চাই না। আমরা প্রথমবারের মতো কোনো সরকারপ্রধানের কাছে এমন বক্তব্য শুনেছি। আমরাও আপনার বক্তব্যের সঙ্গে একমত, আমরাও চাই এ আয়োজনে সবাই সহযোগিতা করুক, দেশের সবার মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকুক।’
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব এস এন তরুণ দে বলেন, ‘আপনি দায়িত্বে থাকাকালীন দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির স্থাপন করেছেন। আমরা লক্ষ করেছি, এক বছর ধরে, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর মিথ্যা কথা, ফেক নিউজ ছড়ানো হচ্ছে। আপনার নেতৃত্বে ধর্ম–বর্ণ–জাতিনির্বিশেষে বাংলাদেশের সব মানুষের কল্যাণ হবে, আমরা সেটাই কামনা করি।’
বৈঠকে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘ধর্ম মন্ত্রণালয় সব ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করে। কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে আমরা কল্যাণকর কর্মসূচিগুলো নিশ্চিত করি।’ এ সময় তিনি বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন।
প্রধান উপদেষ্টা সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও পূজার অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান এবং দুর্গাপূজা ঘিরে যাতে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের সুযোগ তৈরি না হয়, সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার ও সচিব দেবেন্দ্র নাথ উঁরাও, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণানন্দ (একক), বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজসংস্কার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, শ্রীশ্রী গীতা হরি সংঘ দেব মন্দিরের সভাপতি বিমান বিহারী তালুকদার, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক অপর্ণা রায় দাস, শ্রীশ্রী সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র দত্ত ও সিদ্ধেশ্বরী সর্বজনীন পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রণীতা সরকার উপস্থিত ছিলেন।