ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান বর্বরতার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে কুমিল্লায় কেএফসি রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।

সোমবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে নগরীর রাণীরবাজার নজরুল এভিনিউ এলাকার কেএফসির শাখায় বিক্ষোভকারীরা ভাঙচুর চালায়।  

এর আগে নগরীর বিভিন্ন জায়গা থেকে বেশ কয়েকজনের একটি দল এসে রাণীরবাজার এলাকায় জড়ো হতে থাকে। এক পর্যায়ে কেএফসি ভাঙচুর চালায় তারা৷ পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে উপস্থিতি হয়।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেশ কয়েকজনের একটি দল কুমিল্লা নগরীর রাণীর বাজার এলাকার কেএফসির সামনে এসে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে জড়ো হয়। বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে কেএফসি’র দিকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর চালায়। বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ রেস্টুরেন্টটির ভিতরে ঢুকেও ভাঙচুর চালায়।

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম জানান, কেএফসির সামনে আগে থেকেই পুলিশ ছিল। কিন্তু, মাগরিবের নামাজ শুরু হওয়ার পর সেখানে সাত আট জন মিলে কেএফসির ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই তারা এই ঘটনা ঘটায়। পুলিশ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

ঢাকা/রুবেল/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক এফস র

এছাড়াও পড়ুন:

চেন্নাইয়ের বিদায়, অবসরের ইঙ্গিত দিলেন ধোনি!

আইপিএল ২০২৫-এর প্লে-অফে জায়গা হলো না চেন্নাই সুপার কিংসের। ঘরের মাঠ এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব কিংসের কাছে ৪ উইকেটে হেরে এবারের আসর থেকে ছিটকে গেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর শুধু চেন্নাইয়ের বিদায়ই নয়, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ধোনি। শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন—এটাই কি তার শেষ আইপিএল?

ম্যাচ শুরুর আগেই টসের সময় ধোনিকে ঘিরে তৈরি হয় রহস্য। ধারাভাষ্যকার ড্যানি মরিসনের সরাসরি প্রশ্ন ছিল, ধোনি কি আগামী মৌসুমেও আইপিএলে দেখা যাবে? জবাবে হেসে ধোনি বলেন, ‘আমি তো জানি না পরের ম্যাচেই খেলব কি না।’ এই মন্তব্যেই ধোনির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। যদিও ম্যাচ শেষে নিজের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ধোনি। তাকেও সে ব্যাপারে আর প্রশ্ন করেননি সঞ্চালক।

ধোনির মন্তব্যে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান উইকেটকিপার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বলেন, ‘ধোনি একজন চিরস্মরণীয় কিংবদন্তি। তার আর কিছু প্রমাণের নেই। সম্ভবত এবার সরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। যদিও ভক্তদের জন্য তা কষ্টদায়ক হবে।’

 চেন্নাই প্রথমে ব্যাট করে ১৯১ রান তোলে। স্যাম কারানের ৮৮ রানের ইনিংস ছাড়া ব্যাট হাতে কেউই তেমন জ্বলে উঠতে পারেননি। শেষ দিকে যুজবেন্দ্র চাহালের হ্যাটট্রিকে মাত্র ৪ বল বাকি থাকতে গুটিয়ে যায় ইনিংস। চাহাল ৪ উইকেট নেন, জানসেন ও আর্শদীপ নেন ২টি করে।

জবাবে পাঞ্জাবের হয়ে ঝড়ো সূচনা এনে দেন প্রিয়াংশ আর্য ও প্রভসিমরান সিং। প্রভসিমরান খেলেন ৩৬ বলে ৫৪ রানের দারুণ ইনিংস। এরপর শ্রেয়াস আইয়ারের ৭২ রানের অনবদ্য ইনিংস এবং শশাঙ্ক সিংয়ের শেষের ২৩ রানের ক্যামিওতে দুই বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় পাঞ্জাব। এই জয়ে তারা উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ