বৃহস্পতিবার থেকে অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি পরীক্ষায় রংপুর বিভাগের আট জেলায় এক লাখ ৮২ হাজার ৪১০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থী এক লাখ ৪৯ হাজার ৬৪৩ জন, অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ৩২ হাজার ৪৪৩ জন এবং জিপিএ উন্নয়ন রয়েছে ৩২৪ জন। দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের আওতায় ২৭৬৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এসব পরীক্ষার্থী মোট ২৮০টি কেন্দ্রের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশ নেবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বিভাগের আট জেলার মধ্যে রংপুরে ৫১টি কেন্দ্রে ৩২৯৮৫ জন, গাইবান্ধার ৪০টি কেন্দ্রে ২৫৩০৩ জন, নীলফামারীর ২৭টি কেন্দ্রে ২১১২১ জন, কুড়িগ্রামের ৩৪টি কেন্দ্রে ২০৫৩৪ জন, লালমনিরহাটের ২০টি কেন্দ্রে ১৩৮৫৫ জন, দিনাজপুরের ৬২টি কেন্দ্র ৩৮১৩২ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ২৪টি কেন্দ্রে ১৭৯৮৪ জন এবং পঞ্চগড়ের ২২টি কেন্দ্রে ১২৪৯৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড দিনাজপুরের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মীর সাজ্জাদ আলী জানান, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বোর্ডের আওতায় রংপুর বিভাগে এক লাখ ৮২ হাজার ৪১০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ছাত্র ৯২৬৭০ জন এবং ছাত্রী ৮৯৭৪০ জন। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এসএসস পর ক ষ র থ পর ক ষ য় এক ল খ

এছাড়াও পড়ুন:

ফুডপ্যান্ডার ডেলিভারি বয় থেকে সফল ফ্রিল্যান্সার আবু সালেহ, মাসে আয় কত জানেন

পরিবারের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। অভাবের সংসারে নিজেকে একরকমের বোঝাই মনে করতেন। কিছু একটা করা দরকার। পরিস্থিতি যেন আবু সালেহ আহমেদকে দিন দিন আরও বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অনেক স্বপ্ন দেখেছেন, সেই স্বপ্নে নিজেকে অটুট রেখেছেন। আর পাড়ি দিতে হয়েছে অনেকটা পথ। ধৈর্য নিয়ে নিজের স্বপ্নের দিকে তাকিয়ে আজ সালেহ নিজেকে বলতেই পারেন একজন সফল ফ্রিল‍্যান্সার। কেননা এখন তিনি মাসে আয় করেন তিন লাখ টাকা।

আবু সালেহ আহমেদ। ডাকনাম আফনান। বাবা মো. কুতুব উদ্দিন শেখ মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এখন অবসর নিয়েছেন। মা সাজেদা খাতুন গৃহিণী। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার তারাপুর গ্রামের আবু সালেহ আহমেদ এখন অবশ্য এলাকায় থাকেন না। থাকেন ঢাকার কাঁঠালবাগানে। এখান থেকেই আফনান গড়ে মাসিক তিন লাখ টাকা আয় করেন। ছোট্ট একটা অফিসও নিয়েছেন, যেখানে চারজন ছেলেমেয়ের কর্মসংস্থান করেছেন।

২০১৬ সালে সেনগ্রাম ফাজিল মাদ্রাসা থেকে এসএসসি পাসের পর ২০২০ সালে লক্ষ্মীপুর সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন আবু সালেহ আহমেদ। এখন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে স্থাপত্য বিভাগে চতুর্থ বর্ষে পড়ছেন। ছাত্রাবস্থাতেও তাঁর মাসিক আয় কোনো কোনো মাসে পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যায়। ২৭ বছর বয়সী আবু সালেহ আহমেদ বিয়ে করেছেন গত বছর। স্ত্রীর নাম ফাতেমা জোহরা।

পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়াই ছিল কঠিন

আফনান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আসলে মাদ্রাসা থেকে এসএসসি পাস করে বের হয়েছি। তখন ইচ্ছা থাকলেও আমাদের সামর্থ্য ছিল না ভালো জায়গায় পড়ার। আমার চার বছর যে সম‍য়টা কেটেছে, আসলে খুব কষ্টে কেটেছে। কলেজে আমি এক্সট্রা কারিকুলামে ভালো ছিলাম, ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি ছিলাম, বেশ কিছু জায়গায় বিতর্ক করে চাম্পিয়নও হয়েছি। স‍্যারদের চোখে পড়েছি। একসময় আর পেরে উঠছিলাম না, তাই দুই বছর পড়তে পড়তেই টিসি (ট্রান্সফার সার্টিফিকেট) নিতে গিয়েছিলাম। লক্ষ্মীপুর সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষকেরা আমার কথা শুনে পড়াশোনা করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। যার ফলে আমি পড়াশোনাটা শেষ করেছি।’

আবু সালেহ আহমেদ প্রথম আলোকে আরও বলেন, ‘দিনগুলো কঠিন ছিল। টিউশনি করাতাম। ১ হাজার ৫০০ টাকা পেতাম। ১ হাজার টাকা মেসভাড়া ও ৫০০ টাকায় খাওয়া। সকালে ও রাতে খেতাম। মাসে তা–ও খাওয়ার বিল আসত ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা। মেসের বাকিরা সেটা দিয়ে দিত। তারপর একদিন ২ হাজার ৫০০ টাকার একটা টিউশনি পেয়ে একটু যেন শক্তি পেলাম। এভাবেই আমার ডিপ্লোমার চার বছর কেটেছে।’

একবুক স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায়

২০২০ সালে ডিপ্লোমা পড়া শেষ করেই একবুক স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন আবু সালেহ আহমেদ। এসেই শুরু করেন আবার জীবনসংগ্রাম। কোথাও কাজ পাচ্ছিলেন না। শেষমেশ ফুডপ্যান্ডায় রাইডার (ডেলিভারি বয়) হিসেবে কাজ নেন তিনি। কিন্তু শুধু ফুডপ্যান্ডায় কাজের আয় দিয়ে তাঁর চলছিল না। তখন থেকেই কাজের পাশাপাশি কিছু একটা করার চেষ্টা করছিলেন। কিছু জায়গায় খোঁজ নিয়ে ভর্তি হয়ে যান তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণের প্রতিষ্ঠান ক্রিয়েটিভ আইটিতে। খাবার ডেলিভারির পাশাপাশি কাজও শিখতেন।

আবু সালেহ আহমেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফুডপ্যান্ডার ডেলিভারি বয় থেকে সফল ফ্রিল্যান্সার আবু সালেহ, মাসে আয় কত জানেন