নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের ঘোষিত গ্রীন এন্ড ক্লিন কার্যক্রম বাস্তবায়নের অংশীদার হিসেবে কাজ করছে নারারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন।

নগর পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে শহরের চারপাশ থেকে অপসারণকৃত ফ্যাস্টুন, ব্যানারসহ নানা উচ্ছিষ্ট নগর ভবনের মুল প্রবেশদ্বারের পাশের বাগানে ফেলে তৈরী করে ফেলেছে আর্বজনার স্তুপ । এতে বিনষ্ট হচ্ছে দেশী বিদেশি বৃক্ষের চারার সমন্বয়ে গড়ে উঠা বাগান ও বাগানের অপরূপ সৌন্দর্য্য। 

বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুর  ১২ টায় নগর ভবনে আসা অনেকেই এ দৃশ্য দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন। এ নিয়ে শহর জুড়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা । 

অনেকের মতে জনগনের মনোনিত মেয়র নেই বলে আজ নগর ভবন অবহেলিত। আর যাহারা দ্বায়িত্বে রয়েছেন তারা তাদের কর্তব্যে উদাসীন। অপসারণ করে আনা এই মালামাল গুলো কি কারনে এনে এভাবে ভবনে  চোখের সামনে সাজানো পরিচ্ছন্ন বাগানে রাখা হয়েছে তা বোধগম্য নয়।  

অনেককেই আক্ষেপ করে বলতে দেখা যায়, সাবেক মেয়র কার্যালয়ে প্রবেশ করে প্রথমেই চোখ রাখতেন এই বাগানের দিকে।

বাগানে রোপণ করা গাছগুলো ঠিক মতো পরিচর্যা হয়েছে কিনা তা তিনি হেটে হেটে দেখতেন সময় করে নিজেও যত্ন নিতেন। আজ মেয়র নেই বলে নগর ভবনের সবকিছুর উজ্জ্বলতা ও পরিচর্যা যেনো অবহেলিত হয়ে পড়ছে।

এদিকে প্রতিদিন এই নগর ভবনে সেবা গ্রহণে ও ভবনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বহু মানুষের আগমন ঘটে।

কিন্তু প্রবেশ পথের পাশে বাগানে নানা আবর্জনার স্তুপ দেখে নগরবাসী বিচলিত। তাদের দাবি দ্রুত এই স্থান থেকে আবর্জনা অপসারণ করে বাগান ও নগর ভবনের  সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা হোক। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ নগর ভবন র প রব শ

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের কার্যক্রমে ‘অনিয়ম ও হয়রানি’ বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের কার্যক্রমে ‘অনিয়ম ও হয়রানির’ বিরুদ্ধে আট দফা দাবি উত্থাপন করে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। বুধবার বিকেলে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হকের কাছে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগে সংস্কার কার্যক্রম চললেও রেজিস্ট্রার ভবন এখনো পুরোনো ত্রুটিপূর্ণ প্রশাসনিক ধাঁচে পরিচালিত হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিমা, সনদ উত্তোলন, ডিজিটাল কার্যক্রম, কর্মচারীদের ব্যবহারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের হয়রানি, বিলম্ব ও দুর্নীতি অব্যাহত রয়েছে।

শিক্ষার্থীরা যে আট দফা দাবি তুলে ধরেছেন, সেগুলো হলো স্বাস্থ্যবিমা–সংক্রান্ত হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং সময়মতো অর্থ দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে; মধ্যাহ্নভোজ ও বৈঠকের অজুহাতে সেবা বন্ধ না করে কার্যক্রম চালু রাখতে হবে; রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য ফি পরিশোধসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম ডিজিটাল করতে হবে; লালফিতার দৌরাত্ম৵ বন্ধ এবং অভিযোগ ব্যবস্থাপনা চালু  করতে হবে; অবৈধ নিয়োগ তদন্ত করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে; ওয়েবসাইট হালনাগাদ এবং কেন্দ্রীয় অনলাইন সেবা পোর্টাল চালু করতে হবে; কর্মচারীদের আচরণ উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে; সনদ ও মার্কশিট উত্তোলনের প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে এবং অতিরিক্ত ফি বাতিল করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্মারকলিপি দেন মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ, আবদুর রহমান আল-ফাহাদ, আশিক খান, রিয়াদুল ইসলাম, শামসুদ্দোহা শাকিল, শাহেদ ইমনসহ ১০ জন। এ সময় সহ–উপাচার্য সায়মা হক শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শোনেন এবং দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ