গফরগাঁওয়ে বিএনপির দু’গ্রুপে সংর্ঘষ, ৫ জনকে কুপিয়ে জখম
Published: 11th, April 2025 GMT
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার ও মার্কেট দখলকে কেন্দ্র করে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫ জনকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় পাগলা থানা এলাকার কান্দিপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতরা হলেন- পাগলা থানা কৃষক দলের সাবেক আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সুজন (৪৮), তার ছেলে উস্থি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এম.
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম। তিনি বলেন, আহত পাঁচজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে আসাদুজ্জামান সুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও পাগলা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আকতারুজ্জামান বাচ্চু জানান, বিএনপি থেকে বহিস্কৃত কবিরের নেতৃত্ব একটি চক্র এলাকায় চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে আসছিল। স্থানীয় বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান সুজন তাদের এসব কাজে বাঁধা দেওয়ায় এই হামলা চালানো হয়। অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি করছি।
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম আজ শুক্রবার সমকালকে বলেন, গফরগাঁওয়ে বিএনপির ৫টি গ্রুপ রয়েছে। প্রত্যেকটি গ্রুপ তাদের প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য বিভিন্নভাবে আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করে। তবে এসব হামলা ও সংঘর্ষের কারণ শুধুই ব্যক্তিকেন্দ্রিক। দল কখনো এর দায়ভার নিবে না। হামলাকারীদের মধ্যে একজনকে আগেই বহিষ্কার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় গফরগাঁও উপজেলা বিএনপির কমিটি বাতিল করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গতকালের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করা হবে। এ ঘটনায় জড়িতদেরকে সাংগঠনিক শাস্তির পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা দোষী, তাদেরকে অবশ্যই গ্রেপ্তার করতে হবে।
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারপিট হয়েছে। আহতরা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ময়মনস হ ব এনপ র ঘটন য এ ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
নান্দাইলে বাস-ইজিবাইক স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৬
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার কানুরামপুর বাজার বাসস্ট্যান্ড ও সেখানে থাকা ইজিবাইক স্ট্যান্ডের দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ছয়জন আহত হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের কানুরামপুরে এ ঘটনা ঘটেছে।। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও সেখানে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
নান্দাইলের কানুরামপুর বাসস্ট্যান্ডটি ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের ওপর একটি কোলাহলপূর্ণ এলাকা। বাসস্ট্যান্ড ও সড়কের ওপর ইজিবাইকসহ ব্যাটারিচালিত রিকশার স্ট্যান্ড থাকায় সেখানে সর্বক্ষণ যানজট লেগে থাকে। এছাড়া সম্প্রতি ঘোষিত জেলা মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের বাসস্ট্যান্ড রোড কমিটি নিয়ে কানুরামপুর বাসস্ট্যান্ডের দুইপাশে থাকা পালাহার ও দত্তপুর দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। দু’পক্ষই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একপক্ষ অপর পক্ষকে কয়েক ঘণ্টা ধরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চালাতে থাকে। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের উপর নির্বিচারে নিক্ষেপ করে। এতে দুই পক্ষের ৬ জন আহত হয়। সংঘর্ষের কারণে মহাসড়কের দুই দিক থেকে আসা যানবাহনের তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি টহল টিম ঘটনাস্থল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে কানুরামপুর বাজারে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায় গত বুধবার ময়মনসিংহ জেলা মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আইয়ূব আলী নান্দাইল উপজেলার কানুরামপুর রোড পরিবহন পরিচালনার জন্য ২৯ সদস্যের একটি কমিটি অনুমোদন দেন। এতে স্থানীয় ১০ জনকে উপদেষ্টা, জাকিয়ারা হোসেন ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক, আসাদুজ্জামান তারা, আলমগীর হোসেন, শফিক মিয়া ও আবু ফজলকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং পাঁচজনকে কর্মকর্তা ও নয়জনকে সদস্য করা হয়।
কিন্তু উক্ত কমিটি গঠনের পর থেকেই কানুরামপুর এলাকার উত্তর পালাহার ও দত্তপুর ওই দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে উত্তেজনার সৃষ্টি দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট জাহিদের নেতৃত্বে আরও একটি টহল টিম ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। বর্তমানে সেখানে পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে।
নান্দাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।