আড়াই বছর পর নারায়ণগঞ্জের জাকির খান কারামুক্ত, শোডাউন
Published: 13th, April 2025 GMT
দীর্ঘ আড়াই বছর কারাগারে থাকার পর হঠাৎ করে মুক্তি পেলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান। শহরে ফুল ছিটানো শোডাউনের মধ্য দিয়ে তার এই মুক্তি জানান দেন তিনি।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বের হন জাকির খান। এসময় কয়েক হাজার নেতাকর্মী তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন।
জাকির খানের মুক্তির ফলে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জাকির খানের কারণে জেলা বিএনপির অনেক নেতাই কোণঠাসা হয়ে পড়তে পারেন। নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী হয়ে উঠতে পারেন জাকির খান।
এর আগে ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর র্যাব-১১ ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে জাকির খানকে গ্রেপ্তার করে। ২০০৪ সাল থেকেই বিদেশে আত্মগোপনে ছিলেন জাকির খান।
নারায়ণগঞ্জে মোট ৩৩টি মামলার আসামি ছিলেন জাকির খান। গ্রেপ্তার হওয়ার পর ধাপে ধাপে বিভিন্ন মামলায় জামিন পান তিনি। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ব্যবসায়ী সাব্বির আলম হত্যা মামলার রায়ে তিনি এবং মামলার অন্য আসামিরা খালাস পান।
জাকির খান মুক্তি পাবার পর একটি ছাদ খোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে তার সমর্থকদের এবং নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার। এ হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি, বর্তমান তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব ও নিহতের বড় ভাই তৈমুর আলম খন্দকার বাদী হয়ে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নামে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন।সেই মামলায় আসামী হয়ে কারাগারে ছিলেন জাকির খান।
ঢাকা/অনিক/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র য়ণগঞ জ ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।