ঈশ্বরদীতে বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১
Published: 13th, April 2025 GMT
সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মনোয়ারুল ইসলাম নামের এক বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার দাশুড়িয়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ মনোয়ারুল ইসলাম দাশুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দাশুড়িয়া গোলচত্বর সিএনজি স্ট্যান্ড দখল করে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন প্রামানিক এবং তার ভাই স্থানীয় শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রকু প্রামানিকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে দাশুড়িয়া ইউনিয়ন যুবদল নেতা বিপুল মোল্লার সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল।
সেই বিরোধের জেরে এবং এক লেগুনা আর সিএনজি চালকদের বিরোধকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে কয়েকজন আহত হন। এই ঘটনার জেরে আজও দুপুর দেড়টার দিকে আবারও সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ।
এতে দাশুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। তাকে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে মনোয়ারুল ইসলামকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, “গত শুক্রবার দুই সিএনজি ড্রাইভারের ঝামেলা নিয়ে রকু প্রামানিকের সঙ্গে বিপুল মোল্লার মারামারি ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার জেরে আজকে এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি, পরে বিস্তারিত বলা যাবে। এই মুহূর্তে সেখানে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক আছে, সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
তবে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করেও রকু প্রামানিক এবং বিপুল মোল্লার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তারা উভয়ই পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘‘গত পরশুদিন লেগুনা আর সিএনজি ড্রাইভারদের নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল, সেই ঝামেলা সমাধান করতে গিয়ে তাদের মধ্যে সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে সেই ঝামেলা-ঘটনা মিটমাট করেও দিয়েছিলাম। কিন্তু আজকে আবার এই ঘটনা ঘটে গেল। এখন প্রশাসনের মাধ্যমে এই ঘটনায় যারাই জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/শাহীন/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র এই ঘটন স ঘর ষ স এনজ ই ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবকে এখনও দেশের সবচেয়ে বড় তারকা মানেন তামিম
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে মুখ খুলেছেন তামিম ইকবাল। সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারকা খ্যাতি বা ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এই দুই তারকার দূরত্বের পেছনে অন্য কারণ কাজ করেছে। তবে সেই দূরত্ব ঘোচানোর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেও আক্ষেপ করেছেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘অনেকে বলে, কে কার চেয়ে সেরা। কার এনডোর্সমেন্ট বেশি। এগুলো কিছুই আমাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি। আমি সব সময় বলেছি, বাংলাদেশের স্পোর্টসে সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব। আমি নিজেই যখন এটা বলি, তখন তারকা খ্যাতি সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে না।’
তিনি জানান, বিসিবির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হলে সাকিব ও তার মধ্যকার দূরত্ব কমত। ‘তারা আলাদাভাবে কথা বলেছেন, কিন্তু দু’জনকে একসঙ্গে বসিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেননি’, বলেন তামিম।
তামিম আরও বলেন, অধিনায়ক থাকার সময় সম্পর্কটা স্বাভাবিক করতে তিনি নিজেই চেষ্টা করেছেন। যদিও সে চেষ্টা তখন সফল হয়নি, ভবিষ্যতে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা এখনও তিনি দেখেন।
এমনকি নিজের অসুস্থতার সময় সাকিবের সহানুভূতিশীল আচরণের কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেন তামিম। বলেন, ‘আমার অসুস্থতার সময়ে সাকিব তার ফেসবুকে দোয়ার অনুরোধ করেছিল। তার বাবা-মা হাসপাতালে আমাকে দেখতে গিয়েছেন। আমরা দু’জনই পরিণত। সামনাসামনি হলে এবং নিজেদের মধ্যে কথা হলে সম্পর্ক উন্নত হতে পারে।’
তামিমের এই মন্তব্যেই বোঝা যায়, ব্যক্তিগত বিরোধ থাকলেও তামিম এখনও চান সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কটা সুস্থতায় ফিরুক।