যশোর থেকে অপহৃত আবু সুফিয়ান (২৯) নামে এক যুবককে গোপালগঞ্জে উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। এ সময় অভিযুক্ত অপহরণকারীকেও আটক করা হয়। অভিযুক্ত রোমান মোল্লা (২১) নারী সেজে মোবাইল ফোনে ভুক্তভোগী আবু সুফিয়ানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে। পরে ডাকে ডেকে নিয়ে অপরহণ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেই পুলিশের কাছে এসব তথ্য স্বীকার করেছেন।

রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে অপহৃত যুবককে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিণ গোবরা গ্রামের সার গোডাউনের পেছনে থেকে উদ্ধার করা হয়।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির সাজেদুর রহমান তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত যুবক আবু সুফিয়ানকে (২৯) উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত সুফিয়ান যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামের ওবায়দুর রহমানের ছেলে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে রোমান মোল্লা (২১) নামে এক অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে। তিনি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিণ গোবরা গ্রামের শাকিল মোল্লার ছেলে।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, রোমান মোল্লা নারী পরিচয়ে মোবাইলে আবু সুফিয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে তাকে কৌশলে ১১ এপ্রিল গোবরা গ্রামের বাড়িতে ডেকে নেয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রোমান একটি সংঘবদ্ধ অপহরণ চক্রের সদস্য বলে পুলিশকে জানিয়েছে। সংঘবদ্ধ চক্রটি ব্ল্যাকমেইল ও মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশে সাধারণ মানুষকে অপহরণ করে থাকে বলেও রোমান স্বীকার করেছে।

তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে জানিয়ে ওসি বলেন, আজ সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ প লগঞ জ যশ র গ প লগঞ জ অপহ ত

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। 

শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।  

গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।

এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে। 

পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কক্সবাজারে অপহৃত রোহিঙ্গা উদ্ধার, আটক ৩
  • র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ: চক্রের মূল হোতা গ্রেপ্তার
  • মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
  • কল্পনা চাকমার অপহরণের বিচার চেয়ে ফেরার পথে হামলার অভিযোগ, গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির নিন্দা
  • আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার