পাকিস্তানে ২০২৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে প্রথম দুই ম্যাচে থাইল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডকে হারিয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। মঙ্গলবার তৃতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৬ রান করেছে বাংলাদেশ।

ওয়ানডে ফরম্যাটে যা বাংলাদেশ নারী দলের সর্বোচ্চ রান। বড় এই রান করার পথে বাংলাদেশ নারী দলের তিন ব্যাটার ফিফটি করেছেন। তারা হলেন- ওপেনার ফারজানা হক, তিনে নামা ব্যাটার শারমিন আক্তার সুপ্তা ও চারে ব্যাট করা অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। 

লাহোরের স্পোর্টস কমপ্লেক্স মাঠে এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। তবে ওপেনিং জুটি ঠিক জমেনি। ইসমা তানজিম ও ফারজানা ৩৫ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন। ইসমা ফিরে যান ১৪ রান করে। সেখান থেকে ফারজানা ও শারমিন ১০৩ রান যোগ করেন। শারমিন ফিরে যান ৭৯ বলে ৫৭ রান করে। সাতটি চার মারেন তিনি। 

পরেই আউট হন ফারজানা। তার ব্যাট থেকে ৮৪ বলে ৫৭ রানের ইনিংস আসে। ছয়টি চারের শট মারেন এই ওপেনার। এরপর নিগার সুলতানা ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলের রান বড় করেন। উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার ৫৯ বলে ৮৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট ১১টি চারের শট আসে। এছাড়া ঋতু মনি ১২ ও ফাহিমা খাতুন ২২ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলেন।

ওয়ানডে ফরম্যাটে এর আগে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সর্বোচ্চ রান ছিল ২৭১। এবারের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ওই রান করেছিল জ্যোতির দল। ওই ম্যাচে ১৭৮ রানে জিতেছিল নারী ক্রিকেট দল। তার আগে গত বছর মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে করা ২৫২ রান ছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সর্বোচ্চ রান। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক র ক ট দল র ন কর

এছাড়াও পড়ুন:

জরুরি পরিস্থিতিতে প্রাথমিক চিকিৎসা

প্রতিনিয়ত জরুরি পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় আমাদের। অনেক সময় ভ্রান্ত ধারণায় পড়ে এ পরিস্থিতিতে আরও বড় ধরনের ভুল করে ফেলি আমরা। সে ক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতিতে কী করবেন আর কী করবেন না, তা জেনে রাখা ভালো।

যেমন–

পুড়ে গেলে : গরম তেল পড়ে হোক বা  আগুনে পুড়ে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে পোড়া স্থানে পেস্টের আস্তরণ দিই। অনেকে ডিম ভেঙে দেন, কেউ বা লাগান চুন। এগুলো ক্ষতিকর। পুড়ে গেলে ঠান্ডা পানির ধারা রাখতে পারেন ১০ মিনিট; অন্য কোনো কিছু নয়। 

ব্যথা পেলে : হাড় ভাঙলে নড়াচড়া না করে ভাঙা স্থানের দু’পাশে কাঠ দিয়ে বেঁধে হাসপাতালে আনতে হবে।

রক্ত ধুয়ে ফেলা নয় : রক্তপাত হতে থাকলে পরিষ্কার কাপড় বা গজ-ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে দিন। বেশি কেটে গেলে বা রক্তপাত ১০ মিনিটের মধ্যে বন্ধ না হলে হাসপাতালে নিতে ভুলবেন না।

নাক দিয়ে রক্ত পড়লে : আক্রান্ত ব্যক্তিকে সামনের দিকে সামান্য ঝুঁকে বসাতে হবে। বাঁ হাতের বুড়ো আঙুল ও অনামিকা দিয়ে নাসারন্ধ্র টানা ১০ মিনিট বন্ধ রাখতে হবে। এ সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হবে। বরফ নাকের ওপরে দেওয়া যেতে পারে। যদি একটানা ১০ মিনিট নাসারন্ধ্র চেপে ধরে রাখার পরও রক্ত বন্ধ না হয়, দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।

সাপে কাটলে : সাপে কাটার স্থানের কিছু ওপরে আমরা শক্ত বাঁধন দিই। এতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে হাত-পা পচে যেতে পারে। বাঁধন দিতে হবে, তবে রশি দিয়ে নয়; গামছা, কাপড় দিয়ে ঢিলে করে বাঁধলেই চলবে। 

বিষপানে নয় গোবরপানি : বিষ পান করলে অনেকে গোবরমিশ্রিত পানি পান করিয়ে বমি করার চেষ্টা করেন। এটি ভ্রান্ত ধারণা। যদি বিষপান করা ব্যক্তি অচেতন বা অবচেতন থাকে, তাহলে বমি ফুসফুসে চলে যেতে পারে; যা গুরুতর। বিষপানের এক ঘণ্টার মধ্যে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি, নিনস

সম্পর্কিত নিবন্ধ