তিন ফিফটিতে স্কটিশদের বিপক্ষে রেকর্ড রান জ্যোতিদের
Published: 15th, April 2025 GMT
পাকিস্তানে ২০২৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে প্রথম দুই ম্যাচে থাইল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডকে হারিয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। মঙ্গলবার তৃতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৬ রান করেছে বাংলাদেশ।
ওয়ানডে ফরম্যাটে যা বাংলাদেশ নারী দলের সর্বোচ্চ রান। বড় এই রান করার পথে বাংলাদেশ নারী দলের তিন ব্যাটার ফিফটি করেছেন। তারা হলেন- ওপেনার ফারজানা হক, তিনে নামা ব্যাটার শারমিন আক্তার সুপ্তা ও চারে ব্যাট করা অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
লাহোরের স্পোর্টস কমপ্লেক্স মাঠে এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। তবে ওপেনিং জুটি ঠিক জমেনি। ইসমা তানজিম ও ফারজানা ৩৫ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন। ইসমা ফিরে যান ১৪ রান করে। সেখান থেকে ফারজানা ও শারমিন ১০৩ রান যোগ করেন। শারমিন ফিরে যান ৭৯ বলে ৫৭ রান করে। সাতটি চার মারেন তিনি।
পরেই আউট হন ফারজানা। তার ব্যাট থেকে ৮৪ বলে ৫৭ রানের ইনিংস আসে। ছয়টি চারের শট মারেন এই ওপেনার। এরপর নিগার সুলতানা ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলের রান বড় করেন। উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার ৫৯ বলে ৮৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট ১১টি চারের শট আসে। এছাড়া ঋতু মনি ১২ ও ফাহিমা খাতুন ২২ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলেন।
ওয়ানডে ফরম্যাটে এর আগে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সর্বোচ্চ রান ছিল ২৭১। এবারের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ওই রান করেছিল জ্যোতির দল। ওই ম্যাচে ১৭৮ রানে জিতেছিল নারী ক্রিকেট দল। তার আগে গত বছর মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে করা ২৫২ রান ছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সর্বোচ্চ রান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক র ক ট দল র ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?