চুয়েটে হুয়াওয়ের ক্যাম্পাস নিয়োগ কার্যক্রম
Published: 16th, April 2025 GMT
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সদ্য স্নাতক সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের চাকরির সুযোগ করে দিতে গত রোববার চুয়েটে ক্যাম্পাস নিয়োগ বা রিক্রুটমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনা করেছে হুয়াওয়ে। এ কার্যক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সদ্য স্নাতক সম্পন্ন করা প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নেন। এরপর এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সরাসরি সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা শিগগিরই হুয়াওয়েতে চাকরির সুযোগ পাবেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে হুয়াওয়ের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক লিনজিয়াও বলেন, ‘নিয়মিত ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে আমরা সদ্য স্নাতক সম্পন্নকারীদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি করে থাকি যাতে তারা দেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারেন। হুয়াওয়ে সদ্য স্নাতক সম্পন্নকারী ও অভিজ্ঞ কর্মীদের এক পরিবার এবং এই সমন্বয়টা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সদ্য স্নাতক সম্পন্নকারীরা নতুন ধারণা নিয়ে আসতে পারেন। চুয়েটে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী রয়েছেন এবং আমরা তাদেরকে হুয়াওয়ের অন্তর্ভুক্ত করতে পেরে আনন্দিত।’
ক্যাম্পাস নিয়োগ কার্যক্রমে চুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান চৌধুরী, হুয়াওয়ের জ্যেষ্ঠ মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেছেন, এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।
আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বারের হলরুমে ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার সংকট ও আইনি প্রতিকার পাওয়ার পথ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেড আই খান পান্না। সেমিনারটির আয়োজন করে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম), বাংলাদেশ চ্যাপ্টার।
বক্তব্যে জেড আই খান পান্না বলেন, ‘এখানে সংখ্যালঘুর কথা বলা হচ্ছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এখন আমি সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু। আজ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা দেখি, জুতা দিয়ে বাড়ি দিতে দেখি, কিন্তু কিছু করতে পারি না। তাই আমি সবচেয়ে বড় অসহায়।’
এসব কথা বলতে বলতে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না কেঁদে ফেলেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, জীবনে কখনো জেনে-বুঝে অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করেন, তাঁদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
জেড আই খান পান্না আরও বলেন, ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, কারও সঙ্গে এর তুলনা চলে না। এটা সাম্প্রদায়িকতার দেশ না। সংবিধানে যেন কেউ হাত না দেয়। সরকারের অনেকেই বিদেশি হয়েও স্বদেশি ভাব দেখাচ্ছেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার যেন নিঃশেষ হয়ে গেছে। সমাজে ন্যায়বিচার বা সুবিচার পাওয়ার কথা থাকলেও তা মিলছে না। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিচার হয় না। কেউ কেউ ধরা পড়লেও পরে বেরিয়ে যায়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুমন কুমার রায় বলেন, সব সরকারের আমলেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত। বর্তমান নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। সংস্কার কমিশনে সংখ্যালঘুদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা হলেও সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া আসে না, এমনকি দুঃখও প্রকাশ করে না।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ শুরু হলে তা দমন করতেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে উল্লেখ করে সুমন কুমার দাবি করেন, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সনাতনী সম্প্রদায়ের বাক্স্বাধীনতা বন্ধ করতে, নেতৃত্ব দমন করতে এসব করা হচ্ছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জে কে পাল। সঞ্চালনায় ছিলেন এইচআরসিবিএমের বাংলাদেশ চ্যাপটারের আহ্বায়ক লাকি বাছাড়। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরশেদ ও মো. গোলাম মোস্তফা।