বেড়ানোর কথা বলে অপহরণ, মুক্তিপণ না পেয়ে মামার হাতে ভাগনে খুন
Published: 16th, April 2025 GMT
বেড়ানোর নাম করে রোহিঙ্গা কিশোর মো. একরামকে (১৩) নিয়ে গিয়েছিল তারই মামা মো. কামাল হোসেন। এর ১৩ দিন পর কামালের দেওয়া তথ্যেই চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় পাওয়া গেছে ওই কিশোরের অর্ধগলিত মরদেহ। মুক্তিপণ না পেয়ে কামাল তার ভাগনেকে হত্যার দায় পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
নিহত একরামের পরিবার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালীর ১০ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের জি-৩৭ নম্বর ব্লকে থাকে। তার বাবার নাম মো.
একরামের বড় চাচা মো. ইউনুস বলেন, ৩ এপ্রিল একরামকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ক্যাম্প থেকে নিয়ে যায় তাঁর ভাই ইদ্রিসের শ্যালক মো. কামাল। পরে সে (কামাল) ইদ্রিসের কাছে মোবাইল ফোনে জানায়, একরামকে অপহরণ করা হয়েছে। মুক্তিপণ হিসেবে টাকা দিতে হবে। এতে রাজি হননি ইদ্রিস।
অনেক খোঁজাখুঁজির পরও একরামের সন্ধান না পেয়ে ইদ্রিস বাদী হয়ে ১৪ এপ্রিল রাতে উখিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ কামালকে রাতেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। একপর্যায়ে সে (কামাল) জানায়, মুক্তিপণের টাকা না দেওয়ায় একরামকে খুন করেছে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাতকানিয়া থেকে লাশ উদ্ধার করে।
সাতকানিয়া থানার ওসি মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, তাদের সহায়তায় উখিয়া থানা পুলিশের একটি দল আসামিকে নিয়ে সাতকানিয়া উপজেলার পাঠানিপুল এলাকার কৃষিজমি থেকে ওই কিশোরের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।
আজ বুধবার উখিয়া থানায় দেওয়া অভিযোগটি মামলায় রূপান্তরিত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই থানার ওসি মোহাম্মদ আরিফ হোসেনের ভাষ্য, অপহরণের পর মুক্তিপণ না দেওয়ায় মামার হাতে ভাগনে হত্যার শিকার হয়। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা তা জানতে তদন্ত চলছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গাইবান্ধায় বাবা-মাকে মারধর করে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ, অভিযুক্ত আটক
বাড়ির ভেতর ঢুকে বাবা-মাকে মারধরের পর এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের বেপারীপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। বিকেল ৫টার দিকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ও মূল অভিযুক্ত আটক করে পুলিশ।
অভিযুক্ত সঞ্চয় (২০) উপজেলার ফাঁসিতলা এলাকার মোঘলটুলী গ্রামের রাফিউল ইসলাম রাফির ছেলে।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরেন ওই শিক্ষার্থী। কিছুক্ষণ পর সঞ্চয়সহ ১৫-২০ জন লাঠি নিয়ে বাড়িতে হামলা চালায়। তারা ঘরের দরজা-জানালাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং মালামাল লুট করে। এসময় বাধা দিতে গেলে হামলাকারীরা ওই শিক্ষার্থীর বাবা-মাকে মারধর ও কুপিয়ে আহত করে। পরে তারা শিক্ষার্থীকে টেনেহিঁচড়ে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়।
আরো পড়ুন:
ধামরাইয়ে চালক-হেলপারকে মারধর করে তেলবাহী ট্রাক ছিনতাই
সিরাজগঞ্জে সহপাঠীদের মারধরে আহত এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
পুলিশ বিকেল ৫টার দিকে পার্শ্ববর্তী কামারদহ ফেলুপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে চাঁন মিয়ার বাড়ি থেকে অপহৃত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে। এসময় অভিযুক্ত সঞ্চয়কে আটক ও তার কাছে থাকা মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ভাষ্য, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে যাওয়া আসার পথে তাকে উত্ত্যক্ত করাসহ বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছিলেন সঞ্চয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্চয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
ঘটনাটি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ উদ্ধার অভিযান চালায়। একটি বাড়ি থেকে শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত সঞ্চয়কে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।”
ঢাকা/মাসুম/মাসুদ