বেড়ানোর নাম করে রোহিঙ্গা কিশোর মো. একরামকে (১৩) নিয়ে গিয়েছিল তারই মামা মো. কামাল হোসেন। এর ১৩ দিন পর কামালের দেওয়া তথ্যেই চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় পাওয়া গেছে ওই কিশোরের অর্ধগলিত মরদেহ। মুক্তিপণ না পেয়ে কামাল তার ভাগনেকে হত্যার দায় পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। 

নিহত একরামের পরিবার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালীর ১০ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের জি-৩৭ নম্বর ব্লকে থাকে। তার বাবার নাম মো.

ইদ্রিস। গ্রেপ্তার কামাল একই উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের বি-১০ ব্লকের আবুল কাশেমের ছেলে। কামাল সাতকানিয়ার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের বিসমিল্লাহ ব্রিকসের (বিবিসি) শ্রমিক। 

একরামের বড় চাচা মো. ইউনুস বলেন, ৩ এপ্রিল একরামকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ক্যাম্প থেকে নিয়ে যায় তাঁর ভাই ইদ্রিসের শ্যালক মো. কামাল। পরে সে (কামাল) ইদ্রিসের কাছে মোবাইল ফোনে জানায়, একরামকে অপহরণ করা হয়েছে। মুক্তিপণ হিসেবে টাকা দিতে হবে। এতে রাজি হননি ইদ্রিস।
 
অনেক খোঁজাখুঁজির পরও একরামের সন্ধান না পেয়ে ইদ্রিস বাদী হয়ে ১৪ এপ্রিল রাতে উখিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ কামালকে রাতেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। একপর্যায়ে সে (কামাল) জানায়, মুক্তিপণের টাকা না দেওয়ায় একরামকে খুন করেছে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাতকানিয়া থেকে লাশ উদ্ধার করে। 

সাতকানিয়া থানার ওসি মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, তাদের সহায়তায় উখিয়া থানা পুলিশের একটি দল আসামিকে নিয়ে সাতকানিয়া উপজেলার পাঠানিপুল এলাকার কৃষিজমি থেকে ওই কিশোরের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।

আজ বুধবার উখিয়া থানায় দেওয়া অভিযোগটি মামলায় রূপান্তরিত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই থানার ওসি মোহাম্মদ আরিফ হোসেনের ভাষ্য, অপহরণের পর মুক্তিপণ না দেওয়ায় মামার হাতে ভাগনে হত্যার শিকার হয়। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা তা জানতে তদন্ত চলছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হত য উপজ ল একর ম

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে দুই যুবককে অপহরণের ঘটনায় ৩ অপহরণকারী গ্রেপ্তার

বন্দরে দুই যুবককে অপহরণের পর ২ লাখ টাকা মুক্তি পণ দাবির ঘটনায় ৩ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার (১১ জুন) রাতে বন্দর উপজেলার  মদনপুর ইউনিয়নের লাউসার গ্রামে  অপহরণের এ ঘটনাটি ঘটে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দরের মদনপুর দেওয়ানবাগ এলাকার হাজী শহিদুল ইসলামের ছেলে মাহবুবুর রহমান শিশির (৩৫), বন্দরের নেহাল সরদারেরবাগ গ্রামের  মৃত জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে মোঃ রুবেল মিয়া(২৯) ও সোনারগাঁ উপজেলার  নাজিরপুর বড়বাড়ি গ্রামের মৃত নান্নু মিয়ার ছেলে মোঃ সুমন (২৮)।

এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় বন্দরের ধামগড় ইউনিয়নের পশ্চিম কেওঢালা এলাকার ফয়েজ আহমেদের ছেলে রনি( ৪০),  বাবুল (৪৮) ও অপুসহ ১০-১২ জন অপহরণকারী। এ ব্যাপারে অপহরণের শিকার ফাহিমের (১৭) এর মামা হৃদয় হোসেন  বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (১২ জুন)  বন্দর থানায়  মামলা করেছেন।

মামলার বাদী হৃদয় হোসেন জানান, ভাগ্নে ফাহিম ও তার বন্ধু মোহন মিয়া বুধবার রাত নয়টার দিকে তাদের আরেক বন্ধু অপুর সাথে দেখা করতে বন্দরের লাউসার এলাকার জনৈক জাহাঙ্গীর মিয়ার বাড়িতে যায়। এ সময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অপহরণকারীরা দুজনকে একটি কক্ষে আটকে রাখে।

তারা ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি  ও মারধর করে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণের বিষয়টি মোবাইল ফোনে জানতে পেরে  তিনি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ তে কল করে পুলিশকে জানান। পরে বন্দর থানা  পুলিশ  ফাহিম ও মোহনকে উদ্ধার করে এবং তিন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে।

এ ব্যাপারে বন্দর  থানার ওসি  তরিকুল ইসলাম জানান, অপহরণ ঘটনায় মামলা হয়েছে।  তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর অপহরণকারীদের  গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কল্পনা চাকমার অপহরণের বিচার চেয়ে ফেরার পথে হামলার অভিযোগ, গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির নিন্দা
  • আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
  • সুবিচার মিলবে কত বছরে
  • বন্দরে দুই যুবককে অপহরণের ঘটনায় ৩ অপহরণকারী গ্রেপ্তার