জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ২১জন শহীদ পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান
Published: 16th, April 2025 GMT
জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নারায়ণগঞ্জ জেলার শহীদ ২১ জনের পরিবারকে আর্থিক অনুদান হিসেবে দুই লাখ টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ অনুদান প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হোসনে আরা বেগম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো.
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আমাদের বীর সন্তানেরা নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় নিজেদের রক্ত দিয়েছেন। যারা আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। যারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন তাদেরকে ও তাদের পরিবার প্রতি জানাচ্ছি সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতা।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি আমাদের বীর সন্তানেরা নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টিতে যে ভূমিকা রেখেছে আজকে আমাদের এই যে আয়োজন আর আমরা যত আয়োজন করি সেটি খুবই নগণ্য। যে মা তার সন্তানকে হারিয়েছেন, যে ভাই তার বোনকে হারিয়েছেন আর যে বোন তার ভাইকে হারিয়েছেন তার কাছে আমাদের কোন আয়োজনই তাদের মন জয় করতে পারবো না।
আমরা প্রত্যাশা করছি তারা যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে দেশ গড়ার জন্য বুকে সাহস নিয়ে আন্দোলন করেছিল সেই দেশ আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারলে তাদের ত্যাগ স্বার্থক হবে। আমরা আপনাদের সবাইকে নিয়ে একটি বৈষম্যহীন দিন বাংলাদেশ গড়তে চাই। সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা করছি।
এসময় শহীদের ছবি সম্বলিত নামফলকের স্মৃতিস্তম্ভ, মামলা পরিচালনা সহযোগিতা ও শহীদদের কবর চিহৃকরন দাবি করেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিষয়ক উপ-পরিচালক ( উপ- সচিব) ড. মো: মনিরুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন মশিউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইব্রাহিম হোসেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা মঈন উদ্দিন আহমেদ, ইসলামী আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, গণসংহতি আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি তরিকুল সুজন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ জ ল আম দ র পর ব র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
না’গঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের বিশেষ সাধারণ সভা
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর কমিটির বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১ আগস্ট)। সকাল এগারোটায় শহরের চাষাড়া বালুরমাঠস্থ রূপসী বাংলা কমিউনিটি সেন্টারে এই সভার আয়োজন করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক শংকর কুমার দে'র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপনের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
সভায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু তাদের বক্তব্যে বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদেরকে দায়িত্ব দিয়ে বলেছেন আমরা যেনো হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে থাকি।
আপনাদের সকল অনুষ্ঠানে আমাদের সংশ্লিষ্টতা থাকে যাতে আপনাদের কোন সমস্যা না হয়। আপনাদের যেকোনো সমস্যা হলো আমাদেরকে অবহিত করবেন। মহানগর বিএনপি সবসময়ই আপনাদের পাশে আছি।
নারায়ণগঞ্জে দূর্গা পূজা থেকে শুরু করে সকল ধর্মীয় উৎসবে মহানগর বিএনপি আপনাদের পাশে থাকবে। আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে সকল ধর্মীয় উৎসব পালন করবেন।
তারা আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জে সনাতন সম্প্রদায়ের নেতৃত্বে যারা রয়েছেন তারা অত্যন্ত দক্ষ সংগঠক। বিশেষ করে শংকর কুমার দে এবং শিখন সরকার শিপন সংগঠন পরিচালনায় ইতিমধ্যেই দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন।
৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সনাতন সম্প্রদায়ের মাঝে যে আতঙ্ক বিরাজ করছিলো তা নিরসনে তারা সকল দলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সম্প্রতির মেলবন্ধন রচনা করেছিলেন।
এতে করে সনাতন সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে বিরাজ করা আতঙ্ক দুর হয়েছিল। আমরা চাই এই ঐক্য অটুট থাকুক। সনাতন সম্প্রদায়ের মাঝে কোনো বিভক্তি আমাদের কাম্য নয়।
সাধারণ সভায় পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, পূজা উদযাপন পরিষদ একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। আমরা সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে কাজ করি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর একটি গোষ্ঠী পূজা পরিষদকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে পূজা পরিষদের সুনামকে বিনষ্ট করে আমাদের মাঝে বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আমরা এই বিভক্তি চাই না। আমরা চাই সকলে মিলেমিশে সুন্দর ভাবে বসবাস করতে।
তারা আরো বলেন, আমরা কেউ কোনো রাজনীতি করি না। কিন্তু বিভিন্ন সময় আমাদেরকে রাজনৈতিক ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে। সুতরাং বর্তমান সনাতনী সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য থাকতে হবে।
আমরা কোন দলের না। আমাদের সবাইকে মিলেমিশে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে থাকতে হবে। আমাদের এই ঐক্য যারা বিনষ্ট করতে চাইছে তাদের এই চেষ্টা কোনদিন সফল হবে না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা প্রবীর কুমার সাহা, সাবেক ট্রাস্টি হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট পরিতোষ কান্তি সাহা, নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা বাসুদেব চক্রবর্তী, মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ অষ্টমী পূণ্য স্নান উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাপস কর্মকার।
সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিষ্ণপদক সাহা ও সাধারণ সম্পাদক সুশীল কুমার দাস।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সহ- সভাপতি সাংবাদিক উত্তম কুমার সাহা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ- সভাপতি তিলোত্তমা দাস, প্রদীপ সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল বিশ্বাস, মনিকা শীল, পংকজ কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব পাল, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন রুদ্র, কোষাধ্যক্ষ শান্তি দাস, প্রচার সম্পাদক তপন গোপ সাধু, দপ্তর সম্পাদক অভিরাজ সেন সজল, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সহ- সভাপতি হিমাদ্রি সাহা হিমু, দুলাল দাস, রতন পোদ্দার, রতন রাউদ, গোপাল দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শংকর রায়, সঞ্জয় দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষ্ণ আচার্য, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্চয় সাহা, প্রচার সম্পাদক রিপন ঘোষ, সিদ্ধিরগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শিশির ঘোষ অমর, সাধারণ সম্পাদক খোকন বর্মন, বন্দর থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল বিশ্বাস, ফতুল্লা থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রদীপ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক শিবু দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীরেন্দ্র চন্দ্র দাস, সোনারগাঁ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লোকনাথ দত্ত, সাধারণ সম্পাদক এড. প্রদীপ ভৌমিক, রূপগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি গনেশ পাল, সাধারণ সম্পাদক রানা দাস সংগ্ৰাম, আড়াইহাজার উপজেলা কমিটির সভাপতি হারাধন দে, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ভৌমিকসহ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।