নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল অভিবাসন এবং টেকসই পুনর্বাসনে বাংলাদেশকে ৫০ লাখ ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) একটি চুক্তি সই করেছে। ইআরডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যা জানানো হয়। 

‘অভিবাসন ব্যবস্থাপনা ও টেকসই পুনর্বাসনের জন্য সেবা প্রদান ব্যবস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক চার বছর মেয়াদি প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ অনুদান দেবে। গত মঙ্গলবার ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং বাংলাদেশে আইওএমের মিশন প্রধান ল্যান্স বনো চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। 

ইআরডি জানায়, প্রকল্পটি দুটি প্রধান লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ করবে। প্রথমত, অভিবাসন সেবা প্রদান ব্যবস্থা শক্তিশালী করা এবং দ্বিতীয়ত, ঝুঁকিপূর্ণ প্রবাসফেরতদের সহায়তা দেওয়া। এ উদ্যোগের মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিবাসন ও পুনর্বাসন  কার্যক্রম আরও শক্তিশালী হবে। এ ছাড়া অভিবাসন ও পুনর্বাসন বিষয়ে সরকারের অগ্রাধিকার কার্যক্রম বৈশ্বিক, আঞ্চলিক এবং জাতীয় উন্নয়ন কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হবে। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই–সেপ্টেম্বরে ঋণছাড়ে এগিয়ে বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়া, কোনো অর্থ দেয়নি চীন

চলতি অর্থবছরে বিদেশি ঋণছাড়ে পাল্লা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়া। অর্থবছরের তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সবচেয়ে বেশি ঋণ ছাড় করেছে বিশ্বব্যাংক। এই সংস্থাটি দিয়েছে ৩২ কোটি ২২ লাখ ডলার।

এরপরেই আছে রাশিয়া। দেশটি ওই তিন মাসে ৩১ কোটি ৫৩ লাখ ডলার দিয়েছে। রাশিয়া মূলত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে ঋণ দিচ্ছে। তবে চীন গত তিন মাসে কোনো অর্থ দেয়নি।

গত বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জুলাই-সেপ্টেম্বর (প্রথম প্রান্তিক) মাসের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতির হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।

এবার দেখা যাক, তিন মাসে কারা কত দিল। বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়ার পরে তৃতীয় স্থানে আছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এডিবি ছাড় করেছে ১৮ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। এ ছাড়া জাপান ও ভারত দিয়েছে যথাক্রমে ৪ কোটি ডলার ও ৬ কোটি ডলার।

ইআরডির হিসাব অনুসারে, ঋণ শোধ বেড়েছে। পাশাপাশি অর্থছাড় ও প্রতিশ্রুতিও বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রায় ১১৫ কোটি ডলার দিয়েছে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশ। অন্যদিকে একই সময়ে আগে নেওয়া ঋণের সুদ ও আসল বাবদ প্রায় ১২৮ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

এদিকে ঋণ পরিশোধের পাল্লা ভারী হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে জুলাই-সেপ্টেম্বরে পরিশোধিত ঋণের মধ্যে ৮২ কোটি ডলার আসল এবং ৪৬ কোটি ডলারের বেশি সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে বিদেশি ঋণের সুদাসল বাবদ সরকারকে প্রায় ১১২ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল। জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে মাত্র ৯১ কোটি ডলারের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই–সেপ্টেম্বরে ঋণছাড়ে এগিয়ে বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়া, কোনো অর্থ দেয়নি চীন