ভ্যাবসা গরমে শরীর খুব দ্রুত ডিহাইড্রেট হতে থাকে। এর ফলে ত্বকও উজ্জ্বলতা হারায়। তাই এসময় ত্বকের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। 

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এ সময় নানা ধরনের ফল খেতে পারেন। গরমকালে শরীরকে হাইড্রেট রাখতে ও ত্বক উজ্জ্বল রাখতে স্বাস্থ্যের যত্ন কয়েক ধরনের ফল খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। যেমন-

পাকা পেঁপে
গরমের সময় প্রচুর পরিমাণে পাকা পেঁপে খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে থাকা প্যাপাইন ও এনজাইম ত্বকের জন্য খুব ভালো। এসব উপাদান ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি ব্রণের সমস্যাও কমায়।

তরমুজ
গরমকালে তরমুজ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। এতে থাকা ভিটামিন সি ও লাইকোপেন ত্বককে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। শরীরে পানি ঘাটতিও হবে না। এই ফলে থাকা নানা উপাদান শরীরে কোলেজেন উৎপাদন করতে সাহায্য করবে।

আম 
গ্রীষ্মের ফল আম খেতে কমবেশি সবাই পছন্দ করে। আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি থাকে। যা ত্বককে ভালো রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি মুখের বলিরেখা কমাতেও সাহায্য করে। তবে প্রচুর পরিমাণে আম খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। 

আনারস
আনারস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন সি ও ম্যাঙ্গানিজ ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, মুখে যদি কোনও কালো দাগ থাকে সেটাও কমবে। এমনকি বার্ধক্য কমাতেও সাহায্য করে আনারস। 

কিউই

ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। গরমকালে কিউই ফল খেলে ত্বক ভালো থাকবে। ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরবে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এই ফল ত্বককে নরম রাখতে সাহায্য করে।

স্ট্রবেরি
স্ট্রবেরিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় এটি ত্বককে সূর্যের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। এমনকি বলিরেখা কমাতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন এই ফল খেলে আপনার ত্বক ডিহাইড্রেট হবে না। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স হ য য কর র জন য খ ব ত বক র বল র খ ত বকক

এছাড়াও পড়ুন:

সন্তানের প্রতি ছিল তাঁর অগাধ বিশ্বাস

বাবা সন্তানের ওপর ছায়ার মতো স্নেহময় এক উপস্থিতি। নিঃশর্ত ভরসার প্রতীক। সন্তানের ভবিষ্যৎ গঠনের প্রয়োজনে নিজের বর্তমান, এমনকি নিজের স্বপ্নও নীরবে উৎসর্গ করে দিতে পারেন যিনি– আজ তাদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানানোর দিন। বাবা দিবস উপলক্ষে সমতা’র বিশেষ আয়োজন। গ্রন্থনা শাহেরীন আরাফাত

আমার জন্ম, বেড়ে ওঠা বৃহত্তর বরিশালে। এখন সেই জায়গাটা পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি পৌরসভার সমুদয়কাঠি গ্রাম। তখনকার সামাজিক পরিসরে আমাদের পরিবারের অবস্থা সাধারণ মানুষের চেয়ে একটু ভালো ছিল। আমার বাবা বিজয় কুমার আইচ তখন পিরোজপুরে কাজ করতেন। তাঁর রেশনের দোকান ছিল। প্রতি শনিবার বাড়ি আসতেন। আমরা বাবার আশায় বসে থাকতাম। এটি ছিল আমাদের জন্য একরকম আশীর্বাদের মতো।
বাবার একটি ব্যবসাও ছিল। এ থেকে মূলত আমাদের পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা এসেছে। গ্রামের সাধারণ মানুষের চেয়ে সম্ভবত বাবার জ্ঞান বা বোধ উন্নততর ছিল। তাঁর ব্যক্তিত্বের জন্য দশ গ্রামের লোকজন তাঁকে মানত। গ্রামে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া লেগেই থাকত। বাবার সঙ্গে কথা না বলে কেউ থানা-পুলিশ করতে যেত না। বাবা সবাইকে খুব বুঝিয়ে বলত– মামলা করলে কে জিতবে, কে হারবে– এটি অনেক পরের কথা। মামলা নিয়ে বরিশাল-পিরোজপুরে দৌড়াদৌড়ি করতে করতে দুই পক্ষই নিঃস্ব হয়ে পড়বে। তারচেয়ে বরং তোমরা নিজেরা মিটমাট করে ফেল।
গ্রামের পণ্ডিতরা তখন তালপাতায় অ-আ-ক-খ শেখাতেন হাত ধরে ধরে। আমার সেটি একদম পছন্দ হতো না। বাবা কী করলেন, তিনি একটা স্লেট ও পেন্সিল দিয়ে ছবি আঁকতে শুরু করলেন। অ-আ-ক-খ দিয়ে যত ছবি আঁকা হয়, তা শেখাতেন। এর মধ্যে আমার যে ছবিটা পছন্দ হতো, সেটি আমি মনের মধ্যে গেঁথে নিতাম। যার ফলে বাবার মাধ্যমে অত্যন্ত আনন্দদায়ক এক শিক্ষা পেয়েছি আমি। 
আমার বাবারা ছিলেন ৪ ভাই। এর মধ্যে ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় দু’জন পশ্চিমবঙ্গে চলে যান। আমার বাবা ও এক কাকা বাড়ি ছেড়ে যাননি। আমরা ছিলাম ৬ ভাই ৩ বোন। কাকাতো ভাই ৪ জন, বোন একজন। মোট ১৪ ভাইবোন। কাকা কম বয়সেই গত হন। বিলাসী জীবন আমাদের ছিল না। তবে গ্রামের মানুষের কাছে আমরা ছিলাম বড়লোক। পরিবারে অনেক সদস্য থাকলেও খাবারের অভাব হতো না কখনোই। এমনকি দুর্ভিক্ষের মতো অবস্থায়ও খাবারের কষ্ট করতে হয়নি। আমাদের একটা গুদামঘর ছিল। সেখানে বাবা পাশের বন্দর কাউখালী থেকে সারা বছরের চাল, ডাল, পাউডার দুধ, চিনি, লবণ, গুড় এনে ড্রামে ভরে রাখতেন। বাইরে যত সংকটই থাকুক না কেন, বছরজুড়ে খাবারের অভাব হতো না। সমস্যা হতো ঝড়ের সময়। উপকূলীয় অঞ্চলে এমন ঝড় মাঝে মাঝেই আসত। কখনও ঘরের চাল উড়ে গেলে আমরা সমস্যায় পড়ে যেতাম। 
অন্যদের সামনে বাবা নিজের অবস্থানের জন্যই বেশি হাসি-তামাশা করতেন না। যখন আমাদের সঙ্গে থাকতেন, তখন তিনি একজন সাধারণ মানুষের মতো হাসি-খুশি থাকতেন। তখনকার বাবাদের আমরা মারধর করতে দেখেছি, এমনকি খড়ম দিয়ে পেটাতে দেখেছি। বাবা আমার গালে জীবনেও একটা চড় মারেনি। কোনো ভাইবোনকেও মারধর করতে দেখিনি। তখন হয়তো আরও এমন বাবা ছিলেন। তবে গ্রামে আমি এমন বাবা আর দেখিনি। সন্তানের প্রতি ছিল তাঁর অগাধ বিশ্বাস। সন্ধ্যার পর বাড়ি ফিরলেও তিনি কখনও জিজ্ঞেস করতেন না, কেন দেরি করে ঘরে ফিরেছি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিষ্যদের কড়া বার্তা দিলেন রিয়ালের নতুন কোচ আলোনসো
  • বিশ্ববাজারে আজও বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম
  • ইসরায়েলি যুদ্ধযন্ত্রকে থামাইতেই হইবে
  • বন্ধু হওয়ার সুযোগ দিন, শত্রু নয়
  • ৬ কোটির ক্লাবে শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’
  • একদিনে আয় ৮১ লাখ, ৬ কোটির ক্লাবে শাকিব খানের তাণ্ডব!
  • ফুসফুসের সুরক্ষায় যা করণীয়
  • লন্ডন বৈঠকের পর এখন বিএনপির দৃষ্টি নির্বাচনে , কী ভাবছে অন্য দলগুলো
  • সন্তানের প্রতি ছিল তাঁর অগাধ বিশ্বাস