গোপালগঞ্জে সমন্বয়ক ও ছাত্র অধিকার পরিষদের ২ নেতার ওপর হামলা
Published: 18th, April 2025 GMT
ফেসবুক পোস্টের জেরে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের ২ নেতার ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের এসএম মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ আড়াইশ' শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- সমন্বয়ক এবং গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো.
আহত মো. জসিম উদ্দিন সমকালকে বলেন, বিকেল ৪টার দিকে খাবার খাওয়ার উদ্দেশে ক্যাম্পাস থেকে গোপালগঞ্জ শহরের দিকে আমরা ৩ জন রওনা দেই। শহরের এসএম মডেল স্কুলের সামনের সড়কে পৌঁছালে ১০/১২ জন যুবক আমাদের ঘিরে ফেলে। এ সময় তারা বলে, 'জসিম কে, তুই না?' এই কথার পর তারা আমাকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং পিছন দিক থেকে এলোপতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে। লোকজন ভিড় করলে তারা আমাকে চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে বলে, 'তোরা চাঁদাবাজি করিস, তোদের চাঁদাবাজি ছোটাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বের হবি না, বের হলে তোদের খবর আছে।' এসময় আমি ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব সাইদুর রহমান আহত হই। যারা হামলা চালিয়েছে তাদের চিনি না। তবে বৃহস্পতিবার নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতাকে নিয়ে দেওয়া ফেসবুক পোস্টের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে সন্দেহ করছি।
জসিম ফেসবুক পোস্টের বিষয়ে বলেন, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গিয়ে কয়েকজন বহিরাগত আমার বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে থাকে। বিষয়টি জানতে পেরে বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ফেসবুক পোস্টে নিষিদ্ধ সংগঠন গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লাকে নিয়ে পোস্ট দেই। সেখানে লিখেছিলাম 'জসিম কে, তোদের বাপ নিউটন মোল্লাকে জিজ্ঞেস কর'। ওই ফেসবুকে পোস্টকে কেন্দ্র করে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান সমকালকে বলেন, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ প লগঞ জ ফ সব ক প স ট গ প লগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তি দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ
জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তির দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ক্যাম্পাসের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। পরে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হন।
আরো পড়ুন:
নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
যবিপ্রবিতে বাতাস হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়, অভিযোগ শিক্ষার্থীদের
মিছিলে তারা ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরো দেব রক্ত’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সাবেক সমন্বয়ক এসএম সুইট, সাবেক সহ-সমন্বয়ক ইয়াসকিরুল কবীর সৌরভ, গোলাম রব্বানী, ছাত্রদল নেতা নূর উদ্দিন, রাফিজ, শিবির নেতা রায়হান নেজামী প্রমুখ।
এসএম সুইট বলেন, “যারা গণহত্যার বৈধতা দিয়েছিল তাদের শাস্তির আওতায় আনতে প্রশাসন থেকে একটা তালিকা করা হয়েছে। কিন্তু সেই তালিকায় অনেক রাঘববোয়ালদের নাম আসেনি। যারা গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে, তাদেরও নাম আসেনি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে জুলাইবিরোধী সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”
তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে আমরা কখনোই না। কিন্তু অভ্যুত্থানের বিরোধী শক্তি শিক্ষার্থীদের ম্যানিপুলেট করে জুলাইবিরোধী কাজগুলো করানোর চেষ্টা করছে। আশা করছি, এটি ধোপে টিকবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়-দায়িত্ব যেহেতু শহীদ ও আহত ভাই-বোনদের প্রতি। সে জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কতিপয় শিক্ষককে বহিষ্কৃত সিদ্ধান্তকে নাটক ও প্রহসন দাবি করে ছাত্রদল নেতা নূর উদ্দিন বলেন, “প্রশাসন কতিপয় শিক্ষককে বহিষ্কার ও হাতেগোনা কয়েকজন ছাত্রের ছাত্রত্ব বাতিল করেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাতের নাম বাদ দিয়েই তারা বাদবাকি চুনোপুঁটিদের বহিষ্কার করার যে নাটক, যে প্রহসন, সেই প্রহসনকে আমরা সে ঘৃণ্যাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী