সুপ্রিম কোর্টের হেল্পলাইনে সারা দেশ থেকে প্রায় সাড়ে ৭ মাসে আইনি পরামর্শ, মামলা–সম্পর্কিত তথ্য ও অভিযোগ দাখিল–সংক্রান্ত ২ হাজার ২৬টি কল গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে আইনি পরামর্শের জন্য ১ হাজার ৬৮টি কল আসে। এ ছাড়া বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়ে ৭৭১টি কল আসে। সব ক্ষেত্রেই সেবাগ্রহীতাকে তাৎক্ষণিক তথ্য দেওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট হেল্পলাইন সেবার কার্যক্রম বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ সোমবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। এই হিসাব গত সেপ্টেম্বর থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা শাখার কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হেল্পলাইনের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতি বরাবর গত সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৪টি অভিযোগ এসেছে। অভিযোগগুলো সুপ্রিম কোর্টের এখতিয়ারবহির্ভূত হওয়ায় হেল্পলাইনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিযোগকারীকে করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করেন।  

হেল্পলাইনের নম্বর দুটি হচ্ছে ০১৩১৬১৫৪২১৬ ও ০১৭৯৫৩৭৩৬৮০। সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো.

শফিকুল ইসলামের সই করা বিজ্ঞপ্তির ভাষ্য, সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কোনো শাখায় সেবা গ্রহণে কোনো বাধা পেলে বা যেকোনো বিষয়ে অসুবিধার মুখোমুখি হলে, সে বিষয়ে বিচারপ্রার্থী বা সেবাগ্রহীতাকে সহায়তা দিতে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতি রবি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত হেল্পলাইনে সেবা গ্রহণ করা যায়। হেল্পলাইন নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ ও মোবাইল অ্যাপ সার্ভিস চালু রয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ রহণ

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ