Samakal:
2025-06-15@14:28:31 GMT

নতুন জামা পইরা ঘুইরা বেড়ামু

Published: 21st, April 2025 GMT

নতুন জামা পইরা ঘুইরা বেড়ামু

‘যার মা-বাপ নাই, এই দুনিয়ায় হের তো কেউ নাই। হামনেগো দেওয়া এই নতুন জামা-কাপড় পাইয়া খুব খুশি হইছি। মোর কি যে আনন্দ লাগতাছে হেডা কইতা পারছি না। হামনেগো এই নতুন জামা পইরা  ঘুইরা বেড়ামু।’ পটুয়াখালীর সুহৃদদের দেওয়া উপহার হিসেবে নতুন জামা-কাপড় পেয়ে এ কথাগুলো বলছিল সুবিধাবঞ্চিত ৯ বছরের শিশু মিতু আক্তার।
মিতুর মা-বাবা বেঁচে থেকেও তারা নেই। মিতুর মা মিতুকে ছোট সময় ফেলে রেখে অন্য কারও হাত ধরে চলে যান। পরে বাবাও অন্য নারীকে বিয়ে করে আলাদা সংসার করছেন। মিতুর আশ্রয়স্থল হয় দাদা-দাদির সংসারে। দাদা ঢাকা শহরে রিকশা চালান এবং দাদি পটুয়াখালী শহরে বিভিন্ন মানুষের বাসাবাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করে সংসার চালান। এ উপার্জনে মিতুর পড়াশোনা চালিয়ে নিচ্ছেন তারা।  ঈদের নতুন জামা-কাপড় পেয়ে খুশি ছোট্ট শিশু জান্নাতুল। সে জানায়, ‘মোর বাবা ঢাহা শহরে রিকশা চালায় আর মা এইহানে মানসের বাসাবাড়িতে কাম-কাইজ করে। তিন বেলা ভালো খাইতেও কষ্ট হয়। মা-বাপে কী দিয়্যা মোগোরে নতুন নতুন জামা-কাপুড় কিন্যা দিব’– এমন প্রশ্ন শিশু মাইসা, রজব, নুর হোসেনসহ দুস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত অন্য শিশুদেরও।  সমকালের ২০ বছর উপলক্ষে ২০ জন দুস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে  উপহার হিসেবে নতুন পোশাক তুলে দেন পটুয়াখালীর সুহৃদরা। তত্ত্বাবধান করেন সমকালের জেলা প্রতিনিধি মুফতী সালাহউদ্দিন।  v     
সহসভাপতি সরকারি কলেজ, পটুয়াখালী
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স হ দ সম ব শ নত ন জ ম

এছাড়াও পড়ুন:

বন্ধুদের সঙ্গে ঝর্ণার কূপে নেমে প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ঝর্ণার কূপে বন্ধুদের সঙ্গে গোসলে নেমে আসিফ উদ্দিন (২৪) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বড়দারোগার হাটের পূর্বে পাহাড়ের ভেতর রূপসী ঝর্ণায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

আসিফ উদ্দিন চট্টগ্রামের সদরঘাট থানার পূর্ব মাদারবাড়ির কামাল গেট এলাকার মো. গোলাপের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

আফিসের বন্ধু মেহেদী হাসান জানান, তারা ৫ বন্ধু মিলে রোববার চট্টগ্রাম থেকে রূপসী ঝর্ণায় বেড়াতে যান। বেলা ১১টার দিকে ঝর্ণা এলাকায় পৌঁছান। কিছুক্ষণ আনন্দ করার পর সবাই মিলে ঝর্ণার একটি কূপে গোসলে নামেন। এ সময় আসিফ ডুবে যায়। বন্ধুরা মিলে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দেন তারা। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে কূপ থেকে আসিফের মরদেহ উদ্ধার করেন। 

আরেক বন্ধু নাফিজ আহম্মেদ জানান, আসিফ সাঁতার জানতো না। 

ফায়ার সার্ভিস জানায়, ওই পর্যটকের মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিজামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জাহিদুল হোসেন আরমান বলেন, ‘জাতীয় জরুরি সেবাকেন্দ্র থেকে পর্যটক নিখোঁজের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ