Samakal:
2025-08-01@02:31:12 GMT

নতুন জামা পইরা ঘুইরা বেড়ামু

Published: 21st, April 2025 GMT

নতুন জামা পইরা ঘুইরা বেড়ামু

‘যার মা-বাপ নাই, এই দুনিয়ায় হের তো কেউ নাই। হামনেগো দেওয়া এই নতুন জামা-কাপড় পাইয়া খুব খুশি হইছি। মোর কি যে আনন্দ লাগতাছে হেডা কইতা পারছি না। হামনেগো এই নতুন জামা পইরা  ঘুইরা বেড়ামু।’ পটুয়াখালীর সুহৃদদের দেওয়া উপহার হিসেবে নতুন জামা-কাপড় পেয়ে এ কথাগুলো বলছিল সুবিধাবঞ্চিত ৯ বছরের শিশু মিতু আক্তার।
মিতুর মা-বাবা বেঁচে থেকেও তারা নেই। মিতুর মা মিতুকে ছোট সময় ফেলে রেখে অন্য কারও হাত ধরে চলে যান। পরে বাবাও অন্য নারীকে বিয়ে করে আলাদা সংসার করছেন। মিতুর আশ্রয়স্থল হয় দাদা-দাদির সংসারে। দাদা ঢাকা শহরে রিকশা চালান এবং দাদি পটুয়াখালী শহরে বিভিন্ন মানুষের বাসাবাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করে সংসার চালান। এ উপার্জনে মিতুর পড়াশোনা চালিয়ে নিচ্ছেন তারা।  ঈদের নতুন জামা-কাপড় পেয়ে খুশি ছোট্ট শিশু জান্নাতুল। সে জানায়, ‘মোর বাবা ঢাহা শহরে রিকশা চালায় আর মা এইহানে মানসের বাসাবাড়িতে কাম-কাইজ করে। তিন বেলা ভালো খাইতেও কষ্ট হয়। মা-বাপে কী দিয়্যা মোগোরে নতুন নতুন জামা-কাপুড় কিন্যা দিব’– এমন প্রশ্ন শিশু মাইসা, রজব, নুর হোসেনসহ দুস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত অন্য শিশুদেরও।  সমকালের ২০ বছর উপলক্ষে ২০ জন দুস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে  উপহার হিসেবে নতুন পোশাক তুলে দেন পটুয়াখালীর সুহৃদরা। তত্ত্বাবধান করেন সমকালের জেলা প্রতিনিধি মুফতী সালাহউদ্দিন।  v     
সহসভাপতি সরকারি কলেজ, পটুয়াখালী
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স হ দ সম ব শ নত ন জ ম

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া’

ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীনন্দা শঙ্কর। সৃজিত মুখার্জির ‘এক যে ছিল রাজা’, সুমন ঘোষের ‘বসুপরিবার’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই তারকা। বলা যায়, টলিউডের প্রথম সারির সব নির্মাতার সঙ্গেই কাজ করেছেন এই নৃত্যশিল্পী। 

গত কয়েক বছর ধরে কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন শ্রীনন্দা। সেখানে সংসার, কাজ নিয়ে সময় কাটছে তার। তবে অভিনয়ে নেই। অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণ কী? ফের কী অভিনয়ে ফিরবেন না শ্রীনন্দা?  

ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে আলাপকালে এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন শ্রীনন্দা। এ অভিনেত্রী বলেন, “টলিউডে যাদের সঙ্গেই কাজ করেছি, তাদের সঙ্গে এখনো আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ভীষণ ভালো অভিজ্ঞতাও বলা চলে। মুশকিল হলো, বাংলা সিনেমায় তেমন বাজেট থাকে না। সত্যিই যদি খুব ভালো সিনেমা হয় বা এমন কোনো পরিচালক আমাকে অফার দেন যেখানে কোনো ভাবেই ‘না’ করব না। আমি নিশ্চয়ই আবার অভিনয়ে ফিরব।”

আরো পড়ুন:

কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী

পরিচালকের আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন শোলাঙ্কি

কিছু কিছু লোকের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েও মাঝপথে থেমে গিয়েছেন শ্রীনন্দা। কারণ, তাদের সঙ্গে মানসিকভাবে মেলেনি। তার ভাষায়—“মুম্বাই, কলকাতা বা সাউথ ইন্ডাস্ট্রি যেখানেই হোক না কেন, আমি ভালো মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কেউ এমন চরিত্রে সুযোগ দেন, যেখানে প্রয়োজনে টাকাটা ভুলে গিয়ে শুধু পরিচালকের নাম দেখেই কাজটা করব।”

কিছুটা ইঙ্গিপূর্ণভাবে শ্রীনন্দা বলেন, “কাজের পাশাপাশি আমার সংসারও রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই পেতে হবে, যার জন্য সংসারটা ইগনোর করার কথা ভাবব। অর্থাৎ মনে হবে সংসার ফেলে এই সিনেমাটা আমাকে করতেই হবে। এই বয়েসে একটু কফি খেতে যাবেন? কাজ দেবেন? এগুলো করতে পারব না। সবাই তো চেনেই আমাকে। কাজ দিতে হলে দেবেন।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব শ্রীনন্দা। অনেকে ভেবেছিলেন, এ মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করে থাকেন। তাদের উদ্দেশে শ্রীনন্দা বলেন, “অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা এটাও আমার পেশা। এখান থেকে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। আমি নিজেও আগে বিষয়টা জানতাম না। পোস্ট করতে করতে বুঝেছি। আমি এখন মুম্বাইয়ে মায়ের সঙ্গে পুরোদমে নাচের স্কুল চালাচ্ছি। এখন মোট ছয়টা ব্রাঞ্চ এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। সব মিলিয়ে ভালো আছি।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের শিকার হন শ্রীনন্দা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে আমাকে একজন বলেছিলেন, ‘রিল মামনি’। আমি আর মা এটা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েছি। মাঝেমধ্যে এসব বেশ মজাও লাগে। তবে যে পরিমাণ ভালোবাসা পাচ্ছি, সেটা খুব মন থেকেই ভক্তরা দিচ্ছেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি মনে করি, এটা আমার জীবনে আশীর্বাদ।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ