যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন অ্যামাজন ও ওয়ালমার্টের মতো মার্কিন অনলাইন খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভারতের ই–কমার্স বাজারে পূর্ণ প্রবেশাধিকার দিতে দেশটির ওপর চাপ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। আজ মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভারতে ১২ হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের ই–কমার্স বাজার রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী দৈনিকটির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা হলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তির আলোচনায় ই–কমার্সের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ নিশ্চিত করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা। ওই আলোচনায় খাদ্য থেকে গাড়ি পর্যন্ত নানা খাত অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

তবে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের কাছ থেকে কী ধরনের পদক্ষেপ আশা করছে, তা পত্রিকাটি বিস্তারিত জানায়নি।

অ্যামাজন ও ওয়ালমার্ট ভারতে তাদের স্থানীয় ইউনিটের মাধ্যমে কাজ করে। তবে তাদের পণ্য মজুত রাখা ও গ্রাহকদের কাছে সরাসরি বিক্রি করার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রয়েছে, যা দেশীয় প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্সের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

ভারতীয় প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স সহজেই পণ্য মজুত করে রাখতে পারে এবং তাদের বিশাল রিটেইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সারা দেশে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে পারে।

অবশ্য অ্যামাজন ও ওয়ালমার্টের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা তাৎক্ষণিক কোনো জবাব দেয়নি।

ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে একটি বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে, যার লক্ষ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক এড়ানো।

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স গতকাল সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। নয়াদিল্লির কর্মকর্তারা আশা করছেন, ৯০ দিনের মধ্যে পাল্টা শুল্ক স্থগিত থাকার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানো যাবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

করপােরেট কর হার কমানাে সম্ভব নয়: এনবিআর চেয়ারম্যান

কীভাবে সহজে ব্যবসা করার পরিবেশ তৈরি করা যায়– আগামী বাজেটে সেদিকেই বেশি ফোকাস থাকবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। বুধবার রাজধানীতে আগামী অর্থবছরের বাজেট বিষয়ে এনবিআরের পরামর্শক কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। 

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সব দাবিদাওয়া মানা সম্ভব নয়। তবে করহার যৌক্তিকীকরণ হবে। যারা নিয়মিত কর দেন তাদের বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ থাকবে। 

শুল্ককর বাড়ানোর বিষয়ে পক্ষ-বিপক্ষ থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এনবিআরকে সব দিকে নজর দিতে হয়। করপোরেট কর কমাতে কমাতে সাড়ে ২২ শতাংশে নিয়ে আসা হয়েছে। আর কমানো সম্ভব নয়। তিনি বলেন, এনবিআর এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে দূরত্ব কমাতে কর ব্যবস্থাপনার ডিজিটালাইজেশন একটি বড় ভূমিকা রাখবে।

ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সেবা ও অভিযোগ নিয়ে কাজ করার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন ডিজিটালাইজেশন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। তিনি বলেন, ব্যবসার বিভিন্ন স্তরে ভ্যাটের বিভিন্ন হার রয়েছে। একক হার করলে সবার জন্য সুবিধা হবে। তবে বিভিন্ন স্তরে সুশাসনের ঘাটতি রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ