মুশফিক নয় জয় ও নিজের দায় দেখছেন মুমিনুল
Published: 22nd, April 2025 GMT
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অফ ফর্মের কারণে সমালোচনার জেরে অবসর নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তবে খেলে যাওয়া একমাত্র লাল বলেও তিনি ছন্দে নেই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্টের দুই ইনিংসেই ৪ রান করে আউট হয়েছেন তিনি।
অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের আউট নিয়ে প্রশ্নে দায় নিজের কাঁধে নিয়েছেন মুমিনুল হক। কিছু দায় দিয়েছেন টপ অর্ডারের তরুণ ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয়কেও। তার মতে, মুশফিকের চেয়ে দায় বেশি তাদের। কারণ ব্যাখ্যায় মুমিনুল জানান, টেস্টে সেট হয়ে আউট হওয়ার দোষে দুষ্ট তারা।
মুমিনুল বলেন, ‘অনেকে হয়তো অনেকজনকে দোষ দিতে পারেন। আমি ও জয় সেট হয়ে আউট হয়েছি। এখানে দায়িত্বটা বেশি আমাদের ওপর বর্তায়। আমি মনে করি, আমার দায় নিতে হবে, জয়কেও নিতে হবে। টেস্টে ১০ রান বা এর নিচে আউট হয়ে গেলে তার অতোটা দোষ নেই। বরং সেট হয়ে আউট হলেই দোষটা নিতে হবে। মুশফিক ভাই যেহেতু এখন শুধু টেস্ট খেলছেন তিনি পূর্বের চেয়েও এখন আরও ভালো করবেন।’
বাংলাদেশ গত বছরও কিছু টেস্টে ভালো খেলেছে। পাকিস্তানে টেস্ট সিরিজ জিতেছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট জিতেছে। এসব বিবেচনায় জিম্বাবুয়ে ছোট দল। তাদের বিপক্ষে সিরিজ জমবে না ভেবেই সম্প্রচার স্বত্ব কেনেনি কোন টিভি। বাংলাদেশ দলও কি হালকাভাবে নিয়েছিল মুজুরাবানিদের?
এমন প্রশ্নে মুমিনুল বলেন, ‘আপনি যখন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবেন তখন কাউকেই হালকাভাবে নিতে পারবেন না। আমার মনে হয় না, কেউ হালকা করে নিয়েছে। উইকেট কিন্তু একটু কঠিন আছে। সিলেটের উইকেট আগের মতো ফ্লাট না।’ টপ অর্ডারে নিয়মিত ব্যর্থতার কারণ অজানা বলেও উল্লেখ করেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম ম ন ল হক
এছাড়াও পড়ুন:
২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির
জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর
দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”
তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী