চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অফ ফর্মের কারণে সমালোচনার জেরে অবসর নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তবে খেলে যাওয়া একমাত্র লাল বলেও তিনি ছন্দে নেই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্টের দুই ইনিংসেই ৪ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। 

অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের আউট নিয়ে প্রশ্নে দায় নিজের কাঁধে নিয়েছেন মুমিনুল হক। কিছু দায় দিয়েছেন টপ অর্ডারের তরুণ ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয়কেও। তার মতে, মুশফিকের চেয়ে দায় বেশি তাদের। কারণ ব্যাখ্যায় মুমিনুল জানান, টেস্টে সেট হয়ে আউট হওয়ার দোষে দুষ্ট তারা।

মুমিনুল বলেন, ‘অনেকে হয়তো অনেকজনকে দোষ দিতে পারেন। আমি ও জয় সেট হয়ে আউট হয়েছি। এখানে দায়িত্বটা বেশি আমাদের ওপর বর্তায়। আমি মনে করি, আমার দায় নিতে হবে, জয়কেও নিতে হবে। টেস্টে ১০ রান বা এর নিচে  আউট হয়ে গেলে তার অতোটা দোষ নেই। বরং সেট হয়ে আউট হলেই দোষটা নিতে হবে। মুশফিক ভাই যেহেতু এখন শুধু টেস্ট খেলছেন তিনি পূর্বের চেয়েও এখন আরও ভালো করবেন।’

বাংলাদেশ গত বছরও কিছু টেস্টে ভালো খেলেছে। পাকিস্তানে টেস্ট সিরিজ জিতেছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট জিতেছে। এসব বিবেচনায় জিম্বাবুয়ে ছোট দল। তাদের বিপক্ষে সিরিজ জমবে না ভেবেই সম্প্রচার স্বত্ব কেনেনি কোন টিভি। বাংলাদেশ দলও কি হালকাভাবে নিয়েছিল মুজুরাবানিদের?

এমন প্রশ্নে মুমিনুল বলেন, ‘আপনি যখন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবেন তখন কাউকেই হালকাভাবে নিতে পারবেন না। আমার মনে হয় না, কেউ হালকা করে নিয়েছে। উইকেট কিন্তু একটু কঠিন আছে। সিলেটের উইকেট আগের মতো ফ্লাট না।’ টপ অর্ডারে নিয়মিত ব্যর্থতার কারণ অজানা বলেও উল্লেখ করেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ম ন ল হক

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকার তেজগাঁওয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তেজগাঁও সাউদার্ন পাম্পের পাশে সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নিহত খন্দকার সাইদুর রহমান (৩৮) পেশায় মার্চেন্ডাইজার ছিলেন। তাঁর বাড়ি ঢাকার পল্লবীর বাউনিয়ার আলাবদিরটেক এলাকায়। তাঁর বাবার নাম খন্দকার মোফাজ্জল হায়দার।

মৃতের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাতে সাইদুর মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে একটি ট্রাকের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মোটরসাইকেলে সাইদুরের সঙ্গে তাঁর এক সহকর্মীও ছিলেন। তবে তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মারুফ জানিয়েছেন।

আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, যে ট্রাকটি সাইদুরের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়েছিল, তা আটক করা হয়েছে, তবে এর চালক পালিয়ে গেছেন।

পরিবারের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই সাইদুরের মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা আল মারুফ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ