তিউনিসিয়ার বিভিন্ন শহরে ৩২ জন বাংলাদেশি আটকা পড়েছেন। তাদেরকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।

দূতাবাস থেকে তিউনিসিয়ার বিভিন্ন শহরে আটকা পড়া ৩২ বাংলাদেশির পরিচয় নিশ্চিত করে তাদের নামে ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করা করা হয়েছে। তাদের আউটপাসগুলো আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) তিউনিসিয়া কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে দূতাবাসের প্রতিনিধি তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বুধবার (২৩ এপ্রিল) ২১ জনকে প্রাথমিকভাবে দেশে পাঠানোর বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। অবশিষ্টদের দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশে ফেরত পাঠানোর সব প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

এছাড়া, দূতাবাস থেকে জানবুদা শহরে আটকা থাকা দুই বাংলাদেশিকে ২২ এপ্রিল স্থানীয় আদালতে প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, তারা অচিরেই মুক্তি পাবেন।

ঢাকা/হাসান/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ক্রান্তিকালে বিসিবির প্রস্তুতির অভাব দেখছেন তামিম

জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের নির্ভরতার প্রতীক তামিম ইকবাল মনে করছেন, সাকিব-মুশফিক-রিয়াদদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য আগেভাগে প্রস্তুত ছিল না বিসিবি। এই পরিস্থিতিতে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), টাইগার্স ও ‘এ’ দলের কাঠামোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘পাঁচজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সরে গেছে, যাদের অভিজ্ঞতা ১৫-১৭ বছরের। তারা হাজারের বেশি ম্যাচ খেলেছে। এই মানের ক্রিকেটারদের বিদায়ে শূন্যতা আসবেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বোর্ড কি এই ক্রান্তিকালের জন্য প্রস্তুত ছিল?’

তামিমের মতে, জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই এখন ৭-১০ বছর ধরে খেলছেন। এই সময়টাতে তাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প খেলোয়াড় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলকে যতটা সম্ভব সুযোগ-সুবিধা দিন, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে এইচপি, টাইগার্স ও “এ” দলে বেশি ফোকাস করুন। এই জায়গাগুলোতে ভালো বিনিয়োগ না হলে জাতীয় দল সবসময় ধুঁকতেই থাকবে।’

তবে সামগ্রিকভাবে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী তামিম। তার ভাষায়, ‘আমরা কখনোই তিন সংস্করণে একসঙ্গে ভালো করিনি। এই দলটাকেও যদি সময় দেওয়া হয়, তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’

ভবিষ্যৎ তারকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তামিম বেশ কয়েকজনের নাম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পেস বিভাগে তাসকিন আছে, নতুন নাহিদ রানা ভালো করছে। তাইজুল চমৎকার স্পিনার। হৃদয়, জাকের আলীরাও সম্ভাবনাময়। এদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ বড় তারকা হয়ে উঠতে পারে।’

সবশেষে তিনি বোর্ডের প্রতি ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস দিন, বোঝান– তারা বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ