মুন্সীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতা পদত্যাগ করে ছাত্রদলে যোগ দিয়েছেন। বুধবার বেলা ১১টার দিকে শ্রীনগর সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে ছাত্রদলের সদস্য ফরম সংগ্রহ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তারা ছাত্রদলের সদস্য ফরম সংগ্রহ করেন। 

ছাত্রদলের সদস্য ফরম সংগ্রহকারীরা হলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সহ-মুখ্য সংগঠক আশ্রাফুল আলম আহাদ, সদস্য আবিদ খান আপন ও ইয়াফি আহমেদ ফাহিম। জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শ্রীনগর উপজেলার টিম প্রধান মো.

তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কর্মসূচি শেষে জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম তার ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‌‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি থেকে পদত্যাগ করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শ্রীনগর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্য ফরম সংগ্রহ করে ছাত্রদলে যোগ দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার সহ-মুখ্য সংগঠক আশ্রাফুল আলম আহাদ, সদস্য আবিদ খান আপন ও ইয়াফি আহমেদ ফাহিম।’ 

জানা গেছে, ছাত্রদলের শ্রীনগর সরকারি কলেজ শাখার কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সদস্য সংগ্রহ ও ফরম বিতরণ করা হচ্ছে। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রীনগর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আশ্রাফুল ইসলাম শুভ, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক ইমন, সিনিয়র সহ-সভাপতি পলাশ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শিমুল, শ্রীনগর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হাসিব হাসান, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বাবু মোল্লা, শ্রীনগর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন টিপু, শ্রীনগর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শিপলু প্রমুখ। 

 

 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল পদত য গ শ র নগর সরক র ছ ত রদল র স ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম: আমির খান

বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খানকে নিয়ে রাজকুমার হিরানি নির্মাণ করেন আলোচিত সিনেমা ‘পিকে’। ২০১৪ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। মুক্তির পর বক্স অফিসে সুপারডুপার হিট হয়।

এ সিনেমা মুক্তির আগে প্রকাশিত হয় আমিরের পোস্টার। সিনেমাটিতেও নগ্ন আমিরের দেখা মেলে। তারপর দারুণ আলোচনায় উঠে আসেন এই অভিনেতা। সমালোচনাও কম সইতে হয়নি তাকে। এখানেই শেষ নয়, হিন্দু ধর্মের প্রতি কটাক্ষ করার অভিযোগে তীব্র সমালোচনা মুখে পড়েন আমির। ভাঙচুর করা হয় প্রেক্ষাগৃহ।

প্রায় এক যুগ পর এসব বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন আমির খান। ইন্ডিয়া টিভি চ্যানেলের ‘আপ কি আদালত’ শোয়ে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন আমির। তার ভাষায়— “ধর্ম নয়, ধর্মের নামে যারা প্রতারণা করে ‘পিকে’ সেসব লোকদের সমালোচনা করেছে।”

আরো পড়ুন:

জোড়া লাগল অর্জুন-মালাইকার ভাঙা প্রেম!

অন্তঃসত্ত্বা কিয়ারাকে কী উপহার দিলেন রাম চরণ?

ব্যাখ্যা করে আমির খান বলেন, “তারা ভুল। আমরা কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে নই। আমরা সমস্ত ধর্ম ও সমস্ত ধর্মের মানুষদের শ্রদ্ধা করি। যারা ধর্মকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা কামায়, তাদের বিষয়ে সচেতন করাই ‘পিকে’ সিনেমার উদ্দেশ্য ছিল। প্রতিটি ধর্মেই এমন লোক পাওয়া যায়।”

‘পিকে’ সিনেমায় পাকিস্তানি এক মুসলিম ছেলেরি প্রেমে পড়ে ভারতীয় হিন্দু ধর্মের অনুসারী এক নারী (আনুশকা শর্মা)। এটাকে ‘লাভ জিহাদ’ বলে অনেকে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে আমির খান বলেন, “সবসময়ই এটিকে লাভ জিহাদ বলা উচিত নয়। এটি মানবতা। মানবতা ধর্মের উর্ধ্বে।”

গত ৭-৮ বছরে দেশদ্রোহী, হিন্দুবিরোধী হওয়ার অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন আমির খান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম। আমি গর্বিত আমি একজন ভারতীয়। দুটোই একসঙ্গে সত্যি হতে পারে।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ