কাশ্মিরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ ভারতীয় সেনা নিহত
Published: 24th, April 2025 GMT
ফের গুলির শব্দে কাঁপছে ভারতের জম্মু ও কাশ্মির উপত্যকা। গতকাল মঙ্গলবার কাশ্মিরে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬ জন। এরই মধ্যে আজ সকাল থেকেই সেনাবাহিনী-বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গুলির লড়াই চলছে উধমপুরে। এ ঘটনায় ভারতের সেনাবাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে এই এলাকায় অভিযান চালাচ্ছিলেন, কারণ গোয়েন্দা তথ্যে সেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উপস্থিতি ছিল বলে জানানো হয়েছিল। অভিযানের সময় দুদু-বাসন্তগড় এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ লড়াই শুরু হয়।
আরো পড়ুন:
ভারতের কঠোর পদক্ষেপ, জবাব দিতে প্রস্তুত পাকিস্তান
পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলা: পাকিস্তানিদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ
ভারতীয় সেনাবাহিনীর হোয়াইট নাইট কর্পস জম্মু অঞ্চলে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তারা জানায়- “বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জম্মু ও কাশ্মির পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে উধমপুরের বাসন্তগড়ে অভিযান চালানো হয়। সেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মুখোমুখি হওয়ার পর প্রচণ্ড গোলাগুলি শুরু হয়। সংঘর্ষের শুরুতেই আমাদের এক সাহসী জওয়ান গুরুতর আহত হন এবং চিকিৎসার সব চেষ্টা সত্ত্বেও শেষপর্যন্ত নিহত হন।”
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার কাশ্মিরের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা পহেলগাঁওতে পর্যটকদের ওপর হামলা চালিয়েছিল বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। এতে অন্তত ২৬ জন নিহত এবং আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। হামলাকারীদের ধরতে একাধিক কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা অভিযান চালাচ্ছে।
এরই মধ্যে সন্দেহভাজন হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রে তাদের গতিবিধি সম্পর্কে খোঁজ দিতে পারলে ২০ লাখ রুপি পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছে অনন্তনাগ পুলিশ।
ইতিমধ্য়েই পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলায় সন্দেহভাজন হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ করেছে ভারত সরকার। হামলায় যুক্ত সন্দেহভাজন চারজন হলো- আদিল, আসিফ ফুজি, সুলেমান শাহ এবং আবু তালহা। তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)-এর সদস্য।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব চ ছ ন নত ব দ দ র
এছাড়াও পড়ুন:
’৭১-কে ’২৪-এর মুখোমুখি না দাঁড় করানোর আহ্বান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
’৭১ ও ’২৪— বাংলাদেশের ইতিহাসে দুটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। কিন্তু এ দুটি ঘটনাকে পরস্পরের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে বিভাজনের রাজনীতি চালানোর অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ ধরনের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বলেছে, ’৭১ ও ’২৪ কখনোই একে অপরের পরিপন্থী নয়। বরং ১৯৪৭ সালে ভূখণ্ড অর্জন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা এবং ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দীর্ঘ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি— এই তিনটি অধ্যায় একই ধারাবাহিক মুক্তিসংগ্রামের অংশ।
সংগঠনটি বলেছে, ‘মুজিববাদী সংবিধানের ফলে সৃষ্টি ফ্যাসিবাদের কবর রচিত হয়েছে ২০২৪-এর অভ্যুত্থানে। তাই ’৭১ ও ’২৪— উভয়ই আমাদের গৌরবের অংশ। এই সংগ্রামগুলোর প্রত্যেকটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শ্রদ্ধাভরে স্বীকার করে ও সমভাবে সম্মান করে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে, ’৭১ ও ’২৪-কে মুখোমুখি দাঁড় করানোর প্রয়াস আসলে ‘শাপলা ও শাহবাগের বাইনারি’ ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা, যার মাধ্যমে আবারও আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক করে তোলার সুযোগ সৃষ্টি হয়। অথচ ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ছিল মুজিববাদী শাসনব্যবস্থা ও বাহাত্তরের ত্রুটিপূর্ণ সংবিধানের ভিত্তিতে গঠিত দুর্বল রাষ্ট্র কাঠামোর বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ।
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সংগঠনটি বলেছে, ‘এ ধরনের অপরাজনীতি ছাত্র-জনতা কখনই মেনে নেবে না। আমরা জাতীয় স্বার্থ ও জনকল্যাণের পক্ষে রাজনীতির আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায়, কেউ যদি আওয়ামী লীগকে প্রাসঙ্গিক করার লক্ষ্যে এমন অপচেষ্টা চালায়, তাহলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে নিয়ে তার বিরুদ্ধে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।’
আরও পড়ুনবাম সংগঠনগুলোর ঘৃণা মিছিল, ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন১ ঘণ্টা আগে