দেশের বাজারে ‘ওয়ালপ্যাড ৯জি’ মডেলের নতুন অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেট কম্পিউটার এনেছে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ৮.৬৮ ইঞ্চি এইচডি (হাই-ডেফিনেশন) আইপিএস পর্দার ট্যাবলেট কম্পিউটারটির রিফ্রেশ রেট ৯০ হার্টজ হওয়ায় সহজেই ভালো মানের ছবি ও ভিডিও দেখা যায়। আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তি এ তথ্য জানিয়েছে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

সংবাদ বিজ্ঞাপ্তি বলা হয়েছে, অ্যান্ড্রয়েড ১৪ অপারেটিং সিস্টেমে চলা ট্যাবলেট কম্পিউটারটিতে রয়েছে হেলিও জি৯৯ অক্টাকোর প্রসেসর, ৪ গিগাবাইট র‌্যাম এবং ১২৮ গিগাবাইট ধারণক্ষমতা। এর পাশাপাশি মালি-জি৫৭ জিপিইউ থাকায় দ্রুত বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহারের পাশাপাশি স্বচ্ছন্দে উন্নত রেজল্যুশনের গেমস খেলা যায়।

ট্যাবলেট কম্পিউটারটির পেছনে ১৩ ও ৫ মেগাপিক্সেলের দুটি ক্যামেরা এবং সামনে ৫ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে। এর ফলে ছবি তোলা ও ভিডিও ধারণের পাশাপাশি সহজেই ভিডিও কল বা অনলাইন ক্লাস করা যায়। ৫ হাজার ১০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিসহ ১৮ ওয়াটের ফাস্টচার্জ প্রযুক্তি থাকায় দ্রুত চার্জ করার পাশাপাশি দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা যায় ট্যাবলেট কম্পিউটারটি। ফলে ব্যাটারির চার্জ নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।

ডুয়েল-ব্যান্ড ওয়াইফাই, ব্লুটুথ ৫.

২, হাইব্রিড সিম স্লট এবং ইউএসবি টাইপ-সি পোর্টযুক্ত ট্যাবলেট কম্পিউটারটিতে জিপিএস, জি-সেন্সর, লাইট সেন্সর, হল সেন্সর ও কম্পাসের মতো প্রয়োজনীয় সেন্সর সুবিধাও রয়েছে। এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবাসহ ট্যাবলেট কম্পিউটারটির দাম ১৬ হাজার ৬৫০ টাকা।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ