Samakal:
2025-06-15@23:28:27 GMT

নির্মাণকাজ বন্ধ ৬ মাস, দুর্ভোগ

Published: 26th, April 2025 GMT

নির্মাণকাজ বন্ধ ৬ মাস, দুর্ভোগ

রাজধানী ঢাকার অদূরে টঙ্গীর বুক চিরে বয়ে চলা ঐতিহাসিক তুরাগ নদ। এ নদের ওপরে রয়েছে একটি বেইলি ব্রিজ। বহু আগের নির্মিত রুগ্‌ণপ্রায় সেতুটির ওপর দিয়ে লাখো মানুষ আতঙ্ক নিয়ে যাতায়াত করেন। রিকশা ও হেঁটে পার হওয়া ছাড়া কোনো গাড়ি চলাচলের সুযোগ নেই। জরুরি প্রয়োজনে ঢাকায় যেতে অনেক পথ ঘুরতে হয়। এ অবস্থায় ২০২২ সালে বেইলি ব্রিজের পাশ দিয়ে একটি কংক্রিটের সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। চলতি বছরে সম্পূর্ণ হওয়ার কথা থাকলেও ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় ৬ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে নির্মাণকাজ। এতে নির্মাণাধীন সেতু নিয়ে আশাবাদী হয়েও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। 

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) রাজধানীর সঙ্গে গাজীপুরের টঙ্গীবাসীর যাতায়াতের সুবিধার্থে তুরাগ নদের ওপরে ‘প্রত্যাশা সেতু’ তৈরির উদ্যোগ নেয়। কাজ শুরুর পরপরই ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে বর্তমানে স্থিতাবস্থায় রয়েছে। 
সরেজমিন দেখা গেছে, ১৪টি পিলারের ওপর ৪৯৮ মিটার দৈর্ঘ্যের নির্মিতব্য এই সেতুটির কাজ চলছে। ১৪ পিলারের মধ্যে ১১টিতে স্প্যান বসানো হলেও ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় বাকি তিনটি পিলারে স্প্যান বসানোর কাজ বন্ধ রয়েছে। সেতুটির কাজ শেষ না হওয়ায় এলাকার মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম অসন্তোষ। পল্লি সড়ক গুরুত্বপূর্ণ  সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২০২২ সালে শুরু হওয়া সেতুটির কাজ ৩ বছরের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল।

ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় বিপাকে পড়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এনডিই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনডিইর এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, জায়গার সমস্যার বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব এলজিইডির। নির্মাণসামগ্রীর দাম বৃদ্ধিতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এলজিইডি দ্রুত সমাধান দিলেই কাজের পরিবেশ তৈরি হবে। 
এদিকে জমির মালিক আনোয়ার হোসেন সমকালকে বলেন, এলজিইডি প্রথমে সেতুটির পাইলিংয়ের কাজের সুযোগ চায়। শুরুতে বাধা দিলেও এলজিইডির টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে  আমরা সরে আসি। পরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আশানুরূপ ফল না পেয়ে আদালতে স্টে অর্ডারের জন্য আবেদন করি। আদালত তা মঞ্জুর করেন। এখনও সে অবস্থায় আছে। এ অবস্থায় এলাকাবাসী খুবই হতাশ।
উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার প্রবীণ আনোয়ার হোসেন বলেন, সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলে আমাদের টঙ্গীসহ অন্যান্য এলাকার মানুষের সঙ্গে যাতায়াত সহজ হবে। পুরোনো সেতুটি যে কোনো সময় ভেঙে যেতে পারে। দ্রুত সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করার দাবি জানান তিনি।

টঙ্গীর স্টেশন এলাকার বাসিন্দা আবু সাঈদ সমকালকে বলেন, বেইলি সেতুর ওপর দিয়ে রিকশা ছাড়া কোনো যানবাহন চলাচলের সুযোগ নেই। কেউ অসুস্থ হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সহজে ঢাকায় নেওয়া যায় না। অনেক পথ ঘুরতে হয়। এটা আমাদের জন্য বড় ধরনের বাধা। 
ভূমি অধিগ্রহণে টাকা না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এলজিইডি ঢাকা জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী বাচ্চু মিয়া সমকালকে বলেন, উনাদের এ অভিযোগ ঠিক নয়। সেতুর দুই পাশে যাদের জায়গা পড়েছে, তাদের সঙ্গে আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রাখছি। চার ধারার কাজও প্রায় শেষ। প্রকল্পের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে সরকারের নির্ধারিত মূল্য হস্তান্তর করার পর তারা আট ধারা অনুযায়ী যাচাই-বাছাই শেষে জমির মালিকদের মূল্য পরিশোধ করবে। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এল ক র র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

চুইঝাল চাষে সাফল্য পেয়ে প্রবাসফেরত শাহ আলম বললেন, ‘আর বিদেশে যাব না’

সিরাজগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে চুইঝাল চাষ করে সাফল্যের দেখা পেয়েছেন বিদেশফেরত এক ব্যক্তি। জেলায় মসলাজাতীয় ফসল চুইঝালের সফল বাণিজ্যিক চাষ এটিই প্রথম। এই সফলতায় বর্তমানে এলাকার কৃষক, তরুণ ও যুবকেরা চুইঝাল চাষ করতে আগ্রহী হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

ওই ব্যক্তির নাম শাহ আলম (৪৫)। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের শুকুর আলীর বড় ছেলে। প্রায় এক যুগ সৌদি আরবে প্রবাসজীবন কাটিয়ে গ্রামে ফিরে ২০২২ সালে সিরাজগঞ্জে চুইঝাল চাষের উদ্যোগ নেন তিনি।

সম্প্রতি এক দুপুরে শাহ আলমের চুইঝালের খেতে গিয়ে দেখা যায়, জমি থেকে ফসল উত্তোলন করা হচ্ছে। বেশ কিছু স্থানে সমূলে চুইঝাল গাছগুলো তুলে বিভিন্ন স্থানে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। খুলনাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকারেরা গিয়ে এসব চুইঝাল কিনে নিচ্ছেন।

জানতে চাইলে শাহ আলম বলেন, ‘বিদেশে থাকা অবস্থাতেই ইউটিউবে খুলনা এলাকায় চুইঝাল চাষে কৃষকদের সফলতা দেখে আমার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে খুলনা এলাকায় চুইঝালের চারা উৎপাদকারী একটি নার্সারির মালিকের সঙ্গে কথা হয়। তিনি আমাকে বেশ উদ্বুদ্ধ করেছেন। এরপর দেশে ফিরে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সমন্বিত কৃষি ইউনিটের (কৃষি খাত) আওতায় উচ্চমূল্যের মসলাজাতীয় ফসল উৎপাদন প্রদর্শনী বাস্তবায়নকারী স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এনডিপি) সহায়তায় চুইঝালের চাষ শুরু করি। ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট বাড়ির পাশে ৩৩ শতক জমি ৩ বছরের জন্য ৬০ হাজার টাকায় ইজারা নিয়ে এগুলোর চাষ শুরু করা হয়।’

শাহ আলমের দাবি, চুইঝাল চাষ শুরু থেকে এ পর্যন্ত তাঁর খরচ হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার টাকা। অন্যদিকে চলতি বছর দুই ধাপে ৭ লাখ ৩৭ হাজার টাকার চুইঝাল বিক্রি করেছেন।

সিরাজগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে চুইঝাল চাষ করে সফল হওয়ার দাবি করেছেন প্রবাসফেরত শাহ আলম

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চুইঝাল চাষে সাফল্য পেয়ে প্রবাসফেরত শাহ আলম বললেন, ‘আর বিদেশে যাব না’