পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামে নির্মাণাধীন আরপিসিএল-নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ‘স্ক্র্যাপ শেডে’ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় এ আগুনের সূত্রপাত হয়।

আরপিসিএলের (রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো.

সেলিম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে হয়তো কেউ বাইরে থেকে স্ক্র্যাপ শেডে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। এতে মূল পাওয়ার প্ল্যান্টের কোনো ক্ষতি হয়নি। বিষয়টি নাশকতার উদ্দেশ্যে কি না, তা এই মুহূর্তে তা বলা যাচ্ছে না।’

উল্লেখ্য, নির্মাণকাজ শেষে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালুর অপেক্ষায় রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় বিদ্যুৎকেন্দ্রের সীমানাপ্রাচীরের মধ্যে একটি ‘স্ক্র্যাপ শেডে’ হঠাৎ আগুন দেখতে পান স্থানীয়রা। স্ক্র্যাপ শেডটি প্রায় ২০ একর জায়গা নিয়ে অবস্থিত। সেখানে প্লাস্টিকের ড্রাম, প্লাস্টিকের খালি বোতল, বিটুমিনের খালি ড্রাম, বিভিন্ন যন্ত্রাংশের টুকরা রাখা ছিল। হঠাৎ করে লাগা আগুনের লেলিহান শিখায় এসব পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। এ ছাড়া আগুনে নিরাপত্তারক্ষীদের ১৩-১৪টি ডিউটি বক্স পুড়ে ক্ষতি হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

খবর পেয়ে কলাপাড়া থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। পাশাপাশি আরপিসিএল-নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের নিজস্ব ফায়ার ইউনিটের সহায়তায় রাত সাড়ে ৯টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আরও পড়ুনকলাপাড়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ লাখ টাকার মাল চুরির অভিযোগে মামলা১৩ জানুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুনকলাপাড়ায় নির্মাণাধীন ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতি ৭৬ শতাংশ০২ আগস্ট ২০২৩

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঝিনাইদহে ছেলের হাতে বাবা খুন

ঝিনাইদহে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের কোদালের কোপে শাহাদত হোসেন (৬৩) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফয়সাল হোসেনকে (২২) আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৬ জুন) সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহাদত হোসেন ওই গ্রামের তাইজেল হোসেনের ছেলে।

নিহতের স্বজনেরা অভিযোগ করেন, সকাল ১০টার দিকে শাহাদত হোসেন ছেলে ফয়সাল হোসেনকে সাথে নিয়ে মাঠে কাজ করতে যান। কাজ করার ফাঁকে ফয়সাল কোদাল দিয়ে তার বাবার মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে মৃত বাবাকে মাঠে রেখে বাড়িতে গিয়ে মাকে পুরো ঘটনা জানান ফয়সাল। স্বজনেরা দ্রুত মাঠে গিয়ে শাহাদতের লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন।

আরো পড়ুন:

কারাগারে ‘ফাঁস নিলেন’ জুলাই-আগস্ট হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সুজন

মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ফয়সাল হোসেন দুই বছর ধরে মানসিক বিকারগ্রস্ত। পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে কিছুদিন আগে বাড়িতে ফিরেছেন।

ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘‘অভিযুক্ত ফয়সালকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ