জন্মশহর দিল্লিতে ফিরে দিল্লিকেই হারিয়ে দিলেন কোহলি
Published: 27th, April 2025 GMT
ভারতের রাজধানী দিল্লির ছেলে বিরাট কোহলি; কিন্তু আইপিএলে খেলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে। বিষয়টি কারও অজানা নয়।
ঘরের ছেলে কোহলি ঘরের ফিরে আইপিএলে আজ খেলতে নেমেছিলেন স্থানীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে। তাঁর ফেরাটাও হয়ে রইল স্মরণীয়। আরেকটি ফিফটিতে বেঙ্গালুরুর জয়ে দারুণ অবদান রাখলেন। দলও উঠে এল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে।
অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ১৬২ রান করেছিল দিল্লি। জবাবে ৯ বল আর ৬ উইকেট বাকি রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে বেঙ্গালুরু।
এ মৌসুমে প্রতিপক্ষের মাঠে এখন পর্যন্ত খেলা ছয় ম্যাচেই জিতল কোহলির বেঙ্গালুরু। সঙ্গে নিজেদের মাঠ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আগের ম্যাচেই পাওয়া জয়ে পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়াল ১৪। দিল্লি ১২ পয়েন্টে আটকে থেকে নেমে গেল চারে।
কোহলি ৫১ রান করে আউট হলেও বেঙ্গালুরুর জয় তখন ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। এরপর টিম ডেভিড নেমেই দিল্লির বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
ক্রুনাল পান্ডিয়ার সঙ্গে ১১৯ রানের জুটি গড়েন বিরাট কোহলি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।