মাদ্রাসা ও কারিগরির শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা পাবেন অনুদান, আবেদনের সময় বাড়ল
Published: 28th, April 2025 GMT
দেশের মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের বিশেষ মঞ্জুরির অনুদান দেবে সরকার। এ আবেদনের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। গতকাল রোববার (২৭ এপ্রিল) প্রকাশিত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৪ মে পর্যন্ত আগ্রহীরা আবেদনের সুযোগ পাবেন মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা। অনিবার্য কারণে আবেদনের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিশেষ মঞ্জুরির অনুদানের জন্য আবেদন করতে হবে অনলাইনে। হার্ডকপিতে কোনো আবেদন নেওয়া হবে না। ইতোপূর্বে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির সব শর্ত অপরিবর্তিত থাকবে বলেও ২৭ এপ্রিল প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসা, দৈব দুর্ঘটনা ও চিকিৎসার খরচের জন্য বিশেষ মঞ্জুরির অনুদান দেওয়া হবে। প্রতিবন্ধী, অসহায়, অস্বচ্ছল ও মেধাবী, অনগ্রসর সম্প্রদায়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অনুদান পেতে অগ্রাধিকার পাবেন।
আরও পড়ুনকুইনস কমনওয়েলথ রচনা প্রতিযোগিতা, অংশ নিয়ে ইংল্যান্ড ভ্রমণের সুযোগ ০২ এপ্রিল ২০২৫শর্তাবলিগুলো হলো—
*দেশের সরকারি/বেসরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সংযুক্ত/স্বতন্ত্র (অনুদানপ্রাপ্ত/অনুদানবিহীন) ইবতেদায়ী মাদ্রাসা ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত/এমপিওভুক্ত সরকারি/বেসরকারি কারিগরি/মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেরামত ও সংস্কার, আসবাব তৈরি, খেলাধুলার সরঞ্জাম ক্রয়, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীবান্ধব প্রতিষ্ঠান গড়ার নিমিত্ত প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ এবং পাঠাগারের উন্নয়নকাজের জন্য মঞ্জুরির আবেদন করতে পারবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনগ্রসর এলাকার অস্বচ্ছল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অথচ প্রতিষ্ঠানের লেখাপড়ার মান ভালো—এ রূপ প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে।
*দেশের সব সরকারি/বেসরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সংযুক্ত/স্বতন্ত্র (অনুদানপ্রাপ্ত/অনুদানবিহীন) ইবতেদায়ী মাদ্রাসা ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত/এমপিওভুক্ত সরকারি/বেসরকারি কারিগরি/মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা তাঁদের জটিল ও ব্যয়বহুল রোগ এবং দুর্ঘটনার জন্য মঞ্জুরির আবেদন করতে পারবেন।
জাপানে উচ্চশিক্ষা: যাত্রা শুরু করবেন কোথা থেকে, কীভাবে?বিনা মূল্যে আইটি প্রশিক্ষণে নতুন বিজ্ঞপ্তি, ২ লাখ টাকার কোর্স শেষে কর্মসংস্থান, যাদের সুযোগকুইনস কমনওয়েলথ রচনা প্রতিযোগিতা, অংশ নিয়ে ইংল্যান্ড ভ্রমণের সুযোগ*সরকারি/বেসরকারি কারিগরি/মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীগণ জটিল ও ব্যয়বহুল রোগ, দুর্ঘটনা এবং শিক্ষার ব্যয় নির্বাহের জন্য মঞ্জুরির আবেদন করতে পারবেন। তবে এ বিশেষ মঞ্জুরি প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী, দরিদ্র মেধাবী ও অনগ্রসর সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে।
*মঞ্জুরি করা অনুদান প্রাপ্তির লক্ষ্যে আগ্রহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের ১ মার্চ থেকে আগামী ২৫ এপ্রিলের মধ্যে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থীদের আর্থিক ও শিক্ষক-কর্মচারী অনুদানের আবেদন ফরম বাটনে ক্লিক করে থেকে অনলাইনে আবেদন দাখিল করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পর আর কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
*সরকারি-বেসরকারি কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী/শিক্ষার্থীদের অনুদানের আবেদনের ক্ষেত্রে নীতিমালায় (নীতিমালাটি www.
*শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বরাদ্দ করা অর্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব নম্বরে প্রদান করা হবে এবং শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের অনুকূলে বরাদ্দ করা অর্থ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রদান করা হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষক-কর্মচারীকে নিজ নিজ মুঠোফোন নম্বর এবং শিক্ষার্থীকে পিতামাতা/অভিভাবকের মুঠোফোন নম্বর (আবেদনের আগেই মুঠোফোন নম্বরটি নগদ সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে) দিতে হবে; আবেদনকারী শিক্ষক-কর্মচারীকে তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং শিক্ষার্থীদের তাঁদের অনলাইন জন্মসনদ এবং পিতামাতা/অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র অবশ্যই সংযুক্ত করতে হবে।
*২০২৩-২৪ অর্থবছরে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা অনুদান পেয়েছেন, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা এ বছর (চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে) আর্থিক অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
*কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদানের আবেদন ফরম’ বাটনে ক্লিক করে অনলাইনে অনুদান পাওয়ার আবেদন করতে হবে।
আরও পড়ুনজাপান–বিশ্বব্যাংক গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ, ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা৩১ মার্চ ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন দ ন প অন দ ন র র অন দ ন ব সরক র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
নারীদের সেরা সঞ্চয়; পরিবার সঞ্চয়পত্রে মুনাফা কত, কীভাবে কিনবেন
দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সঞ্চয়পত্র হলো পরিবার সঞ্চয়পত্র। নারীরা এই সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। এই সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার তুলনামূলক বেশি এবং প্রতি মাসে মুনাফা তোলা যায়।
পরিবার সঞ্চয়পত্র নামে এই সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করলে মেয়াদ শেষে অর্থাৎ পাঁচ বছর পর ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।
বর্তমানে যে চারটি সঞ্চয়পত্র আছে, এর মধ্যে পেনশনার সঞ্চয়পত্রের পরেই এই সঞ্চয়পত্রে সবচেয়ে বেশি মুনাফার হার। ২০০৯ সালে এই সঞ্চয়পত্র চালু করে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর। দেড় দশক ধরে এই সঞ্চয়পত্র দেশের অন্যতম জনপ্রিয় সঞ্চয়পত্র হিসেবে পরিচিত।
মূল্যমান কত১০ হাজার টাকা, ২০ হাজার টাকা, ৫০ হাজার টাকা, ১ লাখ টাকা, ২ লাখ টাকা এবং ১০ লাখ টাকা।
কোথায় পাওয়া যায়জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখাসমূহ, বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ এবং ডাকঘর থেকে কেনার পাশাপাশি নগদায়ন করা যায়।
মেয়াদ
পাঁচ বছর
মুনাফার হার১ জুলাই থেকে সরকার সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমিয়েছে। যেমন পরিবার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে পঞ্চম বছর শেষে ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ।
মেয়াদ পূর্তির আগে নগদায়ন করলে কম হারে মুনাফা প্রাপ্য হবে এবং অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধিত হয়ে থাকলে তা মূল টাকা থেকে কর্তন করে সমন্বয়পূর্বক অবশিষ্ট মূল টাকা পরিশোধ করা হবে।
উৎসে করপাঁচ বছর মেয়াদি পরিবার সঞ্চয়পত্রে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সর্বমোট বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার ওপর ৫ শতাংশ হারে এবং এর অধিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন করা হয়।
কারা কিনতে পারবেনতিন শ্রেণির বিনিয়োগকারী পরিবার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবে। এক. ১৮ ও তদূর্ধ্ব বয়সের যেকোনো বাংলাদেশি নারী; দুই. যেকোনো বাংলাদেশি শারীরিক প্রতিবন্ধী (পুরুষ ও মহিলা); তিন. ৬৫ ও তদূর্ধ্ব বয়সের যেকোনো বাংলাদেশি (পুরুষ ও মহিলা) নাগরিক।
ক্রয়ের ঊর্ধ্বসীমাএকক নামে সর্বোচ্চ ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) লাখ টাকা।
অন্য সুবিধাপরিবার সঞ্চয়পত্র কেনায় কিছু সুবিধা আছে। যেমন মাসিক ভিত্তিতে মুনাফা পাওয়া যায়; নমিনি নিয়োগ বা পরিবর্তন ও বাতিল করা যায়; সঞ্চয়পত্রের ক্রেতার মৃত্যুর পর নমিনি সঙ্গে সঙ্গে সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করে টাকা উত্তোলন করতে পারেন অথবা মেয়াদ পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত যথারীতি মাসে মাসে মুনাফা উত্তোলন করতে পারেন।