ইবিতে ছুটি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত সেই মোজাম্মেল
Published: 28th, April 2025 GMT
হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তিকারী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাব-রেজিস্ট্রার মোজাম্মেল হক পলাতক রয়েছেন। তিনি কোনো ধরনের ছুটি না নিয়ে কর্সস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।
এর আগে, হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির বিষয়টি সামনে এলে ওই কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ঝিনাইদহ জেলা ইমাম পরিষদ।
শিক্ষার্থীরা বলেন, মোজাম্মেল হক দীর্ঘদিন থেকে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.
আরো পড়ুন:
রাসূল (সা.)-কে নিয়ে কটুক্তিকারী ইবি কর্মকর্তার বহিষ্কার দাবি
নারী কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাহার দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের
শিক্ষার্থীরা মনে করেন, সারা দেশের মানুষকে আলোর পথ দেখাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি জায়গায় এবং আল হাদিস বিভাগের কর্মকর্তার রাসূলের শানে এ ধরনের বেয়াদবি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই প্রশাসনের কাছে এই কর্মকর্তার বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।
ঝিনাইদহ ইমাম পরিষদের স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, মোজাম্মেল হক নামের এক ব্যক্তি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে নারীলোভী ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার পাশাপাশি ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চরম কটূক্তি ও অশালীন মন্তব্য করেছে যা দেশের কোটি কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত হেনেছে। এমন ঘৃণ্য ও উসকানিমূলক বক্তব্য শুধু ধর্মীয় সহনশীলতা নষ্ট করে না, বরং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করে সমাজে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করতে পারে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, “এ ঘটনায় আগেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটি এখন জাতীয় ইস্যু হয়ে গেছে। তবে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক বিভাগে আসছে না। এ বিষয়ে আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে মিটিং আছে। সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হকের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
মহানবী (সা.)-কে কটুক্তিকারী মোজাম্মেল হক ঝিনাইদের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ভুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মহানবী (সা.)-কে নারীলোভী বলে কটুক্তি করার অভিযোগে গ্রামবাসী তাকে গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখেন এবং পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে মৌখিক মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম জ ম ম ল হক কর মকর ত র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়েটে ৫ মাস ১০ দিন পর ক্লাস শুরু
৫ মাস ১০ দিন পর মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ক্লাস শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন পর ক্লাস শুরু হওয়ায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
মঙ্গলবার সকালে কুয়েটের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদ হেলালী বিভিন্ন বিভাগে ক্লাস পরিদর্শন করেছেন।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে উপাচার্য ক্লাস শুরুর নির্দেশ দেন। এদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি তাদের আন্দোলন কর্মসূচি তিন সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে।
দুই দিন ধরে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, সাধারণ শিক্ষার্থী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কয়েক দফায় বৈঠক করেন।
কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফারুক হোসেন বলেছেন, উপাচার্যের আশ্বাসে আন্দোলন কর্মসূচি তিন সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ভিসি-প্রোভিসি এবং ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তারা ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলনের মুখে কুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে অপসারণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ১ মে চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলীকে অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর শিক্ষক লাঞ্ছনার বিচারের দাবিতে ক্লাস বর্জন করে শিক্ষক সমিতি। অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ মে খুলনা ত্যাগ করেন অধ্যাপক ড. হযরত আলী। ২২ মে তিনি উপাচার্যের পদ ত্যাগ করেন। এর দুই মাস দুই দিনের মাথায় ভিসি নিয়োগ হলেও কুয়েটে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ছিল ৫ মাস ১০ দিন।
গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদ হেলালীকে কুয়েটের উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় কুয়েটে যোগ দেন ড. মো. মাকসুদ হেলালী।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/রফিক