আদমদীঘিতে সড়ক দুর্ঘটনায় আরিফুল ইসলাম বকুল (২০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় নওগাঁ-বগুড়া মহাসড়কের আদমদীঘির অদূরে আশা ফিলিং স্টেশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত আরিফুল ইসলাম আদমদীঘি উপজেলার কেশরতা গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে। তিনি নওগাঁর একটি দোকানে এসি ও ফ্রিজ মেরামতের কাজ করতেন।

আদমদীঘি থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আরিফুল ইসলাম বকুল নওগাঁ একটি দোকানে এসি ও ফ্রিজ মেরামতের মেকানিকের কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো গত সোমবার রাতে নওগাঁ দোকানে কাজ শেষে মোটরসাইকেলে তার বাড়ি কেশরতা গ্রামে ফেরার পথে আদমদীঘির আশা ফিলিং স্টেশনের সামনে অজ্ঞান একটি যান তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।

এসময় স্থানীয় জনতা তাকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে আদমদীঘি হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় আদমদীঘি থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে বলে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মোস্তাফিজুর রহমান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হত আর ফ ল ইসল ম আদমদ ঘ

এছাড়াও পড়ুন:

চিকিৎসার অভাবে শ্রমিক মৃত্যুর অভিযোগ, বন্দরে মহাসড়ক অবরোধ

অসুস্থ শ্রমিককে ছুটি না দেওয়া, চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবরোধ করেন শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাসড়কের মদনপুর অংশে তারা এ অবরোধ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিচারের আশ্বাসে এগারোটায় মহাসড়ক থেকে সরে যায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। 

শ্রমিকরা জানান, 'লারিস ফ্যাশন' নামে একটি রপ্তানিমুখি গার্মেন্টসের নারী শ্রমিক রিনা (৩০) অসুস্থ অবস্থায় ডিউটি করে যাচ্ছিলেন। গতকাল তিনি অসুস্থতা বোধ করলে কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেন। তবে কর্তৃপক্ষ তার আবেদনে কোনো সাড়া না দিয়ে কাজ করে যেতে বাধ্য করেন। পরে অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে সহকর্মীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শ্রমিক রিনা কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার দুলালের মেয়ে। অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ এ মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। 

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত আলী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সড়িয়ে দেন। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ও পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ