ঢাকা থেকে ফিরেই ভোলায় ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ, মশালমিছিল
Published: 30th, April 2025 GMT
ভোলায় ঘরে ঘরে গ্যাস–সংযোগসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনকারীরা ঢাকা থেকে ফিরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশালমিছিল করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে লঞ্চ থেকে নেমে তাঁরা বিক্ষোভ করেন। পরে রাতে মশালমিছিল বের করা হয়। পরে আন্দোলনকারীরা শহরের বাংলাস্কুলের ভাসানীমঞ্চে অবস্থান নেন। সেখানে তাঁরা গতকাল মধ্যরাত পর্যন্ত ছিলেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, বিগত সময়ে ভোলায় আসা কোম্পানির উদ্যোক্তাদের হয়রানি করা হয়েছে। এখন তাঁদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে। দেশের শিল্পপতিদের ভোলায় শিল্প ও কলকারখানা নির্মাণের আহ্বান জানান তাঁরা।
বদ্বীপ ছাত্রকল্যাণ সংসদের আহ্বায়ক রাহিম ইসলাম বলেন, ‘২৮ এপ্রিলের বৈঠকে জ্বালানি উপদেষ্টা আবাসিক গ্যাস-সংযোগ দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। স্বাস্থ্য উপদেষ্টাও মেডিকেল কলেজ নির্মাণের বিষয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। কিন্তু আমরা ভোলাবাসী দমার পাত্র নই। পাঁছ দফা দাবি আদায়ে আমরা আরও জোরালোভাবে আন্দোলনে নেমেছি। আজ বুধবার আমরা ভোলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণসংযোগ করব।’
ভোলার ঘরে ঘরে গ্যাসসংযোগ, ভোলার গ্যাস দিয়ে কলকারকারখানা নির্মাণ, ইন্ট্রাকো কোম্পানির সঙ্গে অবৈধ গ্যাস চুক্তি বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে গত তিন বছর বিভিন্ন ব্যানারে আন্দোলন হচ্ছে। এই দাবিতে ১৫ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে গত রোববার রাজধানী ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও মানববন্ধন করা হয়। পরদিন সোমবার ভোলার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে জ্বালানি উপদেষ্টার বৈঠক হয়। বৈঠকে আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ঢাকায় বিক্ষোভ করেন। গতকাল বিকেলে লঞ্চে করে ভোলায় ফিরে আবার আন্দোলনের ডাক দেন তাঁরা।
আরও পড়ুনভোলার গ্যাস নিজেরা ব্যবহার করতে চান ভোলাবাসী, পাঁচ দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ২০ এপ্রিল ২০২৫ভোলা শহরের বাংলাস্কুলের ভাসানীমঞ্চে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনার সঙ্গে আসামি ৮ প্রাক্তন ভিসিসহ ২০১ জন
ঢাকার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার এক ছাত্রকে ‘হত্যাচেষ্টা’র অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানাসহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য, শিক্ষক, সাংবাদিক, অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরও আসামি করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর হাকিম মনিরুল ইসলাম বুধবার অভিযোগটি আমলে নিয়ে শাহবাগ থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। গত ২০ মার্চ সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদের পক্ষে ছাত্রদলের সাবেক নেতা এম এ হাশেম রাজু আদালতে এ মামলার আবেদন করেন।
মামলায় অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন– শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সালমান এফ রহমান, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ প্রমুখ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্যসহ কয়েকজন শিক্ষক আছেন আসামির তালিকায়। তারা হলেন– ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ, ঢাবি শিক্ষক অধ্যাপক মেসবাহ কামাল ও অধ্যাপক আবু জাফর মো. শফিউল আলম ভূঁইয়া, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য মুহম্মদ জাফর ইকবাল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আনোয়ার হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য মীজানুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আবদুল মান্নান, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য এম অহিদুজ্জামান, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ড. অনুপম সেন, সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান, নঈম নিজাম, শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবু, আলমগীর হোসেন, আবেদ খান প্রমুখ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে– ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট সকালে মামলার বাদী এম এ হাশেম রাজুর নেতৃত্বে একটি মিছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পরীবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনের মোড়ে এসে পৌঁছায়। তখন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী পথরোধ করে ছাত্র-জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ, হাতবোমা, পেট্রোল বোমা ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ গুলিতে আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদের ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এদিকে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আব্দুন নূর নামে এক সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাসহ ১৬২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নিহতের বাবা হাফেজ আবুল বাশার গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম এম মিজবাউর রহমানের আদালতে এ মামলা করেন।
মামলায় অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন– সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ, সালমান এফ রহমান প্রমুখ।
মামলার বাদী আবুল বাশার বলেন, আব্দুন নূর ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকায় অভিযান নিউজ নামে পত্রিকার রিপোর্টার ছিল। আন্দোলনের সময় ১ আগস্ট সে ঢাকায় আসে এবং যাত্রাবাড়ীতে ৫ আগস্ট গুলিতে মারা যায়।