লক্ষ্মীপুরের খাল ও নদী দখল-দূষণে বিপন্নপ্রায়। এ কারণে আসছে বর্ষায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ১০ দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনার কর্মসূচি নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে জেলা শহরের মাদাম ব্রিজ এলাকায় রহমতখালী খাল পরিচ্ছনতা কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। 

পৌর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও পৌর প্রশাসক মো.

জসীম উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামশেদ আলম রানা, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ ফারাবী প্রমুখ।

আরো পড়ুন:

পদ্মায় টর্নেডো, ভিডিও ভাইরাল

বন্ধুদের সঙ্গে পদ্মায় নেমে স্কুলছাত্র নিখোঁজ

পৌর প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতা থেকে সকলকে রক্ষায় এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সবার সহযোগিতায় সফল অভিযান সম্পন্ন হলে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি মশার উপদ্রব থেকেও পৌরবাসী রক্ষা পাবে। 

এ সময় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, খাল-নদী দখল ও দূষণরোধে একযোগে ১০ দিনব্যাপী পুরো জেলায় অভিযান চলবে। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী কর্ম পরিকল্পনায় কাজ করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে অভিযান পরিচালনার। স্থানীয় এলাকাবাসী, তরুণ প্রজম্মসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ অভিযানে সহায়তা করার আহ্বান জানান তিনি। 

অভিযানের ফলে আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতা থেকে সকলকে রক্ষা ও কৃষকের ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জেলা প্রশাসক।  

লক্ষ্মীপুরে মেঘনা, ডাকাতিয়া ও ভুলুয়া নদী এবং রহমতখালী, বীরেন্দ্রখালসহ অনেক খাল ও নদী রয়েছে। জেলায় ১১৮ বর্গকিলোমিটার নদীপথ রয়েছে। নদীপথ জেলার মোট আয়তনের ২৩ শতাংশ। এর মধ্যে ডাকাতিয়া নদীর ৫৭টি পয়েন্ট, রহমতখালী খালের অর্ধশতাধিক ও ভুলুয়া নদীর ৩৭টি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব স্থানে পর্যায়ক্রমে অভিযান চলবে।

ঢাকা/লিটন/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নদ লক ষ ম প র

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ