দখল-দূষণে বিপন্ন লক্ষ্মীপুরের খাল ও নদী উদ্ধারে অভিযান
Published: 30th, April 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরের খাল ও নদী দখল-দূষণে বিপন্নপ্রায়। এ কারণে আসছে বর্ষায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ১০ দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনার কর্মসূচি নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে জেলা শহরের মাদাম ব্রিজ এলাকায় রহমতখালী খাল পরিচ্ছনতা কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।
পৌর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও পৌর প্রশাসক মো.
আরো পড়ুন:
পদ্মায় টর্নেডো, ভিডিও ভাইরাল
বন্ধুদের সঙ্গে পদ্মায় নেমে স্কুলছাত্র নিখোঁজ
পৌর প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতা থেকে সকলকে রক্ষায় এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সবার সহযোগিতায় সফল অভিযান সম্পন্ন হলে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি মশার উপদ্রব থেকেও পৌরবাসী রক্ষা পাবে।
এ সময় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, খাল-নদী দখল ও দূষণরোধে একযোগে ১০ দিনব্যাপী পুরো জেলায় অভিযান চলবে। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী কর্ম পরিকল্পনায় কাজ করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে অভিযান পরিচালনার। স্থানীয় এলাকাবাসী, তরুণ প্রজম্মসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ অভিযানে সহায়তা করার আহ্বান জানান তিনি।
অভিযানের ফলে আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতা থেকে সকলকে রক্ষা ও কৃষকের ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জেলা প্রশাসক।
লক্ষ্মীপুরে মেঘনা, ডাকাতিয়া ও ভুলুয়া নদী এবং রহমতখালী, বীরেন্দ্রখালসহ অনেক খাল ও নদী রয়েছে। জেলায় ১১৮ বর্গকিলোমিটার নদীপথ রয়েছে। নদীপথ জেলার মোট আয়তনের ২৩ শতাংশ। এর মধ্যে ডাকাতিয়া নদীর ৫৭টি পয়েন্ট, রহমতখালী খালের অর্ধশতাধিক ও ভুলুয়া নদীর ৩৭টি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব স্থানে পর্যায়ক্রমে অভিযান চলবে।
ঢাকা/লিটন/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নদ লক ষ ম প র
এছাড়াও পড়ুন:
মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার
প্রায় ২০০ বছর ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দির ও কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে পৃথক আয়োজনে রাস উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে এ উৎসব। রাস উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ায় বসছে ৫ দিনব্যাপী মেলা।
কলাপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে মন্দিরের আঙ্গিনাসহ রাধা ও কৃষ্ণের ১৭ জোড়া প্রতিমা।
মঙ্গলবার পূর্ণিমা তিথিতে রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এ তিথি শেষ হবে। সেদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে গঙ্গা স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। এর পর মন্দিরের আঙ্গিনায় রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন তারা। তাই, দুই মন্দিরেই ১৭ জোড়া প্রতিমা বানানো হয়েছে। প্যান্ডেল সাজানোর কাজ শেষ। চলছে লাইটিং ও সাজসজ্জার কাজ।
এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক পোশাক, প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান। কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব হলেও কলাপাড়ায় এ উৎসব চলবে পাঁচ দিন। এসব দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির আশা করছেন আয়োজকরা।
কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেছেন, আজকের মধ্যেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের এ উৎসব হলেও এখানে ৫ দিনব্যাপী মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। আমাদের মন্দির প্রাঙ্গণে অন্তত ৭০টি দোকান বসেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হবে।
কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেছেন, আগামীকাল রাতভর মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে। পরদিন সকালে গঙ্গা স্নান হবে। লাখো পুণ্যার্থীর আগমনের আশা করছি আমরা। বুধবারও গঙ্গা স্নান হবে। উৎসব উপলক্ষে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ বলেছেন, রাস উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় ১ লাখ পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
ঢাকা/ইমরান/রফিক