বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী রোববার বা সোমবার লন্ডন থেকে দেশে ফিরতে পারেন। তাকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে আনার চেষ্টা হচ্ছে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া গেলে তিনি রোববার দেশে ফিরবেন। তবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাওয়ার বিষয়টি এখনো অনিশ্চিত। সে ক্ষেত্রে তিনি পরদিন সোমবার বাংলাদেশ বিমানে দেশে ফিরতে পারেন।

খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পেলে ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) ৪ মে (রোববার) দেশে ফিরতে পারেন। তবে এখনো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। শেষ পর্যন্ত না পেলে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে করে তিনি দেশে ফিরবেন।’

এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া না গেলে বাংলাদেশ সময় ৫ মে বেলা ১১টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে বিএনপির চেয়ারপারসন দেশে ফিরতে পারেন বলে জানান আব্দুস সাত্তার। খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার দুই পুত্রবধূও দেশে ফিরতে পারেন।

প্রায় চার মাস আগে গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া লন্ডনে যান। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার কথা জেনে রাজকীয় বহরের বিশেষ বিমান দিয়েছেন। ওই বিশেষ বিমানে (বিশেষ ধরনের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) করে তিনি লন্ডন যান।
সেখানে দ্য লন্ডন ক্লিনিকে ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া। পরে গত ২৫ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লন্ডনের বাসায় যান তিনি। এরপর থেকে সেখানেই তিনি ছিলেন। ছেলের বাসাতেই তার চিকিৎসা চলে।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থরাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চিকিৎসার অভাবে শ্রমিক মৃত্যুর অভিযোগ, বন্দরে মহাসড়ক অবরোধ

অসুস্থ শ্রমিককে ছুটি না দেওয়া, চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবরোধ করেন শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাসড়কের মদনপুর অংশে তারা এ অবরোধ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিচারের আশ্বাসে এগারোটায় মহাসড়ক থেকে সরে যায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। 

শ্রমিকরা জানান, 'লারিস ফ্যাশন' নামে একটি রপ্তানিমুখি গার্মেন্টসের নারী শ্রমিক রিনা (৩০) অসুস্থ অবস্থায় ডিউটি করে যাচ্ছিলেন। গতকাল তিনি অসুস্থতা বোধ করলে কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেন। তবে কর্তৃপক্ষ তার আবেদনে কোনো সাড়া না দিয়ে কাজ করে যেতে বাধ্য করেন। পরে অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে সহকর্মীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শ্রমিক রিনা কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার দুলালের মেয়ে। অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ এ মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। 

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত আলী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সড়িয়ে দেন। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ও পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ