যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারি বিপুলসংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের নির্দেশ দেন। তাঁর সে পরিকল্পনা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন দেশটির একজন বিচারক।

ক্যালিফোর্নিয়ার ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক সুজান ইলস্টন গত শুক্রবার এ আদেশে দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এ পদক্ষেপগুলো সম্ভবত কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন।

ইলস্টন তাঁর আদেশে লিখেছেন, আদালত মনে করে, প্রেসিডেন্ট যে আদেশ দিয়েছেন, তা কার্যকরে সম্ভবত কংগ্রেসের সহযোগিতা চাইতে হবে। এ মুহূর্তে সরকারি কর্মী ছাঁটাইয়ের বড় পরিসরের পদক্ষেপ স্থগিত করতে সাময়িক স্থগিতাদেশ দিচ্ছেন তিনি।

জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে ট্রাম্প ফেডারেল সংস্থাগুলোকে সরকারি কর্মীসংখ্যা কমানোর জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা তৈরি করতে নির্দেশ দেন। ইলন মাস্ক পরিচালিত ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিশিয়েন্সির (ডিওজিই) বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে করা হচ্ছে।

গত সপ্তাহে একটি শ্রমিক ইউনিয়ন, অলাভজনক সংস্থা এবং ছয়টি শহর ও কাউন্টি সরকার ট্রাম্প, ডিওজিইসহ অন্যান্য ফেডারেল সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই বিপুলসংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের পদক্ষেপ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

আমেরিকান ফেডারেশন অব গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ বিচারকের আদেশকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, ‘ট্রাম্প প্রশাসনের বেআইনি চেষ্টা ফেডারেল সরকারকে পুনর্গঠন করার জন্য এজেন্সিগুলোর মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, যা আমাদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ সেবা বিঘ্নিত করেছে।’

ট্রাম্প এ বছর হাজার হাজার সরকারি কর্মীকে চাকরিচ্যুত করতে এবং বিভিন্ন কর্মসূচি বাদ দেন। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডি, সরকারি বহুবর্ণবাদী উদ্যোগ এবং অন্যান্য বিভিন্ন অফিস রয়েছে। তবে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে, বিচারকেরা তাঁর প্রশাসনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নীতির কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত বা স্থগিত করেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

শাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর সেমিনার

শাকসুর নির্বাচন কমিশন ঘোষণা

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভর্তি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সাজেদুল করিম বলেন, “গুচ্ছ প্রক্রিয়া না থেকে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমাদের শিক্ষকরা আজ উপাচার্যের কাছে একটা স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। শিক্ষকরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকতে চায় না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এককভাবে ভর্তি পরীক্ষার নেওয়ার জন্য সামনের দিকে কাজ এগোচ্ছি। অতিদ্রুত ভর্তি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি নির্ধারণ করে প্রকাশ করা হবে।”

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শাবিপ্রবি গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে। এবারো একইভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে, গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে চিঠি পেলেও শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়।

ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ