এবার ডিএমসি মোড়ে ঢাবি শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতের চেষ্টা
Published: 16th, May 2025 GMT
চায়ের দোকানে বাকবিতণ্ডা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলের এক ছাত্রকে ছুরিকাঘাতের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ডিএমসি) মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। তবে তিনি সরে যাওয়ায় তার গায়ে লাগেনি। পরে অভিযুক্ত যুবক পালিয়ে যান।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের মো.
শুক্রবার ঘটনার বিষয়ে তানজীন সমকালকে বলেন, ডিএমসি মোড়ে মো. আলমের চায়ের দোকানে তিনিসহ বন্ধুরা মিলে চা খেতে যান। সেখানে রুবেল মোল্লাকে চা ভালো হয়নি বলে আলমের সঙ্গে দীর্ঘসময় ঝগড়া করতে দেখে তিনি বাঁধা দেন। কথার এক পর্যায়ে রুবেল তাকে বলেন, আমি খুনের আসামি। আমি কিন্তু খুন করবো তোদেরকে। এ কথা বলে সে চলে যায়।
তানজীম আরও বলেন, একটু পরে রুবেল হঠাৎ করে একটি চাকু নিয়ে এসে আমাকে ছুরি মারার চেষ্টা করে। তবে এ সময় অন্যদের চিৎকারের শব্দে আমি সরে যাই। এরপর সে সবাইকে ছুরি দিয়ে আঘাতের চেষ্টা করে। পরে ডিএমসি মোড়ের নির্মাণাধীন গেটের উপরে উঠে মসজিদের ছাদ দিয়ে পালিয়ে যায়। আমরা তাকে আর খুঁজে পাইনি। পরে ভ্রাম্যমাণ সাইকেল গ্যারেজটি শিক্ষার্থীরা ভেঙ্গে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
চায়ের দোকানদার আলম বলেন, ‘সে চা চেয়েছিল। চা দেওয়ার পরে সে ফেলে দিয়ে বলে, আবার বানা। আবার বানিয়ে দেওয়ার পরে সে বলে, চা খাব না। চা আগের থেকেও খারাপ বানাইছস। এরপর সে চায়ের বিল দেওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু করে। এ সময় চায়ের কাপ ভাঙতে গেলে ভাইরা বাঁধা দেয়। এরপরেই সে হুট করে ছুরি নিয়ে মারতে আসে।’
ঘটনার পরে শিক্ষার্থীরা প্রক্টরিয়াল টিমকে ফোন করলে তারাও আসেন। এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে মামলার ঝামেলা এবং নিরাপত্তার শঙ্কায় শুক্রবার সকালে অভিযোগটি তুলে নিয়েছেন বলে জানান তানজীন।
তিনি বলেন, মামলা করলে উকিল নিয়ে আমাকে ছুটতে হবে। এর আগেও আরেকটি ঘটনায় নিজেকেই দৌঁড়াতে হয়েছে। আর ওই ছেলে একটা ভবঘুরে, সে মাদকাসক্ত ছিল। এখন হয়ত আমার চেহারা মনে নাই, তবে পরে আমাকে চিনলে হয়ত আবার আক্রমণ করতে পারে।
তানজীন বলেন, আমি প্রশাসনকে বলবো, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। ডিএমসি মোড়ে তিন হলের ছেলেরা আড্ডা দেয়। এখানে একটা নিরাপত্তা বক্স স্থাপন করা জরুরি। পুরো ক্যাম্পাসে ভবঘুরে, মাদকাসক্তরা ঘুরে বেড়ায়। এটি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।
জানতে চাইলে প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, জানার পরপরই প্রক্টরিয়াল টিমকে পাঠিয়েছি। কালকে থেকেই ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে। আমাদের শিক্ষার্থীদেরও আহ্বান জানাবো সতর্ক থাকার জন্য। বিশেষত রাতে বের হওয়ার সময়।
গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে ক্যাম্পাসসংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সাম্যকে হত্যা করা হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড এমস
এছাড়াও পড়ুন:
জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলেন অভিনেত্রীর স্বামী
ভারতীয় বাংলা টিভি সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুস্মিতা রায়ের সংসার ভেঙে গেছে। মঙ্গলবার (১ জুলাই) এ অভিনেত্রীর জন্মদিন। বিশেষ দিনে সুস্মিতাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন তার স্বামী সব্যসাচী চক্রবর্তী।
ফেসবুক পোস্টে সুস্মিতাকে প্রথমে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান সব্যসাচী। এরপর তিনি লেখেন, “ভালো থাক। বড় হ আরো। জন্মদিনে আমার শেষতম শুভেচ্ছায় অনেক ভালো থাকিস। নতুন অধ্যায় ভালো হোক। আমরা আলাদা হচ্ছি। কিছু জিনিস দুই তরফে মিলল না, মন খারাপ দুই তরফেই। সেটা কাটিয়েই এগিয়ে যাওয়া হোক!”
সবাইকে সমালোচনা বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়ে সব্যসাচী লেখেন, “বাকিদের চর্চা, আলোচনা দয়া করে এখানেই শেষ হোক। আপনাদের কাছ থেকে দুই তরফেই গলাগলি আশা করছি, গালাগালি নয়। এরপর আপনাদের যা ইচ্ছে। এই পোস্ট দু তরফের সম্মতিক্রমে, আলোচনা করে। আপনারা এবার প্লিজ আলোচনা থামিয়ে দিন। আমাদের দু জনেরই আলাদা করে অনেক কিছু করার বাকি আছে। প্লিজ।”
আরো পড়ুন:
দাম্পত্য জীবনের এক বছর, স্বামীকে অর্ষার খোলা চিঠি
‘নাটকটি দেখে চোখের পানি ধরে রাখা সম্ভব না’
পরে এ বিষয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে সুস্মিতা রায় বলেন, “এটা নিয়ে আসলে একদম আলোচনা করতে চাই না। সব্যসাচী এবং আমি দুজনে মিলে যে পোস্ট করেছি ওইটুকুই সকলকে বলতে চাই। আমি কারো দিকে আঙুল তোলা বা কোনো কাদা ছোড়াছুড়ি হোক চাই না। আমার কারো প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। কাউকে দোষারোপও করব না। এটা সম্মিলিত একটা সিদ্ধান্ত। দুজন দুজনের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই।”
‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিক নাটকে শ্যামার বৌদির চরিত্রে অভিনয় করে দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নেন সুস্মিতা। এরপর ‘জগদ্ধাত্রী’ ধারাবাহিকে তার অভিনয় সকলের নজর কাড়ে।
ঢাকা/শান্ত