যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য শুধু সূর্য, সৈকত আর ডিজনিল্যান্ডের জন্য বিখ্যাত নয়। সেখানে কুমিরসহ নানা প্রাণীর আনাগোনাও দেখা যায়। নানা সময় জনপদে গিয়ে ধরা পড়ে অজগর, কুমিরসহ নানা প্রাণী। তাই বলে কুমির চলে যাবে একেবারে ঘরের দরজায়। এমনই ঘটেছে এই রাজ্যে। সম্প্রতি ফ্লোরিডার লি কাউন্টির টরটুগা এলাকায় একটি কুমির একটি বাড়ির দরজায় পৌঁছে সবাইকে হতবাক করে দিয়েছে।
লি কাউন্টি শেরিফ অফিসের ডেপুটিরা খবর পান যে একটি কুমির বাড়ির বারান্দায় বারান্দায় ঘুরছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, কুমিরটি একটি ফোল্ডিং চেয়ারের নিচে মাথা ঢুকিয়ে দিয়েছে। এরপর সেই চেয়ার টেনে নিয়ে একের পর এক দরজায় আঘাত করে যাচ্ছে।
পরে ফ্লোরিডা ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ কমিশনের এক অভিজ্ঞ ট্র্যাপার ও ডেপুটিরা মিলে কুমিরটিকে ধরে নিরাপদে স্থানান্তর করেন। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। প্রায় একই ধরনের আরেকটি ঘটনা ঘটেছে ফ্লোরিডার জ্যাকসনভিলের রাজপথেও।
ইউএস টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, জ্যাকসনভিলের রাজপথে একটা বিশাল কুমির মাঝরাস্তা ধরে হাঁটছিল। তখন শ্রমজীবী এক লোক জঙ্গলের রঙের ছদ্মবেশী (কেমোফ্লাজ) একটি প্যান্ট পরে কুমিরটির গলায় দড়ি দিয়ে ধরে ফেলেন! এরপর তিনি কুমিরের পিঠে বসে সেটিকে নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই ঘটনা দেখার পর জ্যাকসনভিল শেরিফ অফিস হাস্যরস করে লেখে, ‘না, আপনার চোখকে ফাঁকি দেওয়া হয়নি। আপনি সত্যিই এক লোককে কুমিরের সঙ্গে কুস্তি করতে দেখেছেন!’
ফ্লোরিডায় বাড়ির বারান্দায় কুমির নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু কুমির যদি ফোল্ডিং চেয়ারে গলা ঢুকিয়ে দরজায় কড়া নাড়ে কিংবা রাজপথে কুস্তির শিকার হয়, তখন তা রীতিমতো হইচই ফেলে দেয়। তাই তো বাস্তব কখনো কখনো কল্পনার চেয়ে বেশি নাটকীয় হয়!
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দরজ য়
এছাড়াও পড়ুন:
এবার অর্পিতাদের সাফ মিশন, অভিজ্ঞরাই ভরসা
সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে আগামীকাল ভুটান যাবে বাংলাদেশ দল। তার আগে আজ বিকেলে এই টুর্নামেন্টের জন্য ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
গত বছর অনূর্ধ্ব-১৬ সাফে খেলা ১৫ জনই আছেন এই দলে। নতুন আটজন হলেন— রিয়া, প্রতিমা রানী, জবা রানী, সুরভী রানী, মামনী চাকমা, ঈশিতা ত্রিপুরা, পূর্ণিমা মারমা, আমেনা খাতুন। দলটির অধিনায়ক অর্পিতা বিশ্বাস।
এ বছর এখনো কোনো ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী ফুটবল দল। ২০২৪ সালে সাফে চার ম্যাচের চারটিতে জেতে তারা। সেই প্রতিযোগিতায় ভারতের সঙ্গে খেলা ফাইনালই মেয়েদের সর্বশেষ ম্যাচ।
জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলার গত ১১ আগস্ট লাওসে অনূর্ধ্ব-২০ দলের খেলা শেষে ছুটিতে গেছেন। আগস্টের বাকি সময় তিনি ছুটিতে থাকবেন। কোচ হিসেবে অনূর্ধ্ব-১৭ দলের সঙ্গে ভুটান যাবেন মাহবুবুর রহমান।
বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপাল—এই চার দেশ নিয়ে ২০ থেকে ৩১ আগস্ট থিম্পুতে হবে এই টুর্নামেন্ট। রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে একদল অন্য দলের সঙ্গে দুটি করে ম্যাচ খেলবে। এরপর সর্বোচ্চ পয়েন্টধারীর হাতে উঠবে ট্রফি।
২৩ সদস্যের বাংলাদেশ স্কোয়াড:ইয়ারজান বেগম, মেঘলা রানী, মমিতা খাতুন, শিউলি রায়, তানিয়া আক্তার, অর্পিতা বিশ্বাস (অধিনায়ক), ফাতেমা আক্তার, উম্মে কুলসুম, আরিফা আক্তার, মোসাম্মত আলমিনা, রেশমি আক্তার, থুইনুয়া মারমা, সুরভী আকন্দ, ক্রানুচিং মারমা, রিয়া, আলফি আক্তার, প্রতিমা রানী, জবা রানী, সুরভী রানী, মামনি চাকমা, ঈশিতা ত্রিপুরা, পূর্ণিমা মারমা ও আমেনা খাতুন।২০ আগস্ট ভুটান ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করবে বাংলাদেশ। একদিন বিরতি দিয়ে ২২ আগস্ট দলটির প্রতিপক্ষ ভারত। ২৪ ও ২৭ আগস্ট পরপর দুই ম্যাচে নেপালকে মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ। ২৯ আগস্ট ভুটান এবং ৩১ আগস্ট আবার ভারতের মুখোমুখি হবে মেয়েরা। সবগুলো ম্যাচ থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে।
এই টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। সাতবার অংশ নিয়ে দুবার ট্রফি জিতেছে তাঁরা। বাংলাদেশের সমান দুবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত।
এ বছর অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ের টুর্নামেন্ট হলেও ২০১৭ সালে প্রথম আসর থেকে চতুর্থ আসর পর্যন্ত হয়েছিল অনূর্ধ্ব-১৫ পর্যায়ে। এরপর ২০২৩ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ ও ২০২৪ সালে অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সাফের এই প্রতিযোগিতা।