Prothomalo:
2025-06-30@21:25:02 GMT

বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ে কুমির

Published: 16th, May 2025 GMT

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য শুধু সূর্য, সৈকত আর ডিজনিল্যান্ডের জন্য বিখ্যাত নয়। সেখানে কুমিরসহ নানা প্রাণীর আনাগোনাও দেখা যায়। নানা সময় জনপদে গিয়ে ধরা পড়ে অজগর, কুমিরসহ নানা প্রাণী। তাই বলে কুমির চলে যাবে একেবারে ঘরের দরজায়। এমনই ঘটেছে এই রাজ্যে। সম্প্রতি ফ্লোরিডার লি কাউন্টির টরটুগা এলাকায় একটি কুমির একটি বাড়ির দরজায় পৌঁছে সবাইকে হতবাক করে দিয়েছে।

লি কাউন্টি শেরিফ অফিসের ডেপুটিরা খবর পান যে একটি কুমির বাড়ির বারান্দায় বারান্দায় ঘুরছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, কুমিরটি একটি ফোল্ডিং চেয়ারের নিচে মাথা ঢুকিয়ে দিয়েছে। এরপর সেই চেয়ার টেনে নিয়ে একের পর এক দরজায় আঘাত করে যাচ্ছে।

পরে ফ্লোরিডা ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ কমিশনের এক অভিজ্ঞ ট্র্যাপার ও ডেপুটিরা মিলে কুমিরটিকে ধরে নিরাপদে স্থানান্তর করেন। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। প্রায় একই ধরনের আরেকটি ঘটনা ঘটেছে ফ্লোরিডার জ্যাকসনভিলের রাজপথেও।

ইউএস টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, জ্যাকসনভিলের রাজপথে একটা বিশাল কুমির মাঝরাস্তা ধরে হাঁটছিল। তখন শ্রমজীবী এক লোক জঙ্গলের রঙের ছদ্মবেশী (কেমোফ্লাজ) একটি প্যান্ট পরে কুমিরটির গলায় দড়ি দিয়ে ধরে ফেলেন! এরপর তিনি কুমিরের পিঠে বসে সেটিকে নিয়ন্ত্রণে আনেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই ঘটনা দেখার পর জ্যাকসনভিল শেরিফ অফিস হাস্যরস করে লেখে, ‘না, আপনার চোখকে ফাঁকি দেওয়া হয়নি। আপনি সত্যিই এক লোককে কুমিরের সঙ্গে কুস্তি করতে দেখেছেন!’

ফ্লোরিডায় বাড়ির বারান্দায় কুমির নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু কুমির যদি ফোল্ডিং চেয়ারে গলা ঢুকিয়ে দরজায় কড়া নাড়ে কিংবা রাজপথে কুস্তির শিকার হয়, তখন তা রীতিমতো হইচই ফেলে দেয়। তাই তো বাস্তব কখনো কখনো কল্পনার চেয়ে বেশি নাটকীয় হয়!

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দরজ য়

এছাড়াও পড়ুন:

হারিয়ে যাওয়া ভাষা রক্ষায় এআই

দ্বাদশ শতাব্দীর শুরু থেকে জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপের বাসিন্দারা আইনু ভাষায় কথা বলতেন। একসময় হাজারো মানুষ এই ভাষায় কথা বললেও এখন আইনুভাষীর সংখ্যা মাত্র কয়েকজন। আর তাই ইউনেসকো ভাষাটিকে বিপন্ন ভাষা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া এই আইনু ভাষা সংরক্ষণের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পুরোনো ধারণ করা অডিও শোনানো হচ্ছে। এরপর এআই কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে আইনু ভাষা চর্চা করছেন বিজ্ঞানীরা।

১৮৭০ সাল নাগাদ জাপানের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ আইনু ভাষায় কথা বলত। পরবর্তী সময় দেশটির বিদ্যালয়ে আইনু ভাষার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর সরকারি বিভিন্ন নীতিমালার কারণে ধীরে ধীরে এই ভাষা ও সংস্কৃতি প্রায় হারিয়ে যায়। সম্প্রতি আইনু ভাষা ও সংস্কৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করার কাজ শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। আর এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি।

আইনু ভাষা ও সংস্কৃতি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গেলেও ভাষাটির বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ করা রয়েছে। আর তাই বর্তমানে এআই স্পিচ রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তথ্যগুলো সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের নেতৃত্ব দেওয়া কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞানের অধ্যাপক তাতসুয়া কাওয়াহারা জানিয়েছেন, শব্দের মান খুব ভালো নয়। অনেক ভিডিও বাড়িতে অ্যানালগ যন্ত্রে ধারণ করায় বাড়তি শব্দ রয়েছে। কাজটি সত্যিই চ্যালেঞ্জিং।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, নতুন এ পদ্ধতিতে এআইয়ের জন্য বিশাল তথ্যভান্ডার তৈরি করা হচ্ছে। এআই নিজে ভাষার নিয়ম বুঝতে চেষ্টা করে প্রতিলিপি করতে পারলেও আইনুর মতো বিপন্ন ভাষার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। আর তাই এআই প্রযুক্তিকে আইনু ভাষার বিভিন্ন বক্তব্যকে পাঠ্যে রূপান্তরের পদ্ধতি শেখানো হচ্ছে। এরপর পাঠ্য থেকে বক্তৃতা তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে এআই।

সূত্র: বিবিসি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালা শুরু হচ্ছে আগামীকাল
  • ঢাকা ছাড়ার আগে স্ত্রীকে যাত্রী সাজিয়ে চালকের আসনে জার্মান দূত
  • কবে শুটিংয়ে ফিরছেন শাবনূর, জানালেন নির্মাতা
  • রঙ্গনা সিনেমার শুটিংয়ে ফিরছেন শাবনূর
  • ব্রাজিলিয়ান আগুন নিভিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন
  • মেসি-সুয়ারেজদের এক হালি গোল দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পিএসজি
  • বাহরাইনকে ‘সেভেনআপ’ বাংলাদেশের
  • নোয়াখালীতে অস্ত্রসহ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
  • ডাইনোসরের আগে পৃথিবীতে কাদের রাজত্ব ছিল, কী খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা
  • হারিয়ে যাওয়া ভাষা রক্ষায় এআই