শ্রীলঙ্কায় ওয়ালটন ব্র্যান্ডের যাত্রা শুরু
Published: 19th, May 2025 GMT
শ্রীলঙ্কার বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার লক্ষ্য পূরণে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল ওয়ালটন। দেশটিতে সহস্রাধিক সেলস আউটলেটে ওয়ালটন পণ্য বিক্রি হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
শনিবার (১০ মে) সন্ধ্যায় কলম্বোর সিনামন লাইফ হোটেলে ‘গ্র্যান্ড লঞ্চিং অব ওয়ালটন ব্র্যান্ড’ এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কার বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। সোমবার (১৯ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
শ্রীলঙ্কার প্রতিষ্ঠান এবং ওয়ালটনের ব্যবসায়িক অংশীদার ‘মনিক ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম।
আরো পড়ুন:
শ্রীলঙ্কায় সামরিক বাহিনীর পলাতকদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের নির্দেশ
শ্রীলঙ্কায় ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারাল ৬ হাতি
বিশেষ অতিথি ছিলেন মনিক ট্রেডিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড.
অনুষ্ঠানে আরো অংশ নেন শ্রীলঙ্কার চার শতাধিক পরিবেশক ব্যবসায়ী।
ওয়ালটন হাই-টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, “আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইভেন্টে পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে শ্রীলঙ্কায় ওয়ালটন ব্র্যান্ড খুবই পরিচিত নাম। শ্রীলঙ্কায় ওয়ালটন ব্র্যান্ড বিজনেসের পথচলায় খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান মনিক ট্রেডিংকে সঙ্গী হিসেবে পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।”
অনুষ্ঠানে পণ্য গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয় তুলে ওয়ালটনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, বিশ্ববাজারে প্রতিযোগী সক্ষমতায় এগিয়ে থাকার লক্ষে অটোমেশন, পণ্য গবেষণা ও উদ্ভাবনে প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করা হচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ওয়ালটন কারখানায় পণ্য ভিত্তিক আলাদা রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আরঅ্যান্ডআই) সেন্টারের পাশাপাশি চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ায় আরঅ্যান্ডআই সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। উন্নত দেশগুলোর ক্রেতা চাহিদা, আবহাওয়া উপযোগী ও মানদণ্ড অনুযায়ী প্রতিনিয়ত ওয়ালটন পণ্যের ডিজাইন, প্রযুক্তি, ফিচার ও গুণগতমানের উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী রেসিডেন্সিয়াল এসি, বিশ্বের প্রথম ভয়েস কন্ট্রোল এসি উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে ওয়ালটন।
তিনি বলেন, “ওয়ালটনের ফ্রিজ, এসি, টিভিসহ অন্যান্য প্রযুক্তিপণ্যে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইন্টেজিলেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তি, আইওটি, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো নিজস্ব উদ্ভাবনী ও সর্বাধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি ও ফিচার সংযোজন করা হয়েছে।”
বৈশ্বিক বাজারে ওয়ালটন ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের সাফল্য তুলে ধরে এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, “বর্তমানে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ইউরোপের ৫০টিরও বেশি দেশে পরিচালিত হচ্ছে ওয়ালটন ব্র্যান্ড বিজনেস। এশিয়ার দেশগুলোতে ওয়ালটন ব্র্যান্ড পণ্যের চাহিদা ও ব্যবহার বাড়ছে প্রতিনিয়ত। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মতো শ্রীলঙ্কাতেও ওয়ালটন ব্র্যান্ড দ্রুত ক্রেতাদের মন জয় করে বাজারে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।”
শ্রীলঙ্কায় ওয়ালটনের ব্যবসায়িক অংশীদার ‘মনিক ট্রেডিং’ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ওয়াসালা মাদুওয়ান্থা আরিয়াপালা বলেন,“পণ্যের গুণগতমান, উদ্ভাবনী ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, বিদ্যুৎ সাশ্রয়, টেকসই এবং দামের দিক থেকে প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় ওয়ালটন ব্র্যান্ড এগিয়ে রয়েছে।ওয়ালটন ব্র্যান্ডের এসব পণ্য শিগগিরই শ্রীলঙ্কাজুড়ে সহস্রাধিক সেলস আউটলেটে জায়গা করে নিবে। সেই সঙ্গে দ্রুত শ্রীলঙ্কার ক্রেতাদের মন জয় করে নিবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।”
অনুষ্ঠানে শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন মো. জান্নাতুল হাবিব বলেন, “শ্রীলঙ্কার বাজারে বাংলাদেশি টেক জায়ান্ট ওয়ালটন ব্র্যান্ডের বিজনেস সম্প্রসারণ নিঃসন্দেহে অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ। এর মাধ্যমে দেশের রফতানি আয় যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হবে।”
ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনের সিইও নিশাত তাসনিম শুচি বলেন, “ওয়ালটনকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে কাজ করছি আমরা। শ্রীলঙ্কায় আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়ালটন ব্র্যান্ড উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ওই লক্ষ্য পূরণের পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছি। আশা করছি বাংলাদেশের মতো শ্রীলঙ্কাতেও ওয়ালটন ব্র্যান্ড সিংহভাগ ক্রেতার আস্থা ও মন জয় করে নিয়ে মার্কেট লিডার হয়ে উঠতে সক্ষম হবে।”
উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার বাজারে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের শক্তিশালী অবস্থান তৈরির লক্ষে ইতোমধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে শক্তিশালী বিক্রয়, বিপণন ও বিক্রয়োত্তর সেবার সুবিধা।
ঢাকা/সাহেল/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মন ক ট র ড অন ষ ঠ ন র লক ষ ব জন স পর চ ল
এছাড়াও পড়ুন:
শত্রুতার জেরে সাত গরুকে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ, মারা গেছে ৩টি
গোপালগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তিনটি গরু হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আরো চারটি গরু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ফলে দুই কৃষক পরিবারের অন্তত পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। গত শনিবার (১ নভেম্বর) মধ্যরাতে সদর উপজেলার সিংগারকুল পূর্বপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কীভাবে গরুগুলো মারা গেছে তা খতিয়ে দেখতে নমুনা সংগ্রহ করেছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। পুলিশ বলছে, তারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।
আরো পড়ুন:
নামাজরত বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, ৩ পুলিশ আহত
গাইবান্ধায় ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা: মামলা দায়ের
এলাকাসাসী জানান, সিংগারকুল পূর্বপাড়া গ্রামের দুই ভাই মো. রাসুল গাজী ও হাসিব গাজী কৃষি কাজ করে সংসার চালান। তারা খামার করে কয়েকটি গরু লালন-পালন করছেন। শনিবার মধ্যরাত সাড়ে ১২টার দিকে গরুর গোঙানির শব্দ শুনে পাশের বাড়ির এক আত্মীয় ছুটে গিয়ে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন দুই ভাইকে। তারা স্থানীয় পশু চিকিৎসককে খবর দেন। সকাল হওয়ার আগেই তিনটি গরু মারা যায়। একই গোয়াল ঘরে থাকা একটি বড় ষাঁড়, একটি বাছুর ও অপর গোয়ালে থাকা দুটি ষাঁড় এখনো অসুস্থ।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মো. রাসুল গাজী জানান, শত্রুতা করেই খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তাদের গরুগুলোকে হত্যা করা হয়েছে। রাতেই টের পেয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেও বাঁচানো যায়নি গরুগুলো। দুই ভাইয়ের আরো চারটি গরু অসুস্থ রয়েছে। এতে তাদের অন্তত ৫-৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তিনি জানান, এ ঘটনায় সদর থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
কারা তাদের গরু হত্যা করেছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাসুল গাজী বলেন, “ঘর থেকে বের হয়ে কয়েকজনকে দৌঁড়ে যেতে দেখেছি। তাদের চেহারা দেখতে পারিনি। ফলে কাউকে চিনতে পারিনি।”
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক হাসিব গাজী বলেন, “কারো সঙ্গে আমাদের শত্রুতা থাকতেই পারে। এই অবলা পশুগুলো কার কী ক্ষতি করেছে। কোন অপরাধে এদের হত্যা করা হলো। আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
এলাকাবাসী মো. ইমদাদ শেখ বলেন, “গত শনিবার রাতে বৃষ্টি হয়। এই সুযোগে গরুগুলোকে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা চাই দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।”
গোপালগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোবিন্দ চন্দ্র সর্দার বলেন, “সিংগারকুল পূর্বপাড়া গ্রামে কয়েকটি গরুকে বিষ খাওয়ানো হয় এমন খবর পেয়ে সকালে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যান। তিনি অসুস্থ গরুগুলোকে চিকিৎসা দেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পয়জনজনিত কারণেই গরুগুলো মারা গেছে। মারা যাওয়া গরুর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই গরু তিনটির মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে তদন্ত শুরু করি। মারা যাওয়া গোরুগুলোর নমুনা সংগ্রহ ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/বাদল/মাসুদ