শ্রীলঙ্কার বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার লক্ষ্য পূরণে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল ওয়ালটন। দেশটিতে সহস্রাধিক সেলস আউটলেটে ওয়ালটন পণ্য বিক্রি হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

শনিবার (১০ মে) সন্ধ্যায় কলম্বোর সিনামন লাইফ হোটেলে ‘গ্র্যান্ড লঞ্চিং অব ওয়ালটন ব্র্যান্ড’ এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কার বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। সোমবার (১৯ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

শ্রীলঙ্কার প্রতিষ্ঠান এবং ওয়ালটনের ব্যবসায়িক অংশীদার ‘মনিক ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম।

আরো পড়ুন:

শ্রীলঙ্কায় সামরিক বাহিনীর পলাতকদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের নির্দেশ

শ্রীলঙ্কায় ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারাল ৬ হাতি

বিশেষ অতিথি ছিলেন মনিক ট্রেডিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড.

ওয়াসালা মাদুওয়ান্থায়ে আরিয়াপালা, শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন মো. জান্নাতুল হাবিব, ক্রিকেটার থিসারা পেরেরা এবং ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার নিশাত তাসনিম শুচি।

অনুষ্ঠানে আরো অংশ নেন শ্রীলঙ্কার চার শতাধিক পরিবেশক ব্যবসায়ী।

ওয়ালটন হাই-টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, “আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইভেন্টে পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে শ্রীলঙ্কায় ওয়ালটন ব্র্যান্ড খুবই পরিচিত নাম। শ্রীলঙ্কায় ওয়ালটন ব্র্যান্ড বিজনেসের পথচলায় খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান মনিক ট্রেডিংকে সঙ্গী হিসেবে পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।”

অনুষ্ঠানে পণ্য গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয় তুলে ওয়ালটনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, বিশ্ববাজারে প্রতিযোগী সক্ষমতায় এগিয়ে থাকার লক্ষে অটোমেশন, পণ্য গবেষণা ও উদ্ভাবনে প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করা হচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ওয়ালটন কারখানায় পণ্য ভিত্তিক আলাদা রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আরঅ্যান্ডআই) সেন্টারের পাশাপাশি চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ায় আরঅ্যান্ডআই সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। উন্নত দেশগুলোর ক্রেতা চাহিদা, আবহাওয়া উপযোগী ও মানদণ্ড অনুযায়ী প্রতিনিয়ত ওয়ালটন পণ্যের ডিজাইন, প্রযুক্তি, ফিচার ও গুণগতমানের উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী রেসিডেন্সিয়াল এসি, বিশ্বের প্রথম ভয়েস কন্ট্রোল এসি উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে ওয়ালটন।

তিনি বলেন, “ওয়ালটনের ফ্রিজ, এসি, টিভিসহ অন্যান্য প্রযুক্তিপণ্যে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইন্টেজিলেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তি, আইওটি, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো নিজস্ব উদ্ভাবনী ও সর্বাধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি ও ফিচার সংযোজন করা হয়েছে।”

বৈশ্বিক বাজারে ওয়ালটন ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের সাফল্য তুলে ধরে এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, “বর্তমানে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ইউরোপের ৫০টিরও বেশি দেশে পরিচালিত হচ্ছে ওয়ালটন ব্র্যান্ড বিজনেস। এশিয়ার দেশগুলোতে ওয়ালটন ব্র্যান্ড পণ্যের চাহিদা ও ব্যবহার বাড়ছে প্রতিনিয়ত। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মতো শ্রীলঙ্কাতেও ওয়ালটন ব্র্যান্ড দ্রুত ক্রেতাদের মন জয় করে বাজারে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।”

শ্রীলঙ্কায় ওয়ালটনের ব্যবসায়িক অংশীদার ‘মনিক ট্রেডিং’ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ওয়াসালা মাদুওয়ান্থা আরিয়াপালা বলেন,“পণ্যের গুণগতমান, উদ্ভাবনী ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, বিদ্যুৎ সাশ্রয়, টেকসই এবং দামের দিক থেকে প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় ওয়ালটন ব্র্যান্ড এগিয়ে রয়েছে।ওয়ালটন ব্র্যান্ডের এসব পণ্য শিগগিরই শ্রীলঙ্কাজুড়ে সহস্রাধিক সেলস আউটলেটে জায়গা করে নিবে। সেই সঙ্গে দ্রুত শ্রীলঙ্কার ক্রেতাদের মন জয় করে নিবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।”

অনুষ্ঠানে শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন মো. জান্নাতুল হাবিব বলেন, “শ্রীলঙ্কার বাজারে বাংলাদেশি টেক জায়ান্ট ওয়ালটন ব্র্যান্ডের বিজনেস সম্প্রসারণ নিঃসন্দেহে অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ। এর মাধ্যমে দেশের রফতানি আয় যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হবে।”

ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনের সিইও নিশাত তাসনিম শুচি বলেন, “ওয়ালটনকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে কাজ করছি আমরা। শ্রীলঙ্কায় আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়ালটন ব্র্যান্ড উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ওই লক্ষ্য পূরণের পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছি। আশা করছি বাংলাদেশের মতো শ্রীলঙ্কাতেও ওয়ালটন ব্র্যান্ড সিংহভাগ ক্রেতার আস্থা ও মন জয় করে নিয়ে মার্কেট লিডার হয়ে উঠতে সক্ষম হবে।”

উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার বাজারে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের শক্তিশালী অবস্থান তৈরির লক্ষে ইতোমধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে শক্তিশালী বিক্রয়, বিপণন ও বিক্রয়োত্তর সেবার সুবিধা।

ঢাকা/সাহেল/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মন ক ট র ড অন ষ ঠ ন র লক ষ ব জন স পর চ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সাত বছরে ‘সারা’ লাইফস্টাইল

সাত বছরের পথচলা পূর্ণ করল লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা’। ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি অল্প সময়ের মধ্যে ফ্যাশনপ্রেমীদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। সাশ্রয়ী দামে গুণগত পোশাক বিক্রি করার লক্ষ্য নিয়ে ব্র্যান্ড হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে স্নোটেক্স গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘সারা’ লাইফস্টাইল। আজ দেশজুড়ে ক্রেতাদের কাছে একটি জনপ্রিয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা’।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সারা আয়োজন করেছে পিকচার কনটেস্ট, বাই ওয়ান গেট ওয়ান অফার এবং কুইজ প্রতিযোগিতা। 

পিকচার কনটেস্টে সারা’র ফেসবুক পেজে ব্র্যান্ডটির পোশাক পরে ছবি আপলোড করে যে কেউ অংশ নিতে পারবে এবং জিতে নিতে পারবে আকর্ষণীয় পুরস্কার। এছাড়া ন্যূনতম এক হাজার টাকার কেনাকাটায় নির্দিষ্ট একটি পণ্য দ্বিতীয়বার মাত্র সাত টাকায় কেনার সুযোগ থাকবে বাই ওয়ান গেট ওয়ান অফারে। কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েও গ্রাহকরা জিতে নিতে পারবেন দারুণ সব পুরস্কার। 

এছাড়াও সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে ব্র্যান্ডটি রাজধানীর গুলশানের কদমতলী লেকের পাড়ে ৭০০ গাছ রোপণ করেছে। কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে, এই উদ্যোগ প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

স্নোটেক্স গ্রুপ ও সারা লাইফস্টাইলের পরিচালক শরিফুন রেবা বলেন, ‘সাত বছরের এই পথচলায় আমরা আমাদের গ্রাহক, অংশীদার ও টিমের কাছে ঋণী। সবার ভালোবাসা ও সমর্থন আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। সামনে আরও ভালো কিছু করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

প্রসঙ্গত, স্নোটেক্স গ্রুপের লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা’ কাজ শুরু করেছে ২০১৮ সালের মে মাস থেকে। ঢাকার মিরপুর-৬-এ অবস্থিত ‘সারা’র প্রথম আউটলেট নিয়ে কাজ শুরুর পর বসুন্ধরা সিটির লেভেল-১, ব্লক-এ-এর ৪০ এবং ৫৪ নম্বর শপটি ছিল ‘সারা’র দ্বিতীয় আউটলেট। ধীরে ধীরে আউটলেট সারাদেশে সম্প্রসারণ করা হয়। সারার সর্বশেষ আউটলেট নারায়ণগঞ্জে। এছাড়াও খুব শীঘ্রই খুলনা শহরের শিববাড়ী মোড়ে সারা'র আরও একটি নতুন আউটলেট চালু হতে যাচ্ছে।

আউটলেটে কেনাকাটার পাশাপাশি দেশের যে কোনো জায়গা থেকে অর্ডার করতে ভিজিট করুন সারা’র নিজস্ব ওয়েবসাইট- saralifestyle.com। ফেসবুক পেজ facebook.com/saralifestyle.bd এবং ইনস্টাগ্রাম instagram.com/saralifestyle.bd। এছাড়াও সহজে কেনাকাটার জন্য সারা অ্যাপ ডাউনলোড করুন প্লে স্টোর থেকে- https://play.google.com/store/apps/details?id=com.saralifestyle। আর দেশের যেকোনো জায়গায় বসে কুরিয়ারের মাধ্যমে আপনার অর্ডারকৃত পণ্য ডেলিভারি পেয়ে যান সহজে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাত বছরে ‘সারা’ লাইফস্টাইল
  • নজরুলের জন্মোৎসবে- রঙ বাংলাদেশ 
  • কর্মী থেকে নিজেই এখন শতাধিক রেস্তরাঁর মালিক শামীম, যেখানে কাজ করে দুই হাজারের বেশি মানুষ