আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের বিদ্যমান চারটি মূল্যস্তর কমিয়ে তিনটিতে আনার এবং মূল্য বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন দেশের তরুণ চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সহযোগিতায় এবং সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত শতাধিক তরুণ চিকিৎসক অংশ নেন।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া চিকিৎসকরা বলেন, সিগারেটের চার স্তরের মূল্যব্যবস্থা—নিম্ন, মধ্যম, উচ্চ ও প্রিমিয়াম—তামাক কর নীতিকে দুর্বল করছে। নিম্ন ও মধ্যম স্তর একীভূত করে দাম বাড়ালে দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও তরুণ প্রজন্ম ধূমপান থেকে বিরত থাকবে। 

তরুণ চিকিৎসকরা নিম্ন ও মধ্যম স্তর একত্রিত করে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৯০ টাকা নির্ধারণ, উচ্চ স্তরে ১৪০ টাকা অপরিবর্তিত রাখা, প্রিমিয়াম স্তরে প্রতি ১৯০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে। সিগারেটের খুচরা মূল্যের ওপর ৬৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক, ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং ১ শতাংশ স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ অপরিবর্তিত রাখার কথা বলেছে।

তামাক নিয়ন্ত্রণে বিড়ি ও অন্যান্য তামাকপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিরও সুপারিশ করা হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন হার্ট ফাউন্ডেশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সমন্বয়ক ডা.

অরুনা সরকার ও সিনিয়র কমিউনিকেশন অফিসার আবু জাফর এবং সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদের উপদেষ্টা ডা. আয়েশা সিদ্দিকা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পাবনায় গৃহবধূ সাদিয়া হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

পাবনায় যৌতুকের টাকা না দেয়ায় গৃহবধূ সাদিয়া খাতুনকে হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।

শনিবার (১২ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলার দাপুনিয়া আক্তারের ঢালে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর আয়োজনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, আনারুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম, সাইদুল রহমান, নিহত সাদিয়ার বাবা সোহেল মোল্লা, মা ডলি বেগম, জোসনা খাতুন প্রমুখ।

আরো পড়ুন:

হত্যার ষড়যন্ত্র করছেন মামা, সংবাদ সম্মেলনে বললেন ভাগনে

সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত

মানববন্ধনে বক্তারা অভিডোগ করে বলেন, সাদিয়াকে হত্যার পর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত সাব্বির প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ পদক্ষেপ নিচ্ছে না। অবিলম্বে অভিযুক্ত সাব্বিরকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী।

সাদিয়ার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, সদর উপজেলার টিকোরি গ্রামের প্রবাসী সোহেল মোল্লার মেয়ে সাদিয়া খাতুনের চার বছর আগে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী কাজীপাড়া গ্রামের সালাম প্রামাণিকের ছেলে সাব্বির হোসেনের সঙ্গে। বিয়ের পর যৌতুকের টাকা দাবি করে সাদিয়াকে নির্যাতন করতেন সাব্বির। যৌতুক দিতে রাজি না হওয়ায় গত ২৬ জুন রাতে স্ত্রীকে মারধর করেন সাব্বির। একপর্যায়ে সাদিয়ার মৃত্যু হয়। সাব্বির নাটক সাজিয়ে সাদিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং তাকে সেখানে ফেলে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে সাব্বির ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন।  

এ ঘটনায় মৃত সাদিয়ার মা ডলি খাতুন বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন। গত ৫ জুলাই দায়েরকৃত মামলা নম্বর ৮। মামলায় সাদিয়ার স্বামী সাব্বির, তার বাবা-মা ও দুই ভাইকে আসামি করা হয়।

এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, ‘‘পুলিশ আসামি ধরছে না— এই অভিযোগ সত্য নয়। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য ইতোমধ্যে আমরা একটি টিম গঠন করে দিয়েছি। তারা সব সময় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’’

ঢাকা/শাহীন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফেনীর বন্যা নিয়ন্ত্রণে রোডম্যাপ ঘোষণা না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
  • ঢাকার যুবদল নেতার বিরুদ্ধে শরীয়তপুরের পরিবহনে চাঁদাবাজির অভিযোগ, এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ
  • ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে সারা দেশে বিক্ষোভ
  • পাবনায় গৃহবধূ সাদিয়া হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন