আসামি গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেল প্রসিকিউশন
Published: 23rd, May 2025 GMT
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বিভাগ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রুলস সংশোধন করে বৃহস্পতিবার রাতে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলে সমকালকে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রসিকিউটরকে এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মো.
এ ছাড়া অপরাধী সংগঠন হিসেবে শাস্তির ব্যবস্থার পদ্ধতি ঠিক করা হয়েছে। পাশাপাশি চিফ প্রসিকিউটর চাইলে ট্রাইব্যুনালের কোনো মামলা সাধারণ আদালতে বিচারের জন্য পাঠাতে পারবেন।
তবে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আনসার উদ্দিন খান পাঠান সমকালকে বলেন, তদন্ত সংস্থাকে আগে থেকেই আসামি গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া আছে। এর আগে জুলাই-আগস্ট গণহত্যার অপরাধের মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার করতে নিজস্ব ক্ষমতা চেয়ে সরকারের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধন করে সরকার। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গতকাল কার্যবিধি সংশোধন করা হয়।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, প্রসিকিউটরদের আসামি গ্রেপ্তারের ক্ষমতা থাকলে অনেক ক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়া যাবে। অনেক সময় আসামি চিহ্নিত হওয়ার পর ট্রাইব্যুনাল থেকে ওয়ারেন্ট আদেশ নিয়ে যেতে যেতে আসামি পালিয়ে যায়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র র ক ষমত তদন ত স স থ কর মকর ত র তদন ত প রস ক অপর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
শত্রুতার জেরে সাত গরুকে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ, মারা গেছে ৩টি
গোপালগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তিনটি গরু হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আরো চারটি গরু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ফলে দুই কৃষক পরিবারের অন্তত পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। গত শনিবার (১ নভেম্বর) মধ্যরাতে সদর উপজেলার সিংগারকুল পূর্বপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কীভাবে গরুগুলো মারা গেছে তা খতিয়ে দেখতে নমুনা সংগ্রহ করেছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। পুলিশ বলছে, তারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।
আরো পড়ুন:
নামাজরত বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, ৩ পুলিশ আহত
গাইবান্ধায় ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা: মামলা দায়ের
এলাকাসাসী জানান, সিংগারকুল পূর্বপাড়া গ্রামের দুই ভাই মো. রাসুল গাজী ও হাসিব গাজী কৃষি কাজ করে সংসার চালান। তারা খামার করে কয়েকটি গরু লালন-পালন করছেন। শনিবার মধ্যরাত সাড়ে ১২টার দিকে গরুর গোঙানির শব্দ শুনে পাশের বাড়ির এক আত্মীয় ছুটে গিয়ে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন দুই ভাইকে। তারা স্থানীয় পশু চিকিৎসককে খবর দেন। সকাল হওয়ার আগেই তিনটি গরু মারা যায়। একই গোয়াল ঘরে থাকা একটি বড় ষাঁড়, একটি বাছুর ও অপর গোয়ালে থাকা দুটি ষাঁড় এখনো অসুস্থ।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মো. রাসুল গাজী জানান, শত্রুতা করেই খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তাদের গরুগুলোকে হত্যা করা হয়েছে। রাতেই টের পেয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেও বাঁচানো যায়নি গরুগুলো। দুই ভাইয়ের আরো চারটি গরু অসুস্থ রয়েছে। এতে তাদের অন্তত ৫-৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তিনি জানান, এ ঘটনায় সদর থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
কারা তাদের গরু হত্যা করেছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাসুল গাজী বলেন, “ঘর থেকে বের হয়ে কয়েকজনকে দৌঁড়ে যেতে দেখেছি। তাদের চেহারা দেখতে পারিনি। ফলে কাউকে চিনতে পারিনি।”
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক হাসিব গাজী বলেন, “কারো সঙ্গে আমাদের শত্রুতা থাকতেই পারে। এই অবলা পশুগুলো কার কী ক্ষতি করেছে। কোন অপরাধে এদের হত্যা করা হলো। আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
এলাকাবাসী মো. ইমদাদ শেখ বলেন, “গত শনিবার রাতে বৃষ্টি হয়। এই সুযোগে গরুগুলোকে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা চাই দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।”
গোপালগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোবিন্দ চন্দ্র সর্দার বলেন, “সিংগারকুল পূর্বপাড়া গ্রামে কয়েকটি গরুকে বিষ খাওয়ানো হয় এমন খবর পেয়ে সকালে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যান। তিনি অসুস্থ গরুগুলোকে চিকিৎসা দেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পয়জনজনিত কারণেই গরুগুলো মারা গেছে। মারা যাওয়া গরুর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই গরু তিনটির মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে তদন্ত শুরু করি। মারা যাওয়া গোরুগুলোর নমুনা সংগ্রহ ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/বাদল/মাসুদ