ব্যাটে-বলে সাদামাটা ছিলেন সাকিব আল হাসান, তবে লেগ স্পিনে ঝলক দেখিয়ে লাহোর কালান্দার্সকে ফাইনালে তুললেন রিশাদ হোসেন। সালমান মির্জার আগুনঝরা শুরু আর রিশাদের মাঝের ওভারে ধ্বংসাত্মক স্পেলে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড থেমে গেল মাত্র ১০৭ রানে। ফলে ৯৫ রানের বড় জয় তুলে নিয়ে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফাইনালে জায়গা করে নিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লাহোর।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মোহাম্মদ নাঈম ও কুশল পেরেরার হাফসেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ২০২ রান তোলে লাহোর। সাকিব আল হাসান এবারও ব্যর্থ, ২ বল খেলে ফিরেছেন শূন্য রানে। রিশাদ অবশ্য শেষ ওভারে ২ বল খেলে ৫ রান করে দলীয় রানটা দুইশ ছাড়িয়ে নিতে ভূমিকা রাখেন।

২০৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ইসলামাবাদ। পাওয়ার প্লেতে ৩৩ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় তারা। সালমান মির্জার বোলিংয়েই ভেঙে পড়ে টপ অর্ডার। সপ্তম ওভারে বল হাতে এসে সাকিব দেন ৯ রান, উইকেট না পেলেও তার ওভার থেকে চাপমুক্ত হতে পারেনি ব্যাটাররা। পরের ওভারে রিশাদ কিছুটা খরচ করলেও (১৪ রান) দশম ওভারে আবার বল হাতে নিয়ে ফিরিয়ে দেন বিপজ্জনক সালমান আগাকে। ১২তম ওভারে রিশাদ আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন। একই ওভারে তুলে নেন অধিনায়ক শাদাব খান (২৬) ও জেমস নিশামকে। রিশাদের ঘূর্ণিতে ভেঙে পড়ে ইসলামাবাদের শেষ ভরসাগুলোও।

৭ উইকেটে ৯৫ রান করা দলটি এরপরও আর কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। নাসিম শাহ ও টাইমাল মিলসকে ফিরিয়ে ম্যাচটাকে একপেশে বানিয়ে দেন লাহোরের বোলাররা। ১৬তম ওভারের প্রথম বলেই হায়দার আলীকে আউট করে জয় নিশ্চিত করেন শাহীন শাহ আফ্রিদি।

লাহোরের হয়ে রিশাদ, শাহীন ও সালমান মির্জা প্রত্যেকে নেন ৩টি করে উইকেট। তবে ৩ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে রিশাদ ছিলেন সবচেয়ে খরুচে। সাকিব বল হাতে ৩ ওভার করে ২৭ রান দিলেও ছিলেন উইকেটশূন্য।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ক ব আল হ স ন প এসএল উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবের জন্য জাতীয় দলের দরজা সবসময় খোলা: বিসিবি

আবারও আলোচনার কেন্দ্রে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা নাম সাকিব আল হাসান। গ্লোবাল সুপার লিগে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের পর জাতীয় দলে তার ফেরা নিয়ে জোর গুঞ্জন চলছে।

গত বছর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই দেশের বাইরে অবস্থান করছেন সাকিব। তবে এরপর ভারতের বিপক্ষে সেপ্টেম্বরে টেস্ট সিরিজে খেলেছিলেন তিনি। এরপর আর জাতীয় দলে দেখা যায়নি তাকে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য দেশে ফেরার কথা থাকলেও নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগে শেষ মুহূর্তে দুবাই থেকে ফিরে যান সাকিব। পাশাপাশি বোলিং অ্যাকশন নিয়ে নিষেধাজ্ঞার কারণে কিছুদিন মাঠের বাইরে থাকতে হয় তাকে। পরে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) দিয়ে মাঠে ফেরেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।

বর্তমানে গ্লোবাল সুপার লিগে (জিএসএল) দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে খেলছেন সাকিব। উদ্বোধনী ম্যাচে ৩৭ বলে ৫৮ রান ও ১৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নিজের সামর্থ্যের ঝলক দেখান ৩৮ বছর বয়সী এই তারকা। এমন পারফরম্যান্সের পর তাকে নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু হয়েছে জাতীয় দলে ফেরানো উচিত কি না।

শনিবার মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবির পরিচালক ইফতেখার আহমেদ মিঠু বলেন, ‘সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার। তার জন্য জাতীয় দলের দরজা সবসময় খোলা। এখন বিষয়টা নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগে বিসিবি কীভাবে পরিচালিত হয়েছে আমি জানি না। তবে বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল পুরো দায়িত্ব দিয়েছেন ক্রিকেট অপারেশনস, নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টকে। তারা বিষয়টি দেখছেন এবং বিবেচনায় রাখবেন।’

তবে জিএসএলের পরের ম্যাচে হোবার্ট হারিকেনসের বিপক্ষে সাকিবের পারফরম্যান্স ছিল ফিকে। ব্যাট হাতে করেন মাত্র ৭ রান, আর বল হাতে উইকেটশূন্য থেকে ৪ ওভারে দেন ৩৪ রান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ