গোলসংখ্যায় পিছিয়ে থাকলেও, কিলিয়ান এমবাপ্পে জানেন কোথায় দাঁড়িয়ে মারতে হয়! ইউরোপের সব প্রতিভা আর পরিশ্রমী গোলদাতাদের পেছনে ফেলে কৌশলী ক্যালকুলেশনের খেলা জিতে তিনি হাতে তুলে নিলেন মর্যাদাপূর্ণ ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু’র ট্রফি। যেটা ইউরোপের সেরা লিগে সবচেয়ে কার্যকর ফরোয়ার্ডদের জন্য বরাদ্দ থাকে।

রিয়াল মাদ্রিদে এটি ছিল তার প্রথম মৌসুম। নতুন দেশের মাটিতে মানিয়ে নিতে অনেকেই সময় নেন, কিন্তু এমবাপ্পে যেন রিয়ালের জার্সিতেই নতুন করে জন্ম নিয়েছেন। লা লিগার শেষ ম্যাচে রিয়াল সোসিয়েদাদের জালে জোড়া গোল করে মৌসুমের গোলসংখ্যা ৩১-এ নিয়ে যান।

তবে কাহিনির মোড় ঘোরে এখান থেকেই। স্পোর্তিং সিপির সুইডিশ স্ট্রাইকার ভিক্টর গিয়াকোরেস গোল করেছিলেন ৩৯টি। অথচ তিনি দ্বিতীয়! এমবাপ্পের চেয়ে ৮টি গোল বেশি, তবুও শীর্ষে ফরাসি তারকা। এর রহস্য লুকিয়ে ইউরোপের গোল্ডেন শু পয়েন্টিং সিস্টেমে।

আরো পড়ুন:

কুল-বিএসজেএ মিডিয়া কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

লেভানডোভস্কির শততম গোলে মৌসুম শেষ করলো চ্যাম্পিয়ন বার্সা

এটি শুধু গোলের সংখ্যা দেখেই বিজয়ী নির্বাচন করে না, লিগের মান অনুযায়ী প্রতি গোলের জন্য পয়েন্ট বরাদ্দ করা হয়। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে (যেমন লা লিগা, প্রিমিয়ার লিগ) প্রতি গোলের পেছনে ২ পয়েন্ট। আর তুলনামূলক দুর্বল লিগে (যেমন পর্তুগাল, বেলজিয়াম) প্রতি গোলের পেছনে ১.

৫ পয়েন্ট। তাই গিয়াকোরেসের ৩৯ গোল থেকেও এমবাপ্পের ৩১ গোল বেশি মূল্যবান!

তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিলেন লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহ। ২৯ গোল করা এই মিসরীয় তারকা শেষ ম্যাচে হ্যাটট্রিক করতে পারলেই এমবাপ্পের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে পারতেন এই গৌরব। কিন্তু ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে গোল পান মাত্র একটিই।

এমবাপ্পে এর মধ্য দিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জেতার কীর্তি গড়লেন। এর আগে এই গৌরব অর্জন করেছিলেন কিংবদন্তি হুগো সানচেজ (১৯৮৯-৯০) ও গোল-মেশিন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ২০১০-১১, ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ মৌসুমে।

একজনের গোল, আরেকজনের বুদ্ধি; গোল্ডেন শু যেন এবার হেরে গেল সংখ্যার কাছে, জিতে গেল কৌশল আর লিগের শক্তির অদৃশ্য সমীকরণ!

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ক ল য় ন এমব প প এমব প প ইউর প র

এছাড়াও পড়ুন:

কে হবে নারী বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন

ভারতের জেমাইমা রদ্রিগেজের চোখে জল, তাঁকে ঘিরে উৎসব করতে তৈরি হয়েছিল বড় একটা জটলাও। ইংল্যান্ডকে হারানোর পর দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের উল্লাসের ছবিটাও সাড়া ফেলেছিল বেশ। এক দিনের ব্যবধানে দুই দলের সেই উচ্ছ্বাস গিয়ে মিলেছিল একই বিন্দুতে—নারী বিশ্বকাপের ফাইনাল ওঠার আনন্দে আত্মহারা হয়েছিল তারা।    

কিন্তু এতটুকু তো আর শেষ নয়। দুই দলের সামনেই প্রথমবার নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি। আজ নাবি মুম্বাইয়েই প্রথমবার এমন নারী বিশ্বকাপ ফাইনাল হচ্ছে, যেখানে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের কেউই নেই। এই দুই দলের বাইরে শিরোপাজয়ী আরেক দল নিউজিল্যান্ডও বাদ পড়ে গেছে সেমিফাইনালের আগেই। আজ দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারতের যেই শিরোপা জিতুক, নারী বিশ্বকাপ তাই দেখবে নতুন চ্যাম্পিয়ন।

এবারের বিশ্বকাপজুড়ে কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে ফাইনালে ওঠা দুটি দলই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৯ রানে অলআউট হয়ে বিশ্বকাপ শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে দলটি। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯৭ রানে অলআউট হলেও সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়েই ফাইনালে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকা।  

সেমিফাইনালে ভারতকে জেতানোর পর জেমাইমা ও মান্ধানা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কে হবে নারী বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন
  • ভারত নাকি দক্ষিণ আফ্রিকা, কে হবে নতুন নারী বিশ্বকাপ চ‌্যাম্পিয়ন
  • বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রতি টিকিটের দাম দেড় লাখ টাকার বেশি
  • গোল্ডেন বুট হাতে এমবাপ্পে বললেন, রিয়ালে আরও বহু বছর থাকতে চাই